০৪:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪

রফতানি ট্রফি পেলো পুঁজিবাজারের আট কোম্পানি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:১১:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ এপ্রিল ২০২২
  • / ৪১৭৫ বার দেখা হয়েছে

জাতীয় রপ্তানি ট্রফি/ফাইল ফটো

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: ২০১৭-১৮ অর্থবছরে সর্বোচ্চ রপ্তানি আয়ের ভিত্তিতে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রপ্তানি ট্রফি পেয়েছে দেশের অন্যতম ৬৬টি প্রতিষ্ঠান। এরমধ্যে রয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৮ কোম্পানি। যেগুলো হলো- স্কয়ার ফার্মা, বেক্সিমকো ফার্মা, বিএসআরএম লিমিটেড, শাইনপুকুর সিরামিক, এনার্জিপ্যাক ইঞ্জিনিয়ারিং, স্কয়ার টেক্সটাইল, এনভয় টেক্সটাইল ও অ্যাপেক্স ট্যানারী লিমেটেড। এছাড়া, রয়েছে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত প্রাণ গ্রুপের দুটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

আজ বৃহস্পতিবার আড়ম্বরপূর্ণ এক অনুষ্ঠানে জাতীয় ট্রফি দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। বঙ্গবভন থেকে তিনি ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হন।

রাজধানীর হোটেল রেডিসনে এ অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের হাতে ট্রফি তুলে দেন। এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, এফবিসিসিআই’র সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান উপস্থিত ছিলেন। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে রপ্তানিতে অবদানের জন্য এ পুরস্কার দেওয়া হয়।

পুরস্কার দেওয়া হয় মোট ২৭টি খাতে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রথমবারের মত এবার খাত নির্বিশেষে সর্বোচ্চ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রপ্তানি ট্রফি (স্বর্ণ) চালু করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)। সভাপতিত্ব করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, করোনার প্রতিকূলতার মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বড় ধরনের আর্থিক প্রণোদনা দিয়েছেন। অন্যান্য সহায়ক নীতিও নেওয়া হয়েছে। এর ফলে করোনার ধাক্কা কাটিয়ে দ্রুত রপ্তানি বাড়তে থাকে। বিশ্ববাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে দ্বিতীয় স্থান ফিরে পেয়েছে বাংলাদেশ।

অনুষ্ঠানে হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ. কে. আজাদ এবং এনভয় গ্রুপের চেয়ারম্যান কুতুব উদ্দিনের নাম উল্লেখ করে টিপু মুনশি বলেন, তাদের মতো উদ্যোক্তারা ‘৮৫ সালের দিকে ছোট আকারে ব্যবসা শুরু করে দেশের পোশাক খাতকে আজকের অবস্থানে নিয়ে এসেছেন।

এর আগে গত বছরের ২৯ জুলাই ৬৬ প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

প্রজ্ঞাপনের তথ্যানুযায়ী-সর্বোচ্চ রপ্তানি আয়ের ভিত্তিতে সেরা রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের পুরস্কার পেয়েছে জাবের অ্যান্ড জোবায়ের ফেব্রিকস লিমিটেড।

কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য (তামাক ব্যতীত) খাতে স্বর্ণপদকের জন্য নির্বাচিত হয়েছে ‘প্রাণ ডেইরি লিমিটেড’। এ ক্যাটাগরিতে রৌপ্যপদক পেয়েছে ‘প্রাণ অ্যাগ্রো লিমিটেড’। এছাড়া ব্রোঞ্জপদক পেয়েছে প্রাণ গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ‘হবিগঞ্জ অ্যাগ্রো লিমিটেড’।

তৈরি পোশাক (ওভেন) খাতে স্বর্ণপদক পেয়েছে রিফাত গার্মেন্টস লিমিটেড, রৌপ্যপদক পেয়েছে এ কে এম নিটওয়্যার লিমিটেড এবং ব্রোঞ্জপদক পেয়েছে তারাশিমা অ্যাপারেলস।

