তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে আমাদের ৫০টি গাড়ি থাকবে। গাড়ির সংখ্যা কেমন হবে তা নির্ভর করবে—মেট্রোরেলের গতি, ট্রিপ ও যাত্রী সংখ্যার ওপর। যেমন গত বছর বাণিজ্যমেলায় ৩০টি গাড়ির চাহিদা দেওয়া হয়েছিল, পরে একদিন আমাদের সর্বোচ্চ ১৭৫টি গাড়ি দিতে হয়েছিল।’
বিআরটিসি সূত্র জানিয়েছে, পুরনো বাস দিয়ে এই সেবা দেওয়া হবে। যদিও আগে বলা হয়েছিল—মেট্রোরেলের যাত্রীদের জন্য কোরিয়ান এক্সিম ব্যাংকের ৬০০ কোটি টাকা ঋণ সহায়তায় ৩২০টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত নতুন বাস কেনা হবে।
জিজ্ঞেস করা হলে বিআরটিসির চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম বলেন, ‘সেবা দেওয়ার জন্য আমাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে আমাদের যেসব বাস আছে সেগুলো দিয়েই চলবে। নতুন গাড়ি কেনার বিষয়টি পাইপলাইনে আছে। সেগুলো এলেই আমরা এ সেবায় অন্তর্ভুক্ত করবো।’
এ বিষয়ে বিআরটিসির পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) এস এম মাসুদুল হক বলেন, ‘মেট্রোরেলের যাত্রীসেবায় নিয়োজিত বাসগুলো মূলত শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত একতলা ও দোতলা হবে। বিআরটিসির পাশাপাশি বেসরকারি মালিকানাধীন বাসগুলোও যাত্রী পরিবহন করতে পারবে।’
তিনি জানিয়েছেন, বর্তমানে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) কর্তৃক কিলোমিটার হিসেবে যে ভাড়া আসে তাই যাত্রীদের কাছ থেকে নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: অস্থির বাজারে ডিম ও মুরগির দামে স্বস্তি
তিনি আরও জানান, ঢাকা মহানগরীতে বিআরটিসির ৪০০ বাস চলে। সেখান থেকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক বাস সরবরাহ করা হবে।
বিআরটিসির ব্যবস্থাপক (হিসাব) মো. আমজাদ হোসেন জানিয়েছেন, মেট্রোরেল যেদিন যাত্রী পরিবহন শুরু করবে সেদিনই তারা বাস সেবা চালু করবেন।
উল্লেখ্য, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে—আগামী ১৬ ডিসেম্বর মেট্রোরেলের উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশে যাত্রী পরিবহন শুরু হবে। এই লক্ষ্যে অবকাঠামো উন্নয়ন কাজ, ট্রেন পরিচালনার প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে।
ঢাকা/এসএ