০৮:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সন্দেহজনক লেনদেন: কয়েক হাজার ‘নগদ’ গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট বন্ধ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৭:২১:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / ১০২৯২ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: সম্প্রতি বিতর্কিত বিভিন্ন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের সন্দেহজনক লেনদেন ডাক বিভাগের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’-এ বেড়ে গেছে। এসব লেনদেনের সঙ্গে জড়িত বেশকিছু অ্যাকাউন্টের তথ্য একাধিক নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। একই সঙ্গে সন্দেহজনক হিসাবগুলোর লেনদেন সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে নগদ।

শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) ‘নগদ’-এর পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। বিষয়টি নিয়ে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) বিভাগে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে জানায় নগদ।

‘নগদ’ এর পক্ষ থেকে সন্দেহজনক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম উল্লেখ না করা হলেও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, টাকা নিয়ে পণ্য সরবরাহ না করা, গ্রাহকের টাকা আত্মসাতসহ নানা অভিযোগ রয়েছে ইভ্যালি, আলেশা মার্ট, ই-অরেঞ্জ, ধামাকা শপিং, সিরাজগঞ্জ শপিং, আলাদিনের প্রদীপ, বুম বুম, কিউকম, আদিয়ান মার্ট ও নিডস ডট কম বিডির বিরুদ্ধে। এর মধ্যে ই-অরেঞ্জের ব্যাংক লেনদেন স্থগিত রয়েছে। এছাড়া ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জ, আলেশা মার্টসহ ১০টি ডিজিটাল কমার্স প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অধিকাংশ ব্যাংক তা‌দের ক্রেডিট, ডেবিট ও প্রি-পেইড কার্ডের লেনদেন বