০৮:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪

মাথাঘোরা সমস্যাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না, যেসব সতর্কবার্তা দিলেন বিশেষজ্ঞ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৫:৫৫:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৪১৮৭ বার দেখা হয়েছে

আমাদের মধ্যে অনেকেরই মাথা ঘোরায়। এটাকে খুব একটা গুরত্ব দেয়া হয় না। ফলে এ থেকে যে ভয়াবহ বড় কোনো অসুখ হতে পারে, সেই বিষয়টি আর খেয়াল থাকে না। তবে মাথাঘোরার কারণে যখন গুরুতর কিছু হয়, ততক্ষণে বিষয়টি বুঝে উঠতে সময় লেগে যায়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

মাথাঘোরাকে অবহেলা করলে জটিল অসুখ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এ ব্যাপারে ভারতের অ্যাপোলো মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ফিজিশিয়ান ডা. শ্যামাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় দেশটির একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন। এবার তাহলে তার ভাষ্য অনুযায়ী মাথাঘোরা সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।

মাথাঘোরার কারণ : কোথাও দাঁড়িয়ে কাজ করলেও হঠাৎ মাথাঘোরা শুরু হয়। অনেক মনোযোগ দিয়ে গল্পের বই বা মোবাইল স্ক্রিনের দিকে স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকার কারণেও হঠাৎ মাথা ঘোরায়। আবার স্টেশনে ট্রেন বা বাস ধরার জন্য যাচ্ছেন অথবা রাস্তায় হাঁটছেন, এ অবস্থায়ও হঠাৎ মাথাঘোরা শুরু হয়। এছাড়াও বিভিন্ন কারণে মাথা ঘোরায়।

ভার্টিগো (Vertigo) নানা রকম রোগের লক্ষণ হতে পারে। এর জন্য কান ও মস্তিষ্কের স্নায়ুর ভারসাম্যহীনতা বা অন্য কোনো বড় রোগের লক্ষণও হতে পারে। এ জন্য আগেই সতর্ক হওয়া উচিত এবং পর্যবেক্ষণ প্রয়োজন।

ভার্টিগো সাধারণত দুই ধরনের হয়। ১. সেন্ট্রাল ও ২. পেরিফেরার ভার্টিগো। মানবদেহে ভারসাম্য বজায় রাখার ব্যাপারটি খুব কঠিনভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়। এর প্রধান নিয়ন্ত্রণকারী জায়গা হচ্ছে কানের ভেতরের অংশ। এখানে অবস্থিত কিছু অংশ মানবদেহের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। আর কানের সমস্যাকে চিকিৎসা ভাষায় বলা হয় পেরিফেরাল।

এছাড়া মাথার ভেতরের কোনো অংশে যদি সমস্যা থাকে, তা থেকে মাথা ঘুরলে বা শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখতে যদি সমস্যা হয়, তাহলে সেটাকে বলা হয় সেন্ট্রাল কারণ। এর মধ্যে অন্যতম কারণ হচ্ছে মাথার ভেতর টিউমার বা স্ট্রোক।

আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ১২ মৃত্যু

কখন সতর্ক হওয়া প্রয়োজন : মাথাঘোরার অর্থ স্পন্ডিলাইটিস নয়। অধিকাংশ মানুষই এমনটা ভেবে গুরুত্ব দেন না। অনেকে দু-একবার ঘাড়ের ব্যায়াম করে উপকার পেতে চান। কখনো মাথা ঘুরলে বা ঘুরে পড়ে জ্ঞান হারালে সেটিকে স্ট্রোক, হার্ট ব্লকেজের মতো বড়ধরনের অসুখের পূর্বাভাসও দিয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে অবহেলা করলে প্রাণঘাতীর মতো সমস্যাও হয়।

আবার কানে কম শোনা, কান বন্ধ, দুই কানের মধ্যে একটি অপেক্ষাকৃত ভারী মনে হওয়া কিংবা শ্রবণশক্তির পার্থক্য, উৎসহীন অপরিচিত আওয়াজ অনুভূত হলে সতর্ক হতে হবে। এসব সমস্যা কিছুদিন পর পর হলে অবশ্যই চিকিৎসকের দ্বারস্থ হতে হবে। হার্ট ব্লকেজ বা হার্টে রক্ত চলাচলে সমস্যা হলে এ ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়ার সম্ভাবনা থাকে। এ জন্য চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণ জরুরি।

পেরিফেরাল জনিত সমস্যা যদি না থাকে তাহলে পরবর্তীতে সেন্ট্রাল কারণগুলো বিবেচনা করতে হবে। আর পুরো চিকিৎসাপদ্ধতি ও পর্যবেক্ষণ প্রক্রিয়া আক্রান্ত ব্যক্তির আগের কোনো রোগের ওপর নির্ভর করে। এক্ষেত্রে রোগীর অতীত অসুখ সম্পর্কে বিস্তারিত জানার পর চিকিৎসা শুরু করতে হবে।

