০৭:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪

যেকোনো সময় দেশে ফিরতে পারবেন সালাহউদ্দিন: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:৫৭:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ জুন ২০২৩
  • / ৪১৭২ বার দেখা হয়েছে

ভারতে অনুপ্রবেশ মামলায় মেঘালয়ের শিলং জজ কোর্ট থেকে খালাস পাওয়ায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ যেকোনো সময় দেশে ফিরতে পারবেন বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতিক শাখার মহাপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) রফিকুল ইসলাম বৃহস্পতিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, সরকার বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিনের দেশে ফেরার বিষয়ে কাজ করছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মতি পেয়ে আমাদের গৌহাটি মিশনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য। এরপর স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ট্রাভেল পাস ইস্যু করা হবে।’

এর আগে দেশে ফেরত আসার জন্য ট্রাভেল পাস ইস্যু করার জন্য সালাহউদ্দিনের একটি আবেদন ঢাকায় পাঠানো হয় মতামতের জন্য। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে সালাহউদ্দিনকে ট্রাভেল পাস দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ১১ মে থেকে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ে আছেন বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ। আর তার আগের দুই মাস দেশের ভেতরেই নিখোঁজ ছিলেন।

আরও পড়ুন: মিরপুর চিড়িয়াখানায় শিশুর হাত খেয়ে ফেললো হায়েনা

২০১৫ সালের মার্চে যখন সালাহউদ্দিন নিখোঁজ হন, ওই সময়ে বিএনপি পুরোদমে আন্দোলনে। তখন দলের মুখপাত্রের ভূমিকা পালন করছিলেন সালাহউদ্দিন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়িয়ে অজ্ঞাত জায়গা থেকে প্রতিদিন দলের কর্মসূচি ও নেতাকর্মীদের কাছে শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশনা গণমাধ্যমে মাধ্যমে পাঠানোর কাজটি করতেন তিনি।

দল ও পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ, ২০১৫ সালের ১০ মার্চ গভীর রাতে রাজধানীর উত্তরার একটি ফ্ল্যাট থেকে র‌্যাব ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে সালাহউদ্দিনকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এর দুই মাস পর পাশের দেশ ভারতে উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় তাকে।

উদ্ধারের পর সালাহউদ্দিনের বিরুদ্ধে দেশটিতে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে মামলা হয়। প্রায় সাড়ে তিন বছর মামলার কার্যক্রম চলার পর ২০১৮ সালের ১৩ আগস্ট বিচারিক প্রক্রিয়া শেষ হয়। ওই বছরের ২৬ অক্টোবর আদালতের রায়ে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে করা মামলায় নির্দোষ হিসেবে রায় পান সালাহউদ্দিন আহমেদ। পরে আবার সরকারপক্ষ ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে। আদালত পরে তাকে বেকসুর খালাস দেয়।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x

যেকোনো সময় দেশে ফিরতে পারবেন সালাহউদ্দিন: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

আপডেট: ০৬:৫৭:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ জুন ২০২৩

ভারতে অনুপ্রবেশ মামলায় মেঘালয়ের শিলং জজ কোর্ট থেকে খালাস পাওয়ায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ যেকোনো সময় দেশে ফিরতে পারবেন বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতিক শাখার মহাপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) রফিকুল ইসলাম বৃহস্পতিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, সরকার বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিনের দেশে ফেরার বিষয়ে কাজ করছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মতি পেয়ে আমাদের গৌহাটি মিশনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য। এরপর স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ট্রাভেল পাস ইস্যু করা হবে।’

এর আগে দেশে ফেরত আসার জন্য ট্রাভেল পাস ইস্যু করার জন্য সালাহউদ্দিনের একটি আবেদন ঢাকায় পাঠানো হয় মতামতের জন্য। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে সালাহউদ্দিনকে ট্রাভেল পাস দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ১১ মে থেকে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ে আছেন বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ। আর তার আগের দুই মাস দেশের ভেতরেই নিখোঁজ ছিলেন।

আরও পড়ুন: মিরপুর চিড়িয়াখানায় শিশুর হাত খেয়ে ফেললো হায়েনা

২০১৫ সালের মার্চে যখন সালাহউদ্দিন নিখোঁজ হন, ওই সময়ে বিএনপি পুরোদমে আন্দোলনে। তখন দলের মুখপাত্রের ভূমিকা পালন করছিলেন সালাহউদ্দিন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়িয়ে অজ্ঞাত জায়গা থেকে প্রতিদিন দলের কর্মসূচি ও নেতাকর্মীদের কাছে শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশনা গণমাধ্যমে মাধ্যমে পাঠানোর কাজটি করতেন তিনি।

দল ও পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ, ২০১৫ সালের ১০ মার্চ গভীর রাতে রাজধানীর উত্তরার একটি ফ্ল্যাট থেকে র‌্যাব ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে সালাহউদ্দিনকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এর দুই মাস পর পাশের দেশ ভারতে উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় তাকে।

উদ্ধারের পর সালাহউদ্দিনের বিরুদ্ধে দেশটিতে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে মামলা হয়। প্রায় সাড়ে তিন বছর মামলার কার্যক্রম চলার পর ২০১৮ সালের ১৩ আগস্ট বিচারিক প্রক্রিয়া শেষ হয়। ওই বছরের ২৬ অক্টোবর আদালতের রায়ে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে করা মামলায় নির্দোষ হিসেবে রায় পান সালাহউদ্দিন আহমেদ। পরে আবার সরকারপক্ষ ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে। আদালত পরে তাকে বেকসুর খালাস দেয়।

ঢাকা/টিএ