০২:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫

রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানার পাশে যাত্রীবাহী বাসে আগুন

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:১০:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ নভেম্বর ২০২৩
  • / ১০৩৯২ বার দেখা হয়েছে

বিএনপি, জামায়াতসহ বিরোধীদলগুলোর ডাকা তিন দিনের অবরোধের শেষ দিনে রাজধানীর উত্তরায় পূর্ব থানার পাশে যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেয় অবোরধকারীরা।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) ভোরে উত্তরার আজমপুরে পরিস্থান পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেয় অবোরধকারীরা। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মিরা এসে বাসের আগুন নেভায়। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।

এদিকে গত দুই দিনের তুলনায় আজ রাস্তায় যান চলাচলের সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। এখনও কোথাও কোনো সংঘর্ষ বা মিছিল-স্লোগানের তথ্য পাওয়া যায়নি। সাধার‌ণ দিনের চেয়ে আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর টহলও বেশি ছিল সড়কে।

বিএনপি-জামায়াতের ডাকা সারাদেশে টানা তিনদিনের সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচির শেষ দিন আজ। গত ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশে হামলা, নেতাকর্মীদের হত্যা, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ আন্দোলনরত বিভিন্ন দলের সহস্রাধিক নেতাকর্মী গ্রেপ্তার, বাড়ি বাড়ি তল্লাশি-হয়রানি ও নির্যাতনের প্রতিবাদ এবং চলমান এক দফা দাবিতে টাবিএনপির পক্ষ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। পরে জামায়াত ইসলামীও তিনদিনের অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করে। একইসঙ্গে সমমনা দলগুলোরও ডাকা অবরোধের শেষ হচ্ছে আজ।

আরও পড়ুন: বিএফইউজের সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী 

গত রোববার সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের পর দলগুলোর ঘোষিত তিনদিনের অবরোধ কর্মসূচির প্রথম দিন মঙ্গলবার রাজধানীসহ সারা দেশের বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) পাশাপাশি রয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

বুধবার (১ নভেম্বর) দ্বিতীয় দিনের অবরোধ কর্মসূচিতে দিনব্যাপী রাজধানীর বিভিন্নস্থানে ঝটিকা মিছিল, সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগানসহ কোথাও কোথাও সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। বিচ্ছিন্নভাবে কয়েকটি স্থানে পিকেটিং হয়। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। বগুড়ায় পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়েছেন তারা। সিলেটে হরতাল চলাকালে ছাত্রলীগ-স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাথে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়, যুবদল ও ছাত্রদলের।

বিএনপির সিনিয়র নেতারা দাবি করেছেন, চলমান অবরোধ কর্মসূচিতে জনগণের ব্যাপক সাড়া দেখছেন তারা। জনগণের সমর্থনে নজিরবিহীন অবরোধ পালিত হয়েছে। সে কারণে সরকারের পক্ষ থেকে শত প্রচেষ্টা সত্ত্বেও মহাসড়কগুলোয় দূরপাল্লার কোনো যানবাহন চলেনি। ঢাকার ভেতরেও সাধারণ মানুষ নিজ থেকেই সরকারের প্রতি অনাস্থা দিয়ে একান্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হচ্ছে না। এই বিষয়টি দাবি আদায়ে বিএনপিকে টানা কর্মসূচিতে যেতে অনুপ্রাণিত করছে।

তারা মনে করেন, অবরোধের শেষ কর্মসূচির পর দলের পক্ষ থেকে আগামী সপ্তাহজুড়ে ফের দেশব্যাপী অবরোধ দেওয়া হবে। এটি চলমান থাকতে পারে পরবর্তী সপ্তাহতেও।

ঢাকা/এসএম

ট্যাগঃ

শেয়ার করুন

রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানার পাশে যাত্রীবাহী বাসে আগুন

আপডেট: ১২:১০:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ নভেম্বর ২০২৩

বিএনপি, জামায়াতসহ বিরোধীদলগুলোর ডাকা তিন দিনের অবরোধের শেষ দিনে রাজধানীর উত্তরায় পূর্ব থানার পাশে যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেয় অবোরধকারীরা।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) ভোরে উত্তরার আজমপুরে পরিস্থান পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেয় অবোরধকারীরা। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মিরা এসে বাসের আগুন নেভায়। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।

এদিকে গত দুই দিনের তুলনায় আজ রাস্তায় যান চলাচলের সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। এখনও কোথাও কোনো সংঘর্ষ বা মিছিল-স্লোগানের তথ্য পাওয়া যায়নি। সাধার‌ণ দিনের চেয়ে আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর টহলও বেশি ছিল সড়কে।

বিএনপি-জামায়াতের ডাকা সারাদেশে টানা তিনদিনের সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচির শেষ দিন আজ। গত ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশে হামলা, নেতাকর্মীদের হত্যা, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ আন্দোলনরত বিভিন্ন দলের সহস্রাধিক নেতাকর্মী গ্রেপ্তার, বাড়ি বাড়ি তল্লাশি-হয়রানি ও নির্যাতনের প্রতিবাদ এবং চলমান এক দফা দাবিতে টাবিএনপির পক্ষ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। পরে জামায়াত ইসলামীও তিনদিনের অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করে। একইসঙ্গে সমমনা দলগুলোরও ডাকা অবরোধের শেষ হচ্ছে আজ।

আরও পড়ুন: বিএফইউজের সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী 

গত রোববার সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের পর দলগুলোর ঘোষিত তিনদিনের অবরোধ কর্মসূচির প্রথম দিন মঙ্গলবার রাজধানীসহ সারা দেশের বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) পাশাপাশি রয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

বুধবার (১ নভেম্বর) দ্বিতীয় দিনের অবরোধ কর্মসূচিতে দিনব্যাপী রাজধানীর বিভিন্নস্থানে ঝটিকা মিছিল, সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগানসহ কোথাও কোথাও সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। বিচ্ছিন্নভাবে কয়েকটি স্থানে পিকেটিং হয়। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। বগুড়ায় পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়েছেন তারা। সিলেটে হরতাল চলাকালে ছাত্রলীগ-স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাথে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়, যুবদল ও ছাত্রদলের।

বিএনপির সিনিয়র নেতারা দাবি করেছেন, চলমান অবরোধ কর্মসূচিতে জনগণের ব্যাপক সাড়া দেখছেন তারা। জনগণের সমর্থনে নজিরবিহীন অবরোধ পালিত হয়েছে। সে কারণে সরকারের পক্ষ থেকে শত প্রচেষ্টা সত্ত্বেও মহাসড়কগুলোয় দূরপাল্লার কোনো যানবাহন চলেনি। ঢাকার ভেতরেও সাধারণ মানুষ নিজ থেকেই সরকারের প্রতি অনাস্থা দিয়ে একান্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হচ্ছে না। এই বিষয়টি দাবি আদায়ে বিএনপিকে টানা কর্মসূচিতে যেতে অনুপ্রাণিত করছে।

তারা মনে করেন, অবরোধের শেষ কর্মসূচির পর দলের পক্ষ থেকে আগামী সপ্তাহজুড়ে ফের দেশব্যাপী অবরোধ দেওয়া হবে। এটি চলমান থাকতে পারে পরবর্তী সপ্তাহতেও।

ঢাকা/এসএম