০৭:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

রবির কর্মকাণ্ডে বিএসইসির ক্ষোভ প্রকাশ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৪:১১:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ৪১৪৫ বার দেখা হয়েছে

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বহূজাতিক ও মোবাইল অপারেটর কোম্পানি রবি আজিয়াটার ‘নো’ ডিভিডেন্ডে ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। মুনাফা সত্ত্বেও কোম্পানিটির পর্ষদের এমন সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারছে না কমিশন। তাই তলবে উপস্থিত হওয়া রবির কর্মকর্তাদরকে বিনিয়োগকারীদের জন্য বিকল্প হিসেবে কোন কিছুর ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।

মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রবি আজিয়াটার কর্মকর্তার সঙ্গে এক জরুরী তলবে এই ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছে কমিশন। এতে বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম, কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ, আব্দুল হালিম, নির্বাহি পরিচালক সাইফুর রহমান এবং নির্বাহি পরিচালক ও মূখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম উপস্থিত ছিলেন। আর রবি আজিয়াটার পক্ষে কোম্পানিটির সচিব মোহাম্মদ শাহেদুল আলমসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

মুনাফা সত্ত্বেও রবি আজিয়াটার ‘নো’ ডিভিডেন্ডের সিদ্ধান্ত শেয়ারবাজারের পরিপন্থী বলে মনে করছে কমিশন। যে কারনে কোম্পানিটির উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের তলব করা হয় কমিশনে। এতে লভ্যাংশ না দেওয়ায় খুবই হতাশা এবং অসন্তোষ প্রকাশ করে কমিশন। অন্তত্বপক্ষে সাধারন বিনিয়োগকারীদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারত বলে কমিশন জানায়।

এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহি পরিচালক ও মূখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বিজনেস আওয়ারকে বলেন, ‘নো’ ডিভিডেন্ড ঘোষণার কারনে রবি আজিয়াটার কর্মকর্তাদেরকে আজ কমিশনে তলব করা হয়েছিল। এই তলবে কোম্পানির কর্মকর্তাদের প্রতি খুবই অসন্তোষ প্রকাশ করেছে কমিশন। একইসঙ্গে এর বিকল্প হিসেবে কিছু করার জন্য তাদেরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যা কোম্পানি কর্তৃপক্ষ ইতিবাচকভাবে ভেবে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।

রবির পরিচালনা পষর্দ গতকাল (১৫ ফেব্রুয়ারি) ২০২০ সালের ব্যবসায় শেয়ারহোল্ডারদের কোন লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অথচ কোম্পানিটির ওই বছরে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ০.৩৩ টাকা।

এর আগে তালিকাভুক্তির প্রথম বছরেই ‘নো’ ডিভিডেন্ড সুপারিশ করায় এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের শীর্ষ ম্যানেজমেন্টকে তলব করেছিল কমিশন। যাদেরকে কমিশন অন্তর্বর্তীকালীন লভ্যাংশ ঘোষণা করতে বাধ্য করেছিল।

উল্লেখ্য, এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স ২০২০ সালের শেষার্ধে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছিল। তারপরেও ২০১৯ সালের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা না করায় কোম্পানিটির পর্ষদকে অন্তর্বর্তকালীন লভ্যাংশ ঘোষণা করতে বাধ্য করেছিল। আর রবি ২০২০ সালে তালিকাভুক্ত হয়েও কোম্পানিটির পর্ষদ ওই বছরের জন্য কোন লভ্যাংশ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

শেয়ার করুন

x
English Version

রবির কর্মকাণ্ডে বিএসইসির ক্ষোভ প্রকাশ

আপডেট: ০৪:১১:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বহূজাতিক ও মোবাইল অপারেটর কোম্পানি রবি আজিয়াটার ‘নো’ ডিভিডেন্ডে ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। মুনাফা সত্ত্বেও কোম্পানিটির পর্ষদের এমন সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারছে না কমিশন। তাই তলবে উপস্থিত হওয়া রবির কর্মকর্তাদরকে বিনিয়োগকারীদের জন্য বিকল্প হিসেবে কোন কিছুর ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।

মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রবি আজিয়াটার কর্মকর্তার সঙ্গে এক জরুরী তলবে এই ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছে কমিশন। এতে বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম, কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ, আব্দুল হালিম, নির্বাহি পরিচালক সাইফুর রহমান এবং নির্বাহি পরিচালক ও মূখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম উপস্থিত ছিলেন। আর রবি আজিয়াটার পক্ষে কোম্পানিটির সচিব মোহাম্মদ শাহেদুল আলমসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

মুনাফা সত্ত্বেও রবি আজিয়াটার ‘নো’ ডিভিডেন্ডের সিদ্ধান্ত শেয়ারবাজারের পরিপন্থী বলে মনে করছে কমিশন। যে কারনে কোম্পানিটির উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের তলব করা হয় কমিশনে। এতে লভ্যাংশ না দেওয়ায় খুবই হতাশা এবং অসন্তোষ প্রকাশ করে কমিশন। অন্তত্বপক্ষে সাধারন বিনিয়োগকারীদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারত বলে কমিশন জানায়।

এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহি পরিচালক ও মূখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বিজনেস আওয়ারকে বলেন, ‘নো’ ডিভিডেন্ড ঘোষণার কারনে রবি আজিয়াটার কর্মকর্তাদেরকে আজ কমিশনে তলব করা হয়েছিল। এই তলবে কোম্পানির কর্মকর্তাদের প্রতি খুবই অসন্তোষ প্রকাশ করেছে কমিশন। একইসঙ্গে এর বিকল্প হিসেবে কিছু করার জন্য তাদেরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যা কোম্পানি কর্তৃপক্ষ ইতিবাচকভাবে ভেবে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।

রবির পরিচালনা পষর্দ গতকাল (১৫ ফেব্রুয়ারি) ২০২০ সালের ব্যবসায় শেয়ারহোল্ডারদের কোন লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অথচ কোম্পানিটির ওই বছরে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ০.৩৩ টাকা।

এর আগে তালিকাভুক্তির প্রথম বছরেই ‘নো’ ডিভিডেন্ড সুপারিশ করায় এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের শীর্ষ ম্যানেজমেন্টকে তলব করেছিল কমিশন। যাদেরকে কমিশন অন্তর্বর্তীকালীন লভ্যাংশ ঘোষণা করতে বাধ্য করেছিল।

উল্লেখ্য, এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স ২০২০ সালের শেষার্ধে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছিল। তারপরেও ২০১৯ সালের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা না করায় কোম্পানিটির পর্ষদকে অন্তর্বর্তকালীন লভ্যাংশ ঘোষণা করতে বাধ্য করেছিল। আর রবি ২০২০ সালে তালিকাভুক্ত হয়েও কোম্পানিটির পর্ষদ ওই বছরের জন্য কোন লভ্যাংশ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।