০৫:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪

রপ্তানি পণ্য পরিবহনে ভয়াবহ জট

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৩:২২:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ জুলাই ২০২১
  • / ৪১৫২ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: পোশাক কারখানায় রপ্তানি পণ্য তৈরির পর কাভার্ড ভ্যানে চট্টগ্রামের কনটেইনার ডিপোগুলোতে পাঠিয়ে দিয়েছেন রপ্তানিকারকেরা। ডিপোতেই এখন গড়াগড়ি খাচ্ছে কোটি কোটি ডলারের রপ্তানি পণ্য। কোনো কারখানার পণ্য হয়তো ডিপোর শেডে, কোনোটির কনটেইনারে, কোনোটির পণ্য ডিপোর সামনে গাড়িতেই পড়ে আছে।

চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে প্রতিদিন কনটেইনারে পণ্য রপ্তানি হলেও সংকট কাটছে না। ১৯টি ডিপোতে রপ্তানি পণ্যের ১৩ হাজার ৫৬০ কনটেইনারের স্তূপ জমে আছে । স্বাভাবিক সময়ে থাকে গড়ে ২ হাজার। এখন স্মরণকালের জট লেগেছে ডিপোতে।এর কারণ, যে পরিমাণ পণ্য রপ্তানি হচ্ছে, তার চেয়ে বেশি পণ্য প্রস্তুত হচ্ছে। রপ্তানি বাড়তে থাকায় সংকটও বাড়ছে। এর প্রধান কারণ, রপ্তানি পণ্য পরিবহনে কনটেইনার সংকট ও জাহাজে চাহিদা অনুযায়ী কনটেইনার পরিবহনের বুকিং না মেলা। তাতে চট্টগ্রামের ডিপোতে আটকে থাকা রপ্তানি পণ্য কবে বিদেশি ক্রেতার হাতে পৌঁছাবে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তা কাটছে না রপ্তানিকারকদের।

নারায়ণগঞ্জের এমবি নিট ফ্যাশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিকেএমইএর প্রথম সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম জানান, কনটেইনার সংকট ও জাহাজে বুকিং না পেয়ে কয়েকটি চালানে ১২ লাখ ডলারের রপ্তানি পণ্য এখন তাঁর কারখানা ও চট্টগ্রামের একটি ডিপোতে পড়ে আছে। এক সপ্তাহ থেকে সর্বোচ্চ এক মাস পর্যন্ত আটকে থাকা এসব পণ্য জাহাজীকরণ না হওয়ায় রপ্তানি আয়ও হাতে পাইনি।’

একই কথা জানালেন বড় রপ্তানিকারক চট্টগ্রাম ইপিজেডের প্যাসিফিক জিনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর। তিনি বলেন, বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় বিদেশি ক্রেতার হাতে পণ্য পৌঁছাতে এখন স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ২০–২৫ দিন বেশি সময় লাগছে। তিনি জানান, তিন–চার দিন আগে কারখানা থেকে ২৭টি কাভার্ড ভ্যানে রপ্তানি পণ্য কয়েকটি ডিপোতে পাঠিয়েছি। কিন্তু ডিপোর শেডে জায়গা না থাকায় গাড়ি থেকেই পণ্য নামানো যায়নি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

পণ্য রপ্তানির মোটামুটি সরবরাহ চক্রটি হলো, রপ্তানি পণ্য প্রস্তুত হলে কারখানা থেকে কাভার্ড ভ্যানে প্রথমে কনটেইনার ডিপোগুলোতে নিতে হয়। ডিপোতে আনার পর কাভার্ড ভ্যান থেকে পণ্য নামিয়ে শেডে রাখা হয়। সেখানে বিদেশি ক্রেতাদের প্রতিনিধি ফ্রেইট ফরোয়ার্ডারদের হাতে পণ্য বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এরপর ফ্রেইট ফরোয়ার্ডাররা কনটেইনার ভাড়া নিয়ে শেডে থাকা রপ্তানি পণ্য কনটেইনারে বোঝাই করার ব্যবস্থা করেন। একই সময়ে শুল্কায়ন কার্যক্রম হয়। এরপর ডিপো থেকে বন্দরে নিয়ে নির্ধারিত জাহাজে তুলে দেওয়া হয় কনটেইনার।

ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক খায়রুল আলম জানান, ‘রপ্তানিকারকেরা আমাদের পণ্য বুঝিয়ে দিলেও কনটেইনার সংকটের কারণে পণ্য বোঝাই করা যাচ্ছে না। আবার কনটেইনারে পণ্য বোঝাই হলেও ইউরোপ–আমেরিকাগামী বড় জাহাজের বুকিং পাওয়া যাচ্ছে কম। তাতে পণ্য রপ্তানিতে অনেক বেশি সময় লাগছে।’

এই সংকট পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তাদের ভাবিয়ে তুলছে। প্রতিদিন বিজিএমইএ নেতাদের কাছে সদস্যরা সমস্যার কথা জানাচ্ছেন। বিষয়টি স্বীকার করে বিজিএমইএর প্রথম সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম জানান, এখন যে সংকট চলছে, তাতে বিদ্যমান রপ্তানি চালান ক্রেতার হাতে পৌঁছাতে দুই থেকে চার সপ্তাহ বাড়তি সময় লাগছে। এতে পাইপলাইনে থাকা রপ্তানি চালান পাঠাতে আরও দেরি হলে বিশেষ ছাড় দিতে হতে পারে।

ডিপোতে রপ্তানি পণ্যের স্তূপ
চট্টগ্রামের বিএম ডিপোতে বিভিন্ন কারখানা থেকে আনা রপ্তানি পণ্য রাখার শেড প্রায় কানায় কানায় পূর্ণ। কনটেইনার সংকটে শেডে থাকা পণ্য কনটেইনারে তোলা যাচ্ছে না। তাতে কারখানা থেকে নতুন করে আসা রপ্তানি পণ্যের গাড়ি খালাস করতে দেরি হচ্ছে। গতকাল শনিবার এই ডিপোর সামনে ৩৩৯টি কাভার্ড ভ্যান পণ্য নিয়ে অপেক্ষায় ছিল। আবার পণ্য বোঝাই করে রাখা কনটেইনারের সংখ্যা ১ হাজার ৩০০টিতে উন্নীত হয়েছে এই ডিপোতে। একই চিত্র দেখা গেছে বন্দরে এক কিলোমিটার দূরে থাকা বেসরকারি ডিপো এছাক ব্রাদার্স ইন্ডাস্ট্রিজে। কনটেইনার ডিপো মালিক সমিতির হিসাবে, ১৯টি ডিপোতে গতকাল পণ্যবাহী কনটেইনার ছিল ১৩ হাজার ৫৬০টি। কনটেইনারে বোঝাইয়ের অপেক্ষায় শেডে ও গাড়িতে ছিল আরও বিপুল পণ্য।

সংকট বৈশ্বিক
করোনার ধাক্কা কাটিয়ে গেল বছরের শেষ দিকে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে গতি আসে। তাতে চীন থেকে রপ্তানি বাড়তে থাকে। আমদানি বাড়তে থাকে ইউরোপ–আমেরিকার দেশগুলোতে। তাতে সমুদ্রপথে পণ্য পরিবহনে জাহাজ ও কনটেইনার সংকট তৈরি হয়। এরপর কখনো কলম্বো, কখনো সিঙ্গাপুর বন্দর কিংবা এপ্রিলে সুয়েজ খালে জাহাজ আটকে অচলাবস্থা তৈরি হলে তার প্রভাব পড়ে বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থায়। সম্প্রতি ইউরোপ–আমেরিকার অনেক বন্দরে জট তৈরি হয়েছে। তাতে সেসব দেশের বন্দরে রপ্তানি পণ্য নামিয়ে কনটেইনার খালি হয়ে আসতে সময় লাগছে। চীনেও আমদানি কমে রপ্তানি অস্বাভাবিক বাড়ায় খালি কনটেইনারের সংকট তৈরি হয়েছে।

মেডিটেরিয়ান শিপিং কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের হেড অব অপারেশন অ্যান্ড লজিস্টিক আজমীর হোসাইন চৌধুরী গণমাধ্যমকে জানান, চীন কিংবা বাংলাদেশের মতো উৎপাদক দেশগুলোর রপ্তানি পণ্যের কনটেইনার যাচ্ছে ইউরোপ-আমেরিকার দেশগুলোতে। সেখানকার বন্দরে জটের কারণে কনটেইনার খালি বা পণ্যভর্তি হয়ে ফেরত আসতে দেরি হচ্ছে। তাতে কনটেইনার সংকট তীব্র হয়েছে। আবার আন্তর্জাতিক নৌপথে অনেক শিপিং কোম্পানি কনটেইনার পরিবহন ক্ষমতা কমিয়েছে জাহাজ ভাড়া অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায়।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন:

