১০:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪

মোবাইল-মানিব্যাগ না দেওয়ায় শাবিপ্রবি শিক্ষার্থী বুলবুলকে হত্যা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৫:৫৪:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ জুলাই ২০২২
  • / ৪১৪৫ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থী বুলবুল হত্যা প্রেমের কারণে হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ বলছে, এটি নিছক ছিনতাইয়ের ঘটনা।

বুধবার দুপুর ২টার দিকে জালালাবাদ থানায় সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আসামিরা বুলবুলের কাছে মোবাইল ও মানিব্যাগ দাবি করে। পরে ধস্তাধস্তি হলে এক পর্যায়ে কামরুল ছুরিকাঘাত করে। এতে বুলবুল পড়ে গেলে রক্ত দেখে তারা মোবাইল নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যান। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে হতে পারে।

এদিকে মঙ্গলবার নিহত শিক্ষার্থী বুলবুলের মা ইয়াসমিন বলেন, আমরা মা-ছেলে বন্ধুর মতো ছিলাম। তাই সে সবকিছু আমাকে বলত, কিছুই লুকাত না। গত ঈদে বাড়িতে এসে আমাকে বলে, নেত্রকোনা থেকে দুই ছেলে-মেয়ে এসে তার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে। তাদের মধ্যে সম্পর্ক আছে। ছেলেটি খুব পছন্দ করে মেয়েটিকে। কিন্তু মেয়েটি ওই ছেলেকে পছন্দ করে না। সে পছন্দ করে বুলবুলকে, কিন্তু তার (বুলবুল) তো সম্পর্ক আরেকজনের সঙ্গে। বিষয়টি বুলবুল মেয়েটিকে বারবার বোঝাতে চাইলেও মেয়েটি বুঝতে চাইত না। আমার ধারণা, মেয়েটির পছন্দের সেই ছেলে বুলবুলকে মেনে নিতে না পারায় এ হত্যার ঘটনা ঘটেছে।

গত সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেছা চৌধুরী ছাত্রী হলের সামনের টিলায় ঘুরতে গেলে ছুরিকাঘাতে নিহত হয় বুলবুল আহমেদ। বুলবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তার গ্রামের বাড়ি নরসিংদী জেলার চিনিশপুর নন্দীপাড়া গ্রামে। বুলবুল নিহতের ঘটনায় ওই দিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন বাদী হয়ে জালালাবাদ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ আরও বলেন, মামলার ভিত্তিতে গ্রেপ্তার অভিযান শুরুর পর সন্দেহভাজন তিন ব্যক্তিকে আটক করা হয়। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে আটক ব্যক্তি মো. আবুল হোসেন ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।

তিনি বলেন, আবুল হোসেনের জবানবন্দীর ভিত্তিতে ঘটনায় জড়িত আরও দুই আসামি কামরুল আহমদ (২৯) ও মো. হাসানকে (১৯) গ্রেপ্তার করা হয়। তারা জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং কামরুলের বাড়ি থেকে ঘটনায় ব্যবহৃত ছুরি ও ভিকটিম বুলবুল আহমদের কাছ থেকে ছিনতাই করা মোবাইল ফোন নিজ হাতে বের করে দেয়। পরে আসামিদের কোর্টে প্রেরণ করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ সকাল ১১টার দিকে প্রাথমিকভাবে বুলবুলের পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা দেওয়ার ঘোষণা দেন। কিন্তু এই ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা সাড়ে চারটার দিকে বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভ শেষে তারা দাবি করেন, নিহত শিক্ষার্থীর পরিবারকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এককালীন ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ এবং প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকার করে দিতে হবে।

ঢাকা/এসএম

শেয়ার করুন

x
English Version

মোবাইল-মানিব্যাগ না দেওয়ায় শাবিপ্রবি শিক্ষার্থী বুলবুলকে হত্যা

আপডেট: ০৫:৫৪:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ জুলাই ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থী বুলবুল হত্যা প্রেমের কারণে হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ বলছে, এটি নিছক ছিনতাইয়ের ঘটনা।

বুধবার দুপুর ২টার দিকে জালালাবাদ থানায় সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আসামিরা বুলবুলের কাছে মোবাইল ও মানিব্যাগ দাবি করে। পরে ধস্তাধস্তি হলে এক পর্যায়ে কামরুল ছুরিকাঘাত করে। এতে বুলবুল পড়ে গেলে রক্ত দেখে তারা মোবাইল নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যান। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে হতে পারে।

এদিকে মঙ্গলবার নিহত শিক্ষার্থী বুলবুলের মা ইয়াসমিন বলেন, আমরা মা-ছেলে বন্ধুর মতো ছিলাম। তাই সে সবকিছু আমাকে বলত, কিছুই লুকাত না। গত ঈদে বাড়িতে এসে আমাকে বলে, নেত্রকোনা থেকে দুই ছেলে-মেয়ে এসে তার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে। তাদের মধ্যে সম্পর্ক আছে। ছেলেটি খুব পছন্দ করে মেয়েটিকে। কিন্তু মেয়েটি ওই ছেলেকে পছন্দ করে না। সে পছন্দ করে বুলবুলকে, কিন্তু তার (বুলবুল) তো সম্পর্ক আরেকজনের সঙ্গে। বিষয়টি বুলবুল মেয়েটিকে বারবার বোঝাতে চাইলেও মেয়েটি বুঝতে চাইত না। আমার ধারণা, মেয়েটির পছন্দের সেই ছেলে বুলবুলকে মেনে নিতে না পারায় এ হত্যার ঘটনা ঘটেছে।

গত সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেছা চৌধুরী ছাত্রী হলের সামনের টিলায় ঘুরতে গেলে ছুরিকাঘাতে নিহত হয় বুলবুল আহমেদ। বুলবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তার গ্রামের বাড়ি নরসিংদী জেলার চিনিশপুর নন্দীপাড়া গ্রামে। বুলবুল নিহতের ঘটনায় ওই দিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন বাদী হয়ে জালালাবাদ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ আরও বলেন, মামলার ভিত্তিতে গ্রেপ্তার অভিযান শুরুর পর সন্দেহভাজন তিন ব্যক্তিকে আটক করা হয়। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে আটক ব্যক্তি মো. আবুল হোসেন ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।

তিনি বলেন, আবুল হোসেনের জবানবন্দীর ভিত্তিতে ঘটনায় জড়িত আরও দুই আসামি কামরুল আহমদ (২৯) ও মো. হাসানকে (১৯) গ্রেপ্তার করা হয়। তারা জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং কামরুলের বাড়ি থেকে ঘটনায় ব্যবহৃত ছুরি ও ভিকটিম বুলবুল আহমদের কাছ থেকে ছিনতাই করা মোবাইল ফোন নিজ হাতে বের করে দেয়। পরে আসামিদের কোর্টে প্রেরণ করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ সকাল ১১টার দিকে প্রাথমিকভাবে বুলবুলের পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা দেওয়ার ঘোষণা দেন। কিন্তু এই ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা সাড়ে চারটার দিকে বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভ শেষে তারা দাবি করেন, নিহত শিক্ষার্থীর পরিবারকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এককালীন ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ এবং প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকার করে দিতে হবে।

ঢাকা/এসএম