তৈরি পোশাক (নিটওয়্যার) খাতে স্বর্ণপদক পেয়েছে স্কয়ার ফ্যাশনস লিমিটেড, রৌপ্য পেয়েছে ফোর এইচ ফ্যাশনস এবং ব্রোঞ্জপদক পেয়েছে জি এম এস কম্পোজিট নিটিং ইন্ডাস্ট্রিজ।

সব ধরনের সুতাখাতে স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জ পেয়েছে যথাক্রমে বাদশা টেক্সটাইল লিমিটেড, কামাল ইয়ার্ন লিমিটেড ও নাইস কটন লিমিটেড। টেক্সটাইল ফেব্রিকস খাতে স্বর্ণপদক পেয়েছে এনভয় টেক্সটাইল লিমিটেড। এছাড়া রৌপ্যপদক পেয়েছে নোমান উইভিং মিলস এবং ব্রোঞ্জ পেয়েছে ফোর এইচ ডাইং অ্যান্ড প্রিন্টিং।

হোম ও বিশেষায়িত টেক্সটাইল পণ্য খাতে স্বর্ণ ও রৌপ্যপদক পেয়েছে যথাক্রমে জাবের অ্যান্ড জোবায়ের ফেব্রিকস লিমিটেড ও এ সি এস টেক্সটাইল (বাংলাদেশ) লিমিটেড। টেরিটাওয়েল খাতে স্বর্ণপদক পেয়েছে নোমান টেরিটাওয়েল মিলস লিমিটেড।

হিমায়িত খাদ্যপণ্য খাতে স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জপদকের জন্য নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানগুলো হলো যথাক্রমে বিডি সি ফুড, এম ইউ সি ফুড এবং জালালাবাদ ফ্রোজেন ফুডস লিমিটেড। কাঁচা পাটজাতপণ্য খাতে স্বর্ণপদক পেয়েছে ইন্টারন্যাশনাল জুট ট্রেডার্স।

পাটজাতপণ্যে স্বর্ণপদক পেয়েছে আকিজ জুট মিলস লিমিটেড এবং রৌপ্যপদক পেয়েছে দ্য গোল্ডেন ফাইবার ট্রেড সেন্টার লিমিটেড। ক্রাস্ট বা ফিনিশড চামড়া পণ্য খাতে একমাত্র স্বর্ণপদক পেয়েছে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত অ্যাপেক্স ট্যানারি।

চামড়াজাত পণ্য খাতে স্বর্ণপদক পেয়েছে পিকার্ড বাংলাদেশ লিমিটেড, রৌপ্যপদক পেয়েছে এবিসি ফুটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এবং ব্রোঞ্জপদক পেয়েছে বিবি জে লেদার গুডস লিমিটেড।

ফুটওয়্যার (সব) খাতে স্বর্ণপদক পেয়েছে বে-ফুটওয়্যার লিমিটেড, রৌপ্যপদক পেয়েছে এফবি ফুটওয়্যার লিমিটেড এবং ব্রোঞ্জপদক পেয়েছে অ্যালায়েন্স লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার লিমিটেড।

হস্তশিল্পজাত পণ্য খাতে স্বর্ণপদক পেয়েছে কারুপণ্য রংপুর লিমিটেড, রৌপ্যপদক পেয়েছে ক্ল্যাসিক্যাল হ্যান্ডমেড প্রোডাক্ট বিডি এবং ব্রোঞ্জপদক পেয়েছে বিডি ক্রিয়েশন।

কৃষিজ পণ্য (তামাক ব্যতীত) খাতে স্বর্ণপদক পেয়েছে মনসুর জেনারেল ট্রেডিং লিমিটেড, রৌপ্যপদক পেয়েছে হেরিটেজ এন্টারপ্রাইজ এবং ব্রোঞ্জপদক পেয়েছে আবদুল্লাহ ট্রেডিং।