শেয়ার করুন

x
English Version

রপ্তানি পণ্য পরিবহনে ভয়াবহ জট

আপডেট: ০৩:২২:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ জুলাই ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: পোশাক কারখানায় রপ্তানি পণ্য তৈরির পর কাভার্ড ভ্যানে চট্টগ্রামের কনটেইনার ডিপোগুলোতে পাঠিয়ে দিয়েছেন রপ্তানিকারকেরা। ডিপোতেই এখন গড়াগড়ি খাচ্ছে কোটি কোটি ডলারের রপ্তানি পণ্য। কোনো কারখানার পণ্য হয়তো ডিপোর শেডে, কোনোটির কনটেইনারে, কোনোটির পণ্য ডিপোর সামনে গাড়িতেই পড়ে আছে।

চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে প্রতিদিন কনটেইনারে পণ্য রপ্তানি হলেও সংকট কাটছে না। ১৯টি ডিপোতে রপ্তানি পণ্যের ১৩ হাজার ৫৬০ কনটেইনারের স্তূপ জমে আছে । স্বাভাবিক সময়ে থাকে গড়ে ২ হাজার। এখন স্মরণকালের জট লেগেছে ডিপোতে।এর কারণ, যে পরিমাণ পণ্য রপ্তানি হচ্ছে, তার চেয়ে বেশি পণ্য প্রস্তুত হচ্ছে। রপ্তানি বাড়তে থাকায় সংকটও বাড়ছে। এর প্রধান কারণ, রপ্তানি পণ্য পরিবহনে কনটেইনার সংকট ও জাহাজে চাহিদা অনুযায়ী কনটেইনার পরিবহনের বুকিং না মেলা। তাতে চট্টগ্রামের ডিপোতে আটকে থাকা রপ্তানি পণ্য কবে বিদেশি ক্রেতার হাতে পৌঁছাবে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তা কাটছে না রপ্তানিকারকদের।

নারায়ণগঞ্জের এমবি নিট ফ্যাশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিকেএমইএর প্রথম সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম জানান, কনটেইনার সংকট ও জাহাজে বুকিং না পেয়ে কয়েকটি চালানে ১২ লাখ ডলারের রপ্তানি পণ্য এখন তাঁর কারখানা ও চট্টগ্রামের একটি ডিপোতে পড়ে আছে। এক সপ্তাহ থেকে সর্বোচ্চ এক মাস পর্যন্ত আটকে থাকা এসব পণ্য জাহাজীকরণ না হওয়ায় রপ্তানি আয়ও হাতে পাইনি।’

একই কথা জানালেন বড় রপ্তানিকারক চট্টগ্রাম ইপিজেডের প্যাসিফিক জিনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর। তিনি বলেন, বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় বিদেশি ক্রেতার হাতে পণ্য পৌঁছাতে এখন স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ২০–২৫ দিন বেশি সময় লাগছে। তিনি জানান, তিন–চার দিন আগে কারখানা থেকে ২৭টি কাভার্ড ভ্যানে রপ্তানি পণ্য কয়েকটি ডিপোতে পাঠিয়েছি। কিন্তু ডিপোর শেডে জায়গা না থাকায় গাড়ি থেকেই পণ্য নামানো যায়নি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

পণ্য রপ্তানির মোটামুটি সরবরাহ চক্রটি হলো, রপ্তানি পণ্য প্রস্তুত হলে কারখানা থেকে কাভার্ড ভ্যানে প্রথমে কনটেইনার ডিপোগুলোতে নিতে হয়। ডিপোতে আনার পর কাভার্ড ভ্যান থেকে পণ্য নামিয়ে শেডে রাখা হয়। সেখানে বিদেশি ক্রেতাদের প্রতিনিধি ফ্রেইট ফরোয়ার্ডারদের হাতে পণ্য বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এরপর ফ্রেইট ফরোয়ার্ডাররা কনটেইনার ভাড়া নিয়ে শেডে থাকা রপ্তানি পণ্য কনটেইনারে বোঝাই করার ব্যবস্থা করেন। একই সময়ে শুল্কায়ন কার্যক্রম হয়। এরপর ডিপো থেকে বন্দরে নিয়ে নির্ধারিত জাহাজে তুলে দেওয়া হয় কনটেইনার।

ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক খায়রুল আলম জানান, ‘রপ্তানিকারকেরা আমাদের পণ্য বুঝিয়ে দিলেও কনটেইনার সংকটের কারণে পণ্য বোঝাই করা যাচ্ছে না। আবার কনটেইনারে পণ্য বোঝাই হলেও ইউরোপ–আমেরিকাগামী বড় জাহাজের বুকিং পাওয়া যাচ্ছে কম। তাতে পণ্য রপ্তানিতে অনেক বেশি সময় লাগছে।’

এই সংকট পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তাদের ভাবিয়ে তুলছে। প্রতিদিন বিজিএমইএ নেতাদের কাছে সদস্যরা সমস্যার কথা জানাচ্ছেন। বিষয়টি স্বীকার করে বিজিএমইএর প্রথম সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম জানান, এখন যে সংকট চলছে, তাতে বিদ্যমান রপ্তানি চালান ক্রেতার হাতে পৌঁছাতে দুই থেকে চার সপ্তাহ বাড়তি সময় লাগছে। এতে পাইপলাইনে থাকা রপ্তানি চালান পাঠাতে আরও দেরি হলে বিশেষ ছাড় দিতে হতে পারে।

ডিপোতে রপ্তানি পণ্যের স্তূপ
চট্টগ্রামের বিএম ডিপোতে বিভিন্ন কারখানা থেকে আনা রপ্তানি পণ্য রাখার শেড প্রায় কানায় কানায় পূর্ণ। কনটেইনার সংকটে শেডে থাকা পণ্য কনটেইনারে তোলা যাচ্ছে না। তাতে কারখানা থেকে নতুন করে আসা রপ্তানি পণ্যের গাড়ি খালাস করতে দেরি হচ্ছে। গতকাল শনিবার এই ডিপোর সামনে ৩৩৯টি কাভার্ড ভ্যান পণ্য নিয়ে অপেক্ষায় ছিল। আবার পণ্য বোঝাই করে রাখা কনটেইনারের সংখ্যা ১ হাজার ৩০০টিতে উন্নীত হয়েছে এই ডিপোতে। একই চিত্র দেখা গেছে বন্দরে এক কিলোমিটার দূরে থাকা বেসরকারি ডিপো এছাক ব্রাদার্স ইন্ডাস্ট্রিজে। কনটেইনার ডিপো মালিক সমিতির হিসাবে, ১৯টি ডিপোতে গতকাল পণ্যবাহী কনটেইনার ছিল ১৩ হাজার ৫৬০টি। কনটেইনারে বোঝাইয়ের অপেক্ষায় শেডে ও গাড়িতে ছিল আরও বিপুল পণ্য।

সংকট বৈশ্বিক
করোনার ধাক্কা কাটিয়ে গেল বছরের শেষ দিকে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে গতি আসে। তাতে চীন থেকে রপ্তানি বাড়তে থাকে। আমদানি বাড়তে থাকে ইউরোপ–আমেরিকার দেশগুলোতে। তাতে সমুদ্রপথে পণ্য পরিবহনে জাহাজ ও কনটেইনার সংকট তৈরি হয়। এরপর কখনো কলম্বো, কখনো সিঙ্গাপুর বন্দর কিংবা এপ্রিলে সুয়েজ খালে জাহাজ আটকে অচলাবস্থা তৈরি হলে তার প্রভাব পড়ে বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থায়। সম্প্রতি ইউরোপ–আমেরিকার অনেক বন্দরে জট তৈরি হয়েছে। তাতে সেসব দেশের বন্দরে রপ্তানি পণ্য নামিয়ে কনটেইনার খালি হয়ে আসতে সময় লাগছে। চীনেও আমদানি কমে রপ্তানি অস্বাভাবিক বাড়ায় খালি কনটেইনারের সংকট তৈরি হয়েছে।

মেডিটেরিয়ান শিপিং কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের হেড অব অপারেশন অ্যান্ড লজিস্টিক আজমীর হোসাইন চৌধুরী গণমাধ্যমকে জানান, চীন কিংবা বাংলাদেশের মতো উৎপাদক দেশগুলোর রপ্তানি পণ্যের কনটেইনার যাচ্ছে ইউরোপ-আমেরিকার দেশগুলোতে। সেখানকার বন্দরে জটের কারণে কনটেইনার খালি বা পণ্যভর্তি হয়ে ফেরত আসতে দেরি হচ্ছে। তাতে কনটেইনার সংকট তীব্র হয়েছে। আবার আন্তর্জাতিক নৌপথে অনেক শিপিং কোম্পানি কনটেইনার পরিবহন ক্ষমতা কমিয়েছে জাহাজ ভাড়া অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায়।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন: