০৫:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪

শরীর হাইড্রেট রাখার মহৌষধ কিশমিশের পানি, যেভাবে খেতে হবে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৫:৪৮:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৪২০৪ বার দেখা হয়েছে

গরমে শরীরে পানির ঘাটতি পূরণ করার জন্য নানা রকম পানীয় খান অনেকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীর হাইড্রেট রাখার মহৌষধ হতে পারে কিশমিশ ভেজানো পানি! এই একটা পানীয় খেয়েই কিন্তু ‘ডিহাইড্রেশন’ এর সমস্যা মিটিয়ে ফেলা যায়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তবে কেবল পানির ঘাটতিই পূরণ করে না, পাশাপাশি শরীরের আরও নানা রকম সমস্যা দূর করে কিশমিশের পানি। এই পানীয়র এমনই কিছু গুণের কথা জানিয়েছে লাইফস্টাইল বিষয়ক এক ওয়েবসাইট।

টক্সিন বের করে দেয় : দূষণ, প্রসেসড ফুড, জাঙ্ক ফুড, স্ট্রেস, এরকম নানা কারণে আমাদের শরীরে টক্সিন বা বিষাক্ত পদার্থ জমা হতে থাকে। কিশমিশে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা টক্সিন বের করে দিয়ে শরীর সুস্থ রাখে। কিশমিশের পানি প্রাকৃতিক ডিটক্সিফায়ার হিসেবে কাজ করে। এটি দেহ থেকে ক্ষতিকারক পদার্থ দূর করে এবং শরীর পরিষ্কার রাখে।

রক্তাল্পতা প্রতিরোধ করে : অ্যানিমিয়ার মূল কারণ হলো শরীরে আয়রনের ঘাটতি। কিশমিশ আয়রনে ভরপুর, যা লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদনে সাহায্য করে। নিয়মিত কিশমিশের পানি পানে আমাদের শরীরে আয়রনের মাত্রা ঠিক থাকে। ফলে অ্যানিমিয়া প্রতিরোধ হয়। গরমকালে ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে আয়রন বেরিয়ে যায়। এই সময় কিশমিশের পানি পান খুবই উপকারী।

ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্য বজায় রাখে : কিশমিশে পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়ামের মতো ইলেক্ট্রোলাইট থাকে। শরীরে তরলের ভারসাম্য বজায় রাখতে এই ইলেক্ট্রোলাইট খুবই প্রয়োজনীয়। এছাড়া, ইলেক্ট্রোলাইট স্নায়ুর কার্যকারিতা, পেশী সংকোচন এবং শরীর হাইড্রেট রাখতে সাহায্য করে। গরমের সময় অত্যধিক ঘাম হওয়ার কারণে শরীরে ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়। তবে কিশমিশের পানি দেহে ইলেকট্রোলাইট পূরণে সাহায্য করে।

আরও পড়ুন: দিনটি কেমন কাটবে, জেনে নিন রাশিফলে

এনার্জি বাড়ায় : কিশমিশে রয়েছে গ্লুকোজ এবং ফ্রুক্টোজ। যা আমাদের শরীরে এনার্জি যোগায়। কিশমিশের পানি সারা দিন আমাদের সক্রিয় এবং এনার্জেটিক রাখে।

হজম ভালো হয় : কিশমিশের জল ফাইবার সমৃদ্ধ। যে কারণে হজম ক্ষমতা আরও উন্নত হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকেও মুক্তি মেলে। এছাড়া, গ্যাস, অ্যাসিডিটি, অম্বলের সমস্যাও দূর করে কিশমিশের পানি।

ওজন কমায় : যারা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন, তারা রোজের ডায়েটে কিশমিশের পানি রাখতে পারেন। কিশমিশে থাকা প্রাকৃতিক শর্করা অস্বাস্থ্যকর খাবারের প্রতি লোভ কমায়। তাছাড়া, ফাইবার সমৃদ্ধ কিশমিশ দীর্ঘক্ষণ পেটও ভরিয়ে রাখে। ফলে বেশি খাওয়ার প্রবণতা কমে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য হয়।

ত্বকের উজ্জ্বলতা ফেরায় : কিশমিশের পানি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ। যা ত্বকের ভেতর থেকে পুষ্টি যোগায়। কিশমিশে থাকা ভিটামিন এ এবং ই চোখে মুখে বার্ধক্যের ছাপ পড়তে দেয় না, ত্বককে সতেজ রাখে এবং জেল্লা বাড়ায়।

কী ভাবে তৈরি করবেন?