প্লাস্টিক পণ্য খাতে স্বর্ণপদক পেয়েছে বেঙ্গল প্লাস্টিকস লিমিটেড ইউনিট-৩, রৌপ্যপদক পেয়েছে আরএফএল গ্রুপের প্রতিষ্ঠান অল প্লাস্ট বাংলাদেশ লিমিটেড এবং ব্রোঞ্জপদক পেয়েছে তানভীর পলিমার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।

সিরামিক শিল্প খাতে স্বর্ণপদক পেয়েছে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত শাইনপুকুর সিরামিকস লিমিটেড ও রৌপ্যপদক পেয়েছে আর্টিসান সিরামিকস লিমিটেড।

হালকা প্রকৌশল খাতে স্বর্ণপদক পেয়েছে ইউনিগ্লোরি সাইকেল কম্পোনেন্ট লিমিটেড ও রৌপ্যপদক পেয়েছে আরএফএল গ্রুপের প্রতিষ্ঠান রংপুর মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ইউনিট-২।

ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিকস পণ্য খাতে স্বর্ণপদক পেয়েছে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত এনার্জিপ্যাক ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড ও রৌপ্যপদক পেয়েছে বি আর বি ক্যাবল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।

অন্যান্য শিল্পজাত পণ্য খাতে স্বর্ণপদক পেয়েছে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেড, রৌপ্যপদক পেয়েছে মেরিন সেফটি সিস্টেম এবং ব্রোঞ্জপদক পাচ্ছে এশিয়া মেটাল মেরিন সার্ভিস।

ওষুধ পণ্যে স্বর্ণপদক পাচ্ছে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড ও রৌপ্যপদক পেয়েছে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত আরেক প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।

ইপিজেডভুক্ত শতভাগ বাংলাদেশি মালিকানাধীন (‘সি’ ক্যাটাগরি) তৈরি পোশাকশিল্পে (নিট ও ওভেন) স্বর্ণপদক পেয়েছে ইউনিভার্সেল জিনস লিমিটেড ও রৌপ্যপদক পেয়েছে প্যাসিফিক জিনস লিমিটেড।

ইপিজেডভুক্ত শতভাগ বাংলাদেশি মালিকানাধীন (‘সি’ ক্যাটাগরি) অন্যান্য পণ্য ও সেবা খাতে স্বর্ণপদক পেয়েছে ফারদিন এক্সেসরিজ লিমিটেড ও রৌপ্যপদক পেয়েছে আর এম ইন্টারলাইনিংস লিমিটেড।

প্যাকেজিং ও এক্সেসরিজ পণ্য খাতে স্বর্ণপদক পেয়েছে মনট্রিমস লিমিটেড, রৌপ্যপদক পেয়েছে এম অ্যান্ড ইউ প্যাকেজিং লিমিটেড এবং ব্রোঞ্জপদক পেয়েছে ইউনিগ্লোরি প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।

অন্যান্য প্রাথমিক পণ্যে স্বর্ণপদক পেয়েছে অর্কিড ট্রেডিং করপোরেশন, রৌপ্যপদক পাচ্ছে ইকো ফ্রেশ ইন্টারন্যাশনাল এবং ব্রোঞ্জপদক পাচ্ছে বাং চুং ট্রেড অ্যান্ড ট্যুরিজম। অন্যান্য সেবা খাতে একমাত্র স্বর্ণপদক পেয়েছে মীর টেলিকম লিমিটেড।

নারী উদ্যোক্তা বা রপ্তানিকারকদের জন্য সংরক্ষিত খাতে (পণ্য ও সেবা) স্বর্ণপদক পেয়েছে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত স্কয়ার টেক্সটাইলস লিমিটেড, রৌপ্যপদক পেয়েছে আল-সালাম ফেব্রিকস প্রাইভেট লিমিটেড এবং ব্রোঞ্জপদক পেয়েছে ইব্রাহিম নিট গার্মেন্টস প্রাইভেট লিমিটেড।