ঢাকা/এসএম

শেয়ার করুন

x

মাথাঘোরা সমস্যাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না, যেসব সতর্কবার্তা দিলেন বিশেষজ্ঞ

আপডেট: ০৫:৫৫:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৩

আমাদের মধ্যে অনেকেরই মাথা ঘোরায়। এটাকে খুব একটা গুরত্ব দেয়া হয় না। ফলে এ থেকে যে ভয়াবহ বড় কোনো অসুখ হতে পারে, সেই বিষয়টি আর খেয়াল থাকে না। তবে মাথাঘোরার কারণে যখন গুরুতর কিছু হয়, ততক্ষণে বিষয়টি বুঝে উঠতে সময় লেগে যায়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

মাথাঘোরাকে অবহেলা করলে জটিল অসুখ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এ ব্যাপারে ভারতের অ্যাপোলো মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ফিজিশিয়ান ডা. শ্যামাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় দেশটির একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন। এবার তাহলে তার ভাষ্য অনুযায়ী মাথাঘোরা সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।

মাথাঘোরার কারণ : কোথাও দাঁড়িয়ে কাজ করলেও হঠাৎ মাথাঘোরা শুরু হয়। অনেক মনোযোগ দিয়ে গল্পের বই বা মোবাইল স্ক্রিনের দিকে স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকার কারণেও হঠাৎ মাথা ঘোরায়। আবার স্টেশনে ট্রেন বা বাস ধরার জন্য যাচ্ছেন অথবা রাস্তায় হাঁটছেন, এ অবস্থায়ও হঠাৎ মাথাঘোরা শুরু হয়। এছাড়াও বিভিন্ন কারণে মাথা ঘোরায়।

ভার্টিগো (Vertigo) নানা রকম রোগের লক্ষণ হতে পারে। এর জন্য কান ও মস্তিষ্কের স্নায়ুর ভারসাম্যহীনতা বা অন্য কোনো বড় রোগের লক্ষণও হতে পারে। এ জন্য আগেই সতর্ক হওয়া উচিত এবং পর্যবেক্ষণ প্রয়োজন।

ভার্টিগো সাধারণত দুই ধরনের হয়। ১. সেন্ট্রাল ও ২. পেরিফেরার ভার্টিগো। মানবদেহে ভারসাম্য বজায় রাখার ব্যাপারটি খুব কঠিনভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়। এর প্রধান নিয়ন্ত্রণকারী জায়গা হচ্ছে কানের ভেতরের অংশ। এখানে অবস্থিত কিছু অংশ মানবদেহের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। আর কানের সমস্যাকে চিকিৎসা ভাষায় বলা হয় পেরিফেরাল।

এছাড়া মাথার ভেতরের কোনো অংশে যদি সমস্যা থাকে, তা থেকে মাথা ঘুরলে বা শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখতে যদি সমস্যা হয়, তাহলে সেটাকে বলা হয় সেন্ট্রাল কারণ। এর মধ্যে অন্যতম কারণ হচ্ছে মাথার ভেতর টিউমার বা স্ট্রোক।

আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ১২ মৃত্যু

কখন সতর্ক হওয়া প্রয়োজন : মাথাঘোরার অর্থ স্পন্ডিলাইটিস নয়। অধিকাংশ মানুষই এমনটা ভেবে গুরুত্ব দেন না। অনেকে দু-একবার ঘাড়ের ব্যায়াম করে উপকার পেতে চান। কখনো মাথা ঘুরলে বা ঘুরে পড়ে জ্ঞান হারালে সেটিকে স্ট্রোক, হার্ট ব্লকেজের মতো বড়ধরনের অসুখের পূর্বাভাসও দিয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে অবহেলা করলে প্রাণঘাতীর মতো সমস্যাও হয়।

আবার কানে কম শোনা, কান বন্ধ, দুই কানের মধ্যে একটি অপেক্ষাকৃত ভারী মনে হওয়া কিংবা শ্রবণশক্তির পার্থক্য, উৎসহীন অপরিচিত আওয়াজ অনুভূত হলে সতর্ক হতে হবে। এসব সমস্যা কিছুদিন পর পর হলে অবশ্যই চিকিৎসকের দ্বারস্থ হতে হবে। হার্ট ব্লকেজ বা হার্টে রক্ত চলাচলে সমস্যা হলে এ ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়ার সম্ভাবনা থাকে। এ জন্য চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণ জরুরি।

পেরিফেরাল জনিত সমস্যা যদি না থাকে তাহলে পরবর্তীতে সেন্ট্রাল কারণগুলো বিবেচনা করতে হবে। আর পুরো চিকিৎসাপদ্ধতি ও পর্যবেক্ষণ প্রক্রিয়া আক্রান্ত ব্যক্তির আগের কোনো রোগের ওপর নির্ভর করে। এক্ষেত্রে রোগীর অতীত অসুখ সম্পর্কে বিস্তারিত জানার পর চিকিৎসা শুরু করতে হবে।

ঢাকা/এসএম