এক কাপ কিশমিশ ভালো করে ধুয়ে নিন। একটা বাটিতে পানি নিয়ে সারারাত  ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন পানিশুদ্ধু কিশমিশ মিক্সারে ভালো ভাবে ব্লেন্ড করে ছাঁকনিতে ছেঁকে নিন। এই পানিটা পান করুন।

ঢাকা/এসএম

শেয়ার করুন

x

শরীর হাইড্রেট রাখার মহৌষধ কিশমিশের পানি, যেভাবে খেতে হবে

আপডেট: ০৫:৪৮:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৩

গরমে শরীরে পানির ঘাটতি পূরণ করার জন্য নানা রকম পানীয় খান অনেকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীর হাইড্রেট রাখার মহৌষধ হতে পারে কিশমিশ ভেজানো পানি! এই একটা পানীয় খেয়েই কিন্তু ‘ডিহাইড্রেশন’ এর সমস্যা মিটিয়ে ফেলা যায়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তবে কেবল পানির ঘাটতিই পূরণ করে না, পাশাপাশি শরীরের আরও নানা রকম সমস্যা দূর করে কিশমিশের পানি। এই পানীয়র এমনই কিছু গুণের কথা জানিয়েছে লাইফস্টাইল বিষয়ক এক ওয়েবসাইট।

টক্সিন বের করে দেয় : দূষণ, প্রসেসড ফুড, জাঙ্ক ফুড, স্ট্রেস, এরকম নানা কারণে আমাদের শরীরে টক্সিন বা বিষাক্ত পদার্থ জমা হতে থাকে। কিশমিশে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা টক্সিন বের করে দিয়ে শরীর সুস্থ রাখে। কিশমিশের পানি প্রাকৃতিক ডিটক্সিফায়ার হিসেবে কাজ করে। এটি দেহ থেকে ক্ষতিকারক পদার্থ দূর করে এবং শরীর পরিষ্কার রাখে।

রক্তাল্পতা প্রতিরোধ করে : অ্যানিমিয়ার মূল কারণ হলো শরীরে আয়রনের ঘাটতি। কিশমিশ আয়রনে ভরপুর, যা লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদনে সাহায্য করে। নিয়মিত কিশমিশের পানি পানে আমাদের শরীরে আয়রনের মাত্রা ঠিক থাকে। ফলে অ্যানিমিয়া প্রতিরোধ হয়। গরমকালে ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে আয়রন বেরিয়ে যায়। এই সময় কিশমিশের পানি পান খুবই উপকারী।

ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্য বজায় রাখে : কিশমিশে পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়ামের মতো ইলেক্ট্রোলাইট থাকে। শরীরে তরলের ভারসাম্য বজায় রাখতে এই ইলেক্ট্রোলাইট খুবই প্রয়োজনীয়। এছাড়া, ইলেক্ট্রোলাইট স্নায়ুর কার্যকারিতা, পেশী সংকোচন এবং শরীর হাইড্রেট রাখতে সাহায্য করে। গরমের সময় অত্যধিক ঘাম হওয়ার কারণে শরীরে ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়। তবে কিশমিশের পানি দেহে ইলেকট্রোলাইট পূরণে সাহায্য করে।

আরও পড়ুন: দিনটি কেমন কাটবে, জেনে নিন রাশিফলে

এনার্জি বাড়ায় : কিশমিশে রয়েছে গ্লুকোজ এবং ফ্রুক্টোজ। যা আমাদের শরীরে এনার্জি যোগায়। কিশমিশের পানি সারা দিন আমাদের সক্রিয় এবং এনার্জেটিক রাখে।

হজম ভালো হয় : কিশমিশের জল ফাইবার সমৃদ্ধ। যে কারণে হজম ক্ষমতা আরও উন্নত হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকেও মুক্তি মেলে। এছাড়া, গ্যাস, অ্যাসিডিটি, অম্বলের সমস্যাও দূর করে কিশমিশের পানি।

ওজন কমায় : যারা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন, তারা রোজের ডায়েটে কিশমিশের পানি রাখতে পারেন। কিশমিশে থাকা প্রাকৃতিক শর্করা অস্বাস্থ্যকর খাবারের প্রতি লোভ কমায়। তাছাড়া, ফাইবার সমৃদ্ধ কিশমিশ দীর্ঘক্ষণ পেটও ভরিয়ে রাখে। ফলে বেশি খাওয়ার প্রবণতা কমে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য হয়।

ত্বকের উজ্জ্বলতা ফেরায় : কিশমিশের পানি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ। যা ত্বকের ভেতর থেকে পুষ্টি যোগায়। কিশমিশে থাকা ভিটামিন এ এবং ই চোখে মুখে বার্ধক্যের ছাপ পড়তে দেয় না, ত্বককে সতেজ রাখে এবং জেল্লা বাড়ায়।

কী ভাবে তৈরি করবেন?

এক কাপ কিশমিশ ভালো করে ধুয়ে নিন। একটা বাটিতে পানি নিয়ে সারারাত  ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন পানিশুদ্ধু কিশমিশ মিক্সারে ভালো ভাবে ব্লেন্ড করে ছাঁকনিতে ছেঁকে নিন। এই পানিটা পান করুন।

ঢাকা/এসএম