০৩:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪

রফতানিমুখী সব শিল্পখাতে একই কর্পোরেট কর বাস্তবায়নের দাবি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:৪৯:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ মার্চ ২০২১
  • / ৪১২৫ বার দেখা হয়েছে

রফতানিমুখী সব শিল্পখাতে কর্পোরেট কর হার একই করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রফাতানিকারক অ্যাসোসিয়েশনসহ (বিপিজিএমইএ) বিভিন্ন সংগঠন।

রোববার (১৪ মার্চ) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে প্রাক-বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে তারা এ দাবি উপস্থাপন করে সংগঠনগুলোর নেতারা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। এতে বোর্ডের সদস্য এবং ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বিপিজিএমইএ সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, ‘স্বল্পোন্নত দেশ থেকে ২০২৬ সালে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের প্রক্রিয়া এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। এর ফলে রফতানি বাজারে আমাদের নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি হবে। এ জন্য রফতানি বাজার বাড়াতে প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টরা গুরুত্ব দিচ্ছেন। মূলত বর্তমান রফতানি পণ্যের পাশাপাশি নতুন পণ্যের বাজার তৈরি করাই প্রধান লক্ষ্য।’

তিনি বলেন, প্লাস্টিক খাত থেকে বর্তমানে এক বিলিয়ন ডলার রফতানি হয়। করোনার কারণে এমনিতেই খাতটি ক্ষতিগ্রস্ত। রফতানিমুখী শিল্প হিসেবে এনবিআর এসআরও মাধ্যমে নিটওয়্যার এবং ওভেন গার্মেন্টস উৎপাদন ও রফতানির ক্ষেত্রে কোম্পানির কর্পোরেট কর ১২ শতাংশ এবং গ্রীন কারখানার জন্য ১০ শতাংশ করা হয়েছে। কিন্তু এক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং সেক্টরের জন্য তা ৩২ দশমিক ৫০ শতাংশ। যদিও গার্মেন্টস এক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং শিল্প প্রতিষ্ঠনসমূহ শতভাগ রফতানিমুখী।

তিনি আরো বলেন, শুধুমাত্র একটি খাতকে সব সুযোগ সুবিধার আওতায় রাখলে হবে না। সম্ভবনাময় অন্যান্য খাতকে সামনে নিয়ে আসতে হবে। সবাইকে একই সুবিধা দিতে হবে। সবাইকে এক সুবিধার আওয়ায় আনতে পারলে রফতানি আয় বাড়বে এবং রাজস্ব বাড়বে।

অন্যদিকে বাংলাদেশ গার্মেন্ট এক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএপিএমইএ) সভাপতি মো. আবদুল কাদের খান বলেন, ‘রাজস্ব বোর্ড জাতীয় ও অর্থনীতির স্বার্থে তৈরি পোশাক খাতের ন্যায় গার্মেন্টস এক্সেসরিজ ও প্যকেজিং শিল্পে কর্পোরেট কর ১২ শতাংশ নামিয়ে আনার জন্য অনুরোধ করছি। এতে রফতানিমুখী শিল্প হিসেবে এ খাত রাজস্ব বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।’

ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, ‘প্যাকিংয়ের নামে বিদেশে থেকে আমদানি করা ফলমূলের সঙ্গে বিনাশুল্কে বিপুল পরিমাণ প্লাস্টিক ক্রেট বা কেইস দেশে আসছে। এসব পণ্য পরবর্তীতে স্থানীয় বাজারে মার্কেটিং করা হচ্ছে। এর ফলে দেশীয় প্লাস্টিক কেইস শিল্প মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ অবস্থায় ভারত থেকে প্যাকিং ম্যাটরিয়াল হিসেবে আমদানি করা প্লাস্টিক ক্রেট বা কেইসের ওপর যৌক্তিক হারে শুল্ক নির্ধারণ করা প্রয়োজন।

