০৪:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪

ম্যারাডোনার নামে ন্যাপোলির স্টেডিয়াম

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:৩৬:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২০
  • / ৪১৩৫ বার দেখা হয়েছে

কথা দিয়ে কথা রেখেছেন নেপলস মেয়র লুজি দ্য ম্যাগিট্রিস। ঐতিহ্যবাহী ক্লাব ন্যাপোলির ঘরের মাঠ স্তাদিও সান পাওলোকে পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে স্তাদিও দিয়েগো আরমান্ডো ম্যারাডোনা।

এ নিয়ে এক বিবৃতিতে বলা হয়, সাত বছর দিয়েগো ন্যাপোলির জার্সি রাঙিয়েছেন। তার ম্যাজিক, ফুটবলশৈলী আমাদের মুগ্ধ করেছে। তার প্রতি এই শহরের মানুষের ভালোবাসা কোনো শর্ত মানে না। তাকে শ্রদ্ধা জানাতেই আমাদের এই উদ্যোগ।

যদিও সান পাওলোকে ম্যারাডোনার নামে রূপ দেওয়ার কাজটি সহজ ছিল না। নেপলস মেয়রের এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতাও করেন কেউ কেউ। ঠিক যেমন নেপলসের একদল পুরোহিত বাগড়া দিয়ে বসেন। তারা বলেছিলেন, এভাবে নাম রাখলে তাদের ধর্মীয় সৌন্দর্যের হানি হবে। তারা সান পাওলো নামটা কিছুতেই মুছতে চাননি। বরং সান পাওলোর সঙ্গে ম্যারাডোনা শব্দটা যোগ করে দিতে বলেন।

মেয়রকে চিঠিও দেয় পুরোহিত দল। যেখানে বলা হয়েছিল, ‘দ্য স্তাদিও সান পাওলো নামটা মূলত সন্তের (খ্রিষ্টধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে ঈশ্বরের নিকটবর্তী ও পবিত্রতায় অনন্য একজন) পরে নেওয়া হয়, যা কিনা আমাদের যিশুকে এনেছিল। অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে আমাদের দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে এ বিষয়টি আপনাকে বলতে হচ্ছে। তবে আমরা সবাই একটা জায়গায় একমত হয়েছি- আমরা পুরোপুরি এই নামটা সরাতে চাই না, সেজন্য মনে হয় সবচেয়ে উপযুক্ত হবে- সান পাওলো ম্যারাডোনা; এমন রাখলে। ঠিক যেমন মিলানের স্টেডিয়ামের নাম সান সিরো মিয়াজা রাখা হয়েছে। আসলে আমরা চাই, এমনভাবে নামটার পরিবর্তন যাতে বিশ্বাসবোধও ঠিক থাকে, পাশাপাশি চ্যাম্পিয়নকেও সম্মান দেওয়া হয়।’ কিন্তু এসবে কান দেননি সেখানকার মেয়র।

 

শেয়ার করুন

x
English Version

ম্যারাডোনার নামে ন্যাপোলির স্টেডিয়াম

আপডেট: ১১:৩৬:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২০

কথা দিয়ে কথা রেখেছেন নেপলস মেয়র লুজি দ্য ম্যাগিট্রিস। ঐতিহ্যবাহী ক্লাব ন্যাপোলির ঘরের মাঠ স্তাদিও সান পাওলোকে পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে স্তাদিও দিয়েগো আরমান্ডো ম্যারাডোনা।

এ নিয়ে এক বিবৃতিতে বলা হয়, সাত বছর দিয়েগো ন্যাপোলির জার্সি রাঙিয়েছেন। তার ম্যাজিক, ফুটবলশৈলী আমাদের মুগ্ধ করেছে। তার প্রতি এই শহরের মানুষের ভালোবাসা কোনো শর্ত মানে না। তাকে শ্রদ্ধা জানাতেই আমাদের এই উদ্যোগ।

যদিও সান পাওলোকে ম্যারাডোনার নামে রূপ দেওয়ার কাজটি সহজ ছিল না। নেপলস মেয়রের এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতাও করেন কেউ কেউ। ঠিক যেমন নেপলসের একদল পুরোহিত বাগড়া দিয়ে বসেন। তারা বলেছিলেন, এভাবে নাম রাখলে তাদের ধর্মীয় সৌন্দর্যের হানি হবে। তারা সান পাওলো নামটা কিছুতেই মুছতে চাননি। বরং সান পাওলোর সঙ্গে ম্যারাডোনা শব্দটা যোগ করে দিতে বলেন।

মেয়রকে চিঠিও দেয় পুরোহিত দল। যেখানে বলা হয়েছিল, ‘দ্য স্তাদিও সান পাওলো নামটা মূলত সন্তের (খ্রিষ্টধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে ঈশ্বরের নিকটবর্তী ও পবিত্রতায় অনন্য একজন) পরে নেওয়া হয়, যা কিনা আমাদের যিশুকে এনেছিল। অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে আমাদের দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে এ বিষয়টি আপনাকে বলতে হচ্ছে। তবে আমরা সবাই একটা জায়গায় একমত হয়েছি- আমরা পুরোপুরি এই নামটা সরাতে চাই না, সেজন্য মনে হয় সবচেয়ে উপযুক্ত হবে- সান পাওলো ম্যারাডোনা; এমন রাখলে। ঠিক যেমন মিলানের স্টেডিয়ামের নাম সান সিরো মিয়াজা রাখা হয়েছে। আসলে আমরা চাই, এমনভাবে নামটার পরিবর্তন যাতে বিশ্বাসবোধও ঠিক থাকে, পাশাপাশি চ্যাম্পিয়নকেও সম্মান দেওয়া হয়।’ কিন্তু এসবে কান দেননি সেখানকার মেয়র।