১০:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪

সঠিক ব্যক্তি পেলে টুইটার বিক্রি করে দেব: ইলন মাস্ক

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৭:৫৯:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ এপ্রিল ২০২৩
  • / ৪১৯৫ বার দেখা হয়েছে

টুইটারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্ক বলেন, টুইটারের মালিক হওয়া ও এটি চালানো খুবই কষ্টকর। তবে এটি বিরক্তিকর নয়, এটা অনেকটা রোলার কোস্টারের মতো। সঠিক ব্যক্তির সন্ধান পেলে টুইটার বিক্রি দেবেন বলেও জানান তিনি।

বুধবার টুইটারের কার্যালয়ে বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

মার্কিন গাড়িনির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলা ও মহাকাশযান প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের মালিক ইলন মাস্ক গত বছরের অক্টোবরে ৪৪ বিলিয়ন ডলারে টুইটার কেনেন।

সাক্ষাৎকারে টুইটের ব্যাপকভাবে কর্মী ছাঁটাই, ভুল তথ্য ও ইলন মাস্কের কাজের ধরণ নিয়ে প্রশ্ন করা হয়।

ইলন মাস্ক বলেন, ‘টুইটার চালানো অনেক কষ্টকর। গত কয়েক মাস সত্যিই খুব কঠিন সময় ছিল। ওই সময় কোনো বিজ্ঞাপন ছিল না।’

তিনি বলেন, ‘আমি যখন টুইটার কিনে নেই তখন মোট কর্মী ছিল আট হাজার। সেই সংখ্যা কমিয়ে এক হাজার পাঁচশতে আনার কাজটি সহজ ছিল না। টুইটার কেনার পর অনেক প্রকৌশলীর বিদায়ে টিকে থাকা নিয়েও উদ্বেগ তৈরি হয়েছিল। তবে বর্তমানে সবকিছু ভালোভাবেই চলছে। বেশিরভাগ বিজ্ঞাপনদাতা ফিরে আসায় আমরা সুবিধাজনক অবস্থানে ফিরে এসেছি।’

টুইটার কেনার সিদ্ধান্তটি সঠিক ছিল বলেও উল্লেখ করেন ইলন মাস্ক।

আরও পড়ুন: ব্র্যাক ব্যাংকের সঙ্গে সিডব্লিউটি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের চুক্তি

বিবিসির টুইটার অ্যাকাউন্টে হঠাৎ ‘সরকারি তহবিলের গণমাধ্যম’ লেভেল যুক্ত করার বিষয়ে জানতে চাইলে মাস্ক বলেন, এটি সরকারি অর্থায়নের একটি মিডিয়া। রাষ্ট্রীয় মিডিয়ার লেবেল যুক্ত হওয়া নিয়ে তাদের খুব বেশি চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই।

চলতি সপ্তাহের শুরুতে বিবিসি এ বিষয়ে কথা বলার জন্য টুইটারের সঙ্গে যোগাযোগ করে, যেন দ্রুত সমস্যাটি সমাধান হয়ে যায়। সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়, বিবিসি সবসময় স্বতন্ত্র ছিল ও এখনও আছে। আমাদের অর্থায়নের ব্যবস্থা করে ব্রিটিশ জনগণ, যা আসে লাইসেন্সিং ফির মাধ্যমে।

গত বছরের অক্টোবরে টুইটারের মালিকানা গ্রহণের পরই পরাগ আগারওয়ালকে কোম্পানির সিইওর পদ থেকে বরখাস্ত করেন মাস্ক। একই সঙ্গে তিনি কোম্পানির আরও কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করেন। মাস্ক টুইটারের আগের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়েছেন। তারপর নিজেই হয়েছেন কোম্পানির বোর্ডের একমাত্র পরিচালক। এরপর গণহারে কর্মী ছাঁটাই করে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেন মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক।

ঢাকা/এসএম

শেয়ার করুন

x
English Version

সঠিক ব্যক্তি পেলে টুইটার বিক্রি করে দেব: ইলন মাস্ক

আপডেট: ০৭:৫৯:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ এপ্রিল ২০২৩

টুইটারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্ক বলেন, টুইটারের মালিক হওয়া ও এটি চালানো খুবই কষ্টকর। তবে এটি বিরক্তিকর নয়, এটা অনেকটা রোলার কোস্টারের মতো। সঠিক ব্যক্তির সন্ধান পেলে টুইটার বিক্রি দেবেন বলেও জানান তিনি।

বুধবার টুইটারের কার্যালয়ে বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

মার্কিন গাড়িনির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলা ও মহাকাশযান প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের মালিক ইলন মাস্ক গত বছরের অক্টোবরে ৪৪ বিলিয়ন ডলারে টুইটার কেনেন।

সাক্ষাৎকারে টুইটের ব্যাপকভাবে কর্মী ছাঁটাই, ভুল তথ্য ও ইলন মাস্কের কাজের ধরণ নিয়ে প্রশ্ন করা হয়।

ইলন মাস্ক বলেন, ‘টুইটার চালানো অনেক কষ্টকর। গত কয়েক মাস সত্যিই খুব কঠিন সময় ছিল। ওই সময় কোনো বিজ্ঞাপন ছিল না।’

তিনি বলেন, ‘আমি যখন টুইটার কিনে নেই তখন মোট কর্মী ছিল আট হাজার। সেই সংখ্যা কমিয়ে এক হাজার পাঁচশতে আনার কাজটি সহজ ছিল না। টুইটার কেনার পর অনেক প্রকৌশলীর বিদায়ে টিকে থাকা নিয়েও উদ্বেগ তৈরি হয়েছিল। তবে বর্তমানে সবকিছু ভালোভাবেই চলছে। বেশিরভাগ বিজ্ঞাপনদাতা ফিরে আসায় আমরা সুবিধাজনক অবস্থানে ফিরে এসেছি।’

টুইটার কেনার সিদ্ধান্তটি সঠিক ছিল বলেও উল্লেখ করেন ইলন মাস্ক।

আরও পড়ুন: ব্র্যাক ব্যাংকের সঙ্গে সিডব্লিউটি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের চুক্তি

বিবিসির টুইটার অ্যাকাউন্টে হঠাৎ ‘সরকারি তহবিলের গণমাধ্যম’ লেভেল যুক্ত করার বিষয়ে জানতে চাইলে মাস্ক বলেন, এটি সরকারি অর্থায়নের একটি মিডিয়া। রাষ্ট্রীয় মিডিয়ার লেবেল যুক্ত হওয়া নিয়ে তাদের খুব বেশি চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই।

চলতি সপ্তাহের শুরুতে বিবিসি এ বিষয়ে কথা বলার জন্য টুইটারের সঙ্গে যোগাযোগ করে, যেন দ্রুত সমস্যাটি সমাধান হয়ে যায়। সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়, বিবিসি সবসময় স্বতন্ত্র ছিল ও এখনও আছে। আমাদের অর্থায়নের ব্যবস্থা করে ব্রিটিশ জনগণ, যা আসে লাইসেন্সিং ফির মাধ্যমে।

গত বছরের অক্টোবরে টুইটারের মালিকানা গ্রহণের পরই পরাগ আগারওয়ালকে কোম্পানির সিইওর পদ থেকে বরখাস্ত করেন মাস্ক। একই সঙ্গে তিনি কোম্পানির আরও কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করেন। মাস্ক টুইটারের আগের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়েছেন। তারপর নিজেই হয়েছেন কোম্পানির বোর্ডের একমাত্র পরিচালক। এরপর গণহারে কর্মী ছাঁটাই করে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেন মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক।

ঢাকা/এসএম