বিজনেসজার্নাল/এইচজে

শেয়ার করুন

x
English Version

রফতানিমুখী সব শিল্পখাতে একই কর্পোরেট কর বাস্তবায়নের দাবি

আপডেট: ১১:৪৯:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ মার্চ ২০২১

রফতানিমুখী সব শিল্পখাতে কর্পোরেট কর হার একই করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রফাতানিকারক অ্যাসোসিয়েশনসহ (বিপিজিএমইএ) বিভিন্ন সংগঠন।

রোববার (১৪ মার্চ) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে প্রাক-বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে তারা এ দাবি উপস্থাপন করে সংগঠনগুলোর নেতারা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। এতে বোর্ডের সদস্য এবং ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বিপিজিএমইএ সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, ‘স্বল্পোন্নত দেশ থেকে ২০২৬ সালে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের প্রক্রিয়া এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। এর ফলে রফতানি বাজারে আমাদের নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি হবে। এ জন্য রফতানি বাজার বাড়াতে প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টরা গুরুত্ব দিচ্ছেন। মূলত বর্তমান রফতানি পণ্যের পাশাপাশি নতুন পণ্যের বাজার তৈরি করাই প্রধান লক্ষ্য।’

তিনি বলেন, প্লাস্টিক খাত থেকে বর্তমানে এক বিলিয়ন ডলার রফতানি হয়। করোনার কারণে এমনিতেই খাতটি ক্ষতিগ্রস্ত। রফতানিমুখী শিল্প হিসেবে এনবিআর এসআরও মাধ্যমে নিটওয়্যার এবং ওভেন গার্মেন্টস উৎপাদন ও রফতানির ক্ষেত্রে কোম্পানির কর্পোরেট কর ১২ শতাংশ এবং গ্রীন কারখানার জন্য ১০ শতাংশ করা হয়েছে। কিন্তু এক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং সেক্টরের জন্য তা ৩২ দশমিক ৫০ শতাংশ। যদিও গার্মেন্টস এক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং শিল্প প্রতিষ্ঠনসমূহ শতভাগ রফতানিমুখী।

তিনি আরো বলেন, শুধুমাত্র একটি খাতকে সব সুযোগ সুবিধার আওতায় রাখলে হবে না। সম্ভবনাময় অন্যান্য খাতকে সামনে নিয়ে আসতে হবে। সবাইকে একই সুবিধা দিতে হবে। সবাইকে এক সুবিধার আওয়ায় আনতে পারলে রফতানি আয় বাড়বে এবং রাজস্ব বাড়বে।

অন্যদিকে বাংলাদেশ গার্মেন্ট এক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএপিএমইএ) সভাপতি মো. আবদুল কাদের খান বলেন, ‘রাজস্ব বোর্ড জাতীয় ও অর্থনীতির স্বার্থে তৈরি পোশাক খাতের ন্যায় গার্মেন্টস এক্সেসরিজ ও প্যকেজিং শিল্পে কর্পোরেট কর ১২ শতাংশ নামিয়ে আনার জন্য অনুরোধ করছি। এতে রফতানিমুখী শিল্প হিসেবে এ খাত রাজস্ব বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।’

ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, ‘প্যাকিংয়ের নামে বিদেশে থেকে আমদানি করা ফলমূলের সঙ্গে বিনাশুল্কে বিপুল পরিমাণ প্লাস্টিক ক্রেট বা কেইস দেশে আসছে। এসব পণ্য পরবর্তীতে স্থানীয় বাজারে মার্কেটিং করা হচ্ছে। এর ফলে দেশীয় প্লাস্টিক কেইস শিল্প মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ অবস্থায় ভারত থেকে প্যাকিং ম্যাটরিয়াল হিসেবে আমদানি করা প্লাস্টিক ক্রেট বা কেইসের ওপর যৌক্তিক হারে শুল্ক নির্ধারণ করা প্রয়োজন।

বিজনেসজার্নাল/এইচজে