১১:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ মে ২০২৪

মহাকাশে বিশাল আয়না

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:৩৪:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ জুলাই ২০২৩
  • / ৪২১৬ বার দেখা হয়েছে

পৃথিবী থেকে ২৬৪ আলোকবর্ষ দূরে একটি গ্রহ রয়েছে, যার নাম ‘এলটিটি৯৭৭৯বি’। সৌরজগতের বাইরের গ্রহটিকে ‘মহাকাশে বিশাল আয়না’ বলছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির (ইএসএ) ‘ক্যারেক্টারাইজিং এক্সোপ্ল্যানেট স্যাটেলাইট’ মিশন দ্বারা ওই গ্রহের ওপর পর্যবেক্ষণ করে সম্প্রতি তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

দ্য টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনের বরাতে এনডিটিভি বলছে, ২০২০ সালে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা এলটিটি৯৭৭৯বি আবিষ্কার করে। ওই গ্রহ পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব পায় ইএসএ। গভীর পর্যবেক্ষণের পর সংস্থাটি জানিয়েছে, প্রতি ১৯ ঘণ্টায় একটি সূর্যের মতো নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করে এলটিটি৯৭৭৯বি। সিলিকেট ও টাইটানিয়ামের মতো ধাতু দিয়ে তৈরি প্রতিফলিত ধাতব মেঘ রয়েছে ওই গ্রহের। গ্রহটি সেখানে পৌঁছানো আলোর প্রায় ৮০ শতাংশ প্রতিফলন করে।

অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্স জার্নালে গ্রহটির বর্ণনা দিয়ে একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে। গবেষণার সহলেখক ও জ্যোতির্বিজ্ঞানী অধ্যাপক জেমস জেনকিন্স গ্রহটিকে ‘মহাকাশে বিশাল আয়না’ আখ্যা দিয়েছেন।

গ্রহটির ব্যাস পৃথিবীর চেয়ে ৪ দশমিক ৭ গুণ। এটি সূর্যের মতো একটি নক্ষত্রকে বুধের চেয়ে অনেক কাছাকাছি দূরত্বে প্রদক্ষিণ করে। সৌরজগতের শুক্র সবচেয়ে উজ্জ্বল গ্রহ, যা আসা আলোর ৭৫ শতাংশ প্রতিফলিত করে। এটি সালফিউরিক এসিডের বিষাক্ত মেঘ দ্বারা বেষ্টিত। পৃথিবী তার দিকে আসা আলোর প্রায় ৩০ শতাংশ প্রতিফলিত করে।

আরও পড়ুন: উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে সিফিলিস

রুক্ষ ভূপৃষ্ঠ এবং গ্রহের স্থলভাগ দ্বারা শোষণের কারণে বেশিরভাগ গ্রহ আলো প্রতিফলন করতে পারে না। শুক্রের চাঁদ, শনির চাঁদ এনসেলাডাস এবং বৃহস্পতির চাঁদ ইউরোপা ছাড়া এর কোনো ব্যতিক্রম জানা নেই। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই প্রথম এ ধরনের কোনো উজ্জ্বল গ্রহ তার নক্ষত্রের এত কাছে পাওয়া গেল।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x

মহাকাশে বিশাল আয়না

আপডেট: ১২:৩৪:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ জুলাই ২০২৩

পৃথিবী থেকে ২৬৪ আলোকবর্ষ দূরে একটি গ্রহ রয়েছে, যার নাম ‘এলটিটি৯৭৭৯বি’। সৌরজগতের বাইরের গ্রহটিকে ‘মহাকাশে বিশাল আয়না’ বলছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির (ইএসএ) ‘ক্যারেক্টারাইজিং এক্সোপ্ল্যানেট স্যাটেলাইট’ মিশন দ্বারা ওই গ্রহের ওপর পর্যবেক্ষণ করে সম্প্রতি তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

দ্য টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনের বরাতে এনডিটিভি বলছে, ২০২০ সালে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা এলটিটি৯৭৭৯বি আবিষ্কার করে। ওই গ্রহ পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব পায় ইএসএ। গভীর পর্যবেক্ষণের পর সংস্থাটি জানিয়েছে, প্রতি ১৯ ঘণ্টায় একটি সূর্যের মতো নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করে এলটিটি৯৭৭৯বি। সিলিকেট ও টাইটানিয়ামের মতো ধাতু দিয়ে তৈরি প্রতিফলিত ধাতব মেঘ রয়েছে ওই গ্রহের। গ্রহটি সেখানে পৌঁছানো আলোর প্রায় ৮০ শতাংশ প্রতিফলন করে।

অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্স জার্নালে গ্রহটির বর্ণনা দিয়ে একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে। গবেষণার সহলেখক ও জ্যোতির্বিজ্ঞানী অধ্যাপক জেমস জেনকিন্স গ্রহটিকে ‘মহাকাশে বিশাল আয়না’ আখ্যা দিয়েছেন।

গ্রহটির ব্যাস পৃথিবীর চেয়ে ৪ দশমিক ৭ গুণ। এটি সূর্যের মতো একটি নক্ষত্রকে বুধের চেয়ে অনেক কাছাকাছি দূরত্বে প্রদক্ষিণ করে। সৌরজগতের শুক্র সবচেয়ে উজ্জ্বল গ্রহ, যা আসা আলোর ৭৫ শতাংশ প্রতিফলিত করে। এটি সালফিউরিক এসিডের বিষাক্ত মেঘ দ্বারা বেষ্টিত। পৃথিবী তার দিকে আসা আলোর প্রায় ৩০ শতাংশ প্রতিফলিত করে।

আরও পড়ুন: উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে সিফিলিস

রুক্ষ ভূপৃষ্ঠ এবং গ্রহের স্থলভাগ দ্বারা শোষণের কারণে বেশিরভাগ গ্রহ আলো প্রতিফলন করতে পারে না। শুক্রের চাঁদ, শনির চাঁদ এনসেলাডাস এবং বৃহস্পতির চাঁদ ইউরোপা ছাড়া এর কোনো ব্যতিক্রম জানা নেই। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই প্রথম এ ধরনের কোনো উজ্জ্বল গ্রহ তার নক্ষত্রের এত কাছে পাওয়া গেল।

ঢাকা/এসএ