ঢাকা/এসআর

শেয়ার করুন

x
English Version

রফতানি ট্রফি পেলো পুঁজিবাজারের আট কোম্পানি

আপডেট: ১২:১১:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ এপ্রিল ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: ২০১৭-১৮ অর্থবছরে সর্বোচ্চ রপ্তানি আয়ের ভিত্তিতে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রপ্তানি ট্রফি পেয়েছে দেশের অন্যতম ৬৬টি প্রতিষ্ঠান। এরমধ্যে রয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৮ কোম্পানি। যেগুলো হলো- স্কয়ার ফার্মা, বেক্সিমকো ফার্মা, বিএসআরএম লিমিটেড, শাইনপুকুর সিরামিক, এনার্জিপ্যাক ইঞ্জিনিয়ারিং, স্কয়ার টেক্সটাইল, এনভয় টেক্সটাইল ও অ্যাপেক্স ট্যানারী লিমেটেড। এছাড়া, রয়েছে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত প্রাণ গ্রুপের দুটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

আজ বৃহস্পতিবার আড়ম্বরপূর্ণ এক অনুষ্ঠানে জাতীয় ট্রফি দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। বঙ্গবভন থেকে তিনি ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হন।

রাজধানীর হোটেল রেডিসনে এ অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের হাতে ট্রফি তুলে দেন। এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, এফবিসিসিআই’র সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান উপস্থিত ছিলেন। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে রপ্তানিতে অবদানের জন্য এ পুরস্কার দেওয়া হয়।

পুরস্কার দেওয়া হয় মোট ২৭টি খাতে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রথমবারের মত এবার খাত নির্বিশেষে সর্বোচ্চ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রপ্তানি ট্রফি (স্বর্ণ) চালু করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)। সভাপতিত্ব করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, করোনার প্রতিকূলতার মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বড় ধরনের আর্থিক প্রণোদনা দিয়েছেন। অন্যান্য সহায়ক নীতিও নেওয়া হয়েছে। এর ফলে করোনার ধাক্কা কাটিয়ে দ্রুত রপ্তানি বাড়তে থাকে। বিশ্ববাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে দ্বিতীয় স্থান ফিরে পেয়েছে বাংলাদেশ।

অনুষ্ঠানে হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ. কে. আজাদ এবং এনভয় গ্রুপের চেয়ারম্যান কুতুব উদ্দিনের নাম উল্লেখ করে টিপু মুনশি বলেন, তাদের মতো উদ্যোক্তারা ‘৮৫ সালের দিকে ছোট আকারে ব্যবসা শুরু করে দেশের পোশাক খাতকে আজকের অবস্থানে নিয়ে এসেছেন।

এর আগে গত বছরের ২৯ জুলাই ৬৬ প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

প্রজ্ঞাপনের তথ্যানুযায়ী-সর্বোচ্চ রপ্তানি আয়ের ভিত্তিতে সেরা রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের পুরস্কার পেয়েছে জাবের অ্যান্ড জোবায়ের ফেব্রিকস লিমিটেড।

কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য (তামাক ব্যতীত) খাতে স্বর্ণপদকের জন্য নির্বাচিত হয়েছে ‘প্রাণ ডেইরি লিমিটেড’। এ ক্যাটাগরিতে রৌপ্যপদক পেয়েছে ‘প্রাণ অ্যাগ্রো লিমিটেড’। এছাড়া ব্রোঞ্জপদক পেয়েছে প্রাণ গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ‘হবিগঞ্জ অ্যাগ্রো লিমিটেড’।

তৈরি পোশাক (ওভেন) খাতে স্বর্ণপদক পেয়েছে রিফাত গার্মেন্টস লিমিটেড, রৌপ্যপদক পেয়েছে এ কে এম নিটওয়্যার লিমিটেড এবং ব্রোঞ্জপদক পেয়েছে তারাশিমা অ্যাপারেলস।

তৈরি পোশাক (নিটওয়্যার) খাতে স্বর্ণপদক পেয়েছে স্কয়ার ফ্যাশনস লিমিটেড, রৌপ্য পেয়েছে ফোর এইচ ফ্যাশনস এবং ব্রোঞ্জপদক পেয়েছে জি এম এস কম্পোজিট নিটিং ইন্ডাস্ট্রিজ।

সব ধরনের সুতাখাতে স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জ পেয়েছে যথাক্রমে বাদশা টেক্সটাইল লিমিটেড, কামাল ইয়ার্ন লিমিটেড ও নাইস কটন লিমিটেড। টেক্সটাইল ফেব্রিকস খাতে স্বর্ণপদক পেয়েছে এনভয় টেক্সটাইল লিমিটেড। এছাড়া রৌপ্যপদক পেয়েছে নোমান উইভিং মিলস এবং ব্রোঞ্জ পেয়েছে ফোর এইচ ডাইং অ্যান্ড প্রিন্টিং।

হোম ও বিশেষায়িত টেক্সটাইল পণ্য খাতে স্বর্ণ ও রৌপ্যপদক পেয়েছে যথাক্রমে জাবের অ্যান্ড জোবায়ের ফেব্রিকস লিমিটেড ও এ সি এস টেক্সটাইল (বাংলাদেশ) লিমিটেড। টেরিটাওয়েল খাতে স্বর্ণপদক পেয়েছে নোমান টেরিটাওয়েল মিলস লিমিটেড।

হিমায়িত খাদ্যপণ্য খাতে স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জপদকের জন্য নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানগুলো হলো যথাক্রমে বিডি সি ফুড, এম ইউ সি ফুড এবং জালালাবাদ ফ্রোজেন ফুডস লিমিটেড। কাঁচা পাটজাতপণ্য খাতে স্বর্ণপদক পেয়েছে ইন্টারন্যাশনাল জুট ট্রেডার্স।

পাটজাতপণ্যে স্বর্ণপদক পেয়েছে আকিজ জুট মিলস লিমিটেড এবং রৌপ্যপদক পেয়েছে দ্য গোল্ডেন ফাইবার ট্রেড সেন্টার লিমিটেড। ক্রাস্ট বা ফিনিশড চামড়া পণ্য খাতে একমাত্র স্বর্ণপদক পেয়েছে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত অ্যাপেক্স ট্যানারি।

চামড়াজাত পণ্য খাতে স্বর্ণপদক পেয়েছে পিকার্ড বাংলাদেশ লিমিটেড, রৌপ্যপদক পেয়েছে এবিসি ফুটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এবং ব্রোঞ্জপদক পেয়েছে বিবি জে লেদার গুডস লিমিটেড।

ফুটওয়্যার (সব) খাতে স্বর্ণপদক পেয়েছে বে-ফুটওয়্যার লিমিটেড, রৌপ্যপদক পেয়েছে এফবি ফুটওয়্যার লিমিটেড এবং ব্রোঞ্জপদক পেয়েছে অ্যালায়েন্স লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার লিমিটেড।

হস্তশিল্পজাত পণ্য খাতে স্বর্ণপদক পেয়েছে কারুপণ্য রংপুর লিমিটেড, রৌপ্যপদক পেয়েছে ক্ল্যাসিক্যাল হ্যান্ডমেড প্রোডাক্ট বিডি এবং ব্রোঞ্জপদক পেয়েছে বিডি ক্রিয়েশন।

কৃষিজ পণ্য (তামাক ব্যতীত) খাতে স্বর্ণপদক পেয়েছে মনসুর জেনারেল ট্রেডিং লিমিটেড, রৌপ্যপদক পেয়েছে হেরিটেজ এন্টারপ্রাইজ এবং ব্রোঞ্জপদক পেয়েছে আবদুল্লাহ ট্রেডিং।

প্লাস্টিক পণ্য খাতে স্বর্ণপদক পেয়েছে বেঙ্গল প্লাস্টিকস লিমিটেড ইউনিট-৩, রৌপ্যপদক পেয়েছে আরএফএল গ্রুপের প্রতিষ্ঠান অল প্লাস্ট বাংলাদেশ লিমিটেড এবং ব্রোঞ্জপদক পেয়েছে তানভীর পলিমার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।

সিরামিক শিল্প খাতে স্বর্ণপদক পেয়েছে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত শাইনপুকুর সিরামিকস লিমিটেড ও রৌপ্যপদক পেয়েছে আর্টিসান সিরামিকস লিমিটেড।

হালকা প্রকৌশল খাতে স্বর্ণপদক পেয়েছে ইউনিগ্লোরি সাইকেল কম্পোনেন্ট লিমিটেড ও রৌপ্যপদক পেয়েছে আরএফএল গ্রুপের প্রতিষ্ঠান রংপুর মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ইউনিট-২।

ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিকস পণ্য খাতে স্বর্ণপদক পেয়েছে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত এনার্জিপ্যাক ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড ও রৌপ্যপদক পেয়েছে বি আর বি ক্যাবল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।

অন্যান্য শিল্পজাত পণ্য খাতে স্বর্ণপদক পেয়েছে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেড, রৌপ্যপদক পেয়েছে মেরিন সেফটি সিস্টেম এবং ব্রোঞ্জপদক পাচ্ছে এশিয়া মেটাল মেরিন সার্ভিস।

ওষুধ পণ্যে স্বর্ণপদক পাচ্ছে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড ও রৌপ্যপদক পেয়েছে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত আরেক প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।

ইপিজেডভুক্ত শতভাগ বাংলাদেশি মালিকানাধীন (‘সি’ ক্যাটাগরি) তৈরি পোশাকশিল্পে (নিট ও ওভেন) স্বর্ণপদক পেয়েছে ইউনিভার্সেল জিনস লিমিটেড ও রৌপ্যপদক পেয়েছে প্যাসিফিক জিনস লিমিটেড।

ইপিজেডভুক্ত শতভাগ বাংলাদেশি মালিকানাধীন (‘সি’ ক্যাটাগরি) অন্যান্য পণ্য ও সেবা খাতে স্বর্ণপদক পেয়েছে ফারদিন এক্সেসরিজ লিমিটেড ও রৌপ্যপদক পেয়েছে আর এম ইন্টারলাইনিংস লিমিটেড।

প্যাকেজিং ও এক্সেসরিজ পণ্য খাতে স্বর্ণপদক পেয়েছে মনট্রিমস লিমিটেড, রৌপ্যপদক পেয়েছে এম অ্যান্ড ইউ প্যাকেজিং লিমিটেড এবং ব্রোঞ্জপদক পেয়েছে ইউনিগ্লোরি প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।

অন্যান্য প্রাথমিক পণ্যে স্বর্ণপদক পেয়েছে অর্কিড ট্রেডিং করপোরেশন, রৌপ্যপদক পাচ্ছে ইকো ফ্রেশ ইন্টারন্যাশনাল এবং ব্রোঞ্জপদক পাচ্ছে বাং চুং ট্রেড অ্যান্ড ট্যুরিজম। অন্যান্য সেবা খাতে একমাত্র স্বর্ণপদক পেয়েছে মীর টেলিকম লিমিটেড।

নারী উদ্যোক্তা বা রপ্তানিকারকদের জন্য সংরক্ষিত খাতে (পণ্য ও সেবা) স্বর্ণপদক পেয়েছে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত স্কয়ার টেক্সটাইলস লিমিটেড, রৌপ্যপদক পেয়েছে আল-সালাম ফেব্রিকস প্রাইভেট লিমিটেড এবং ব্রোঞ্জপদক পেয়েছে ইব্রাহিম নিট গার্মেন্টস প্রাইভেট লিমিটেড।

ঢাকা/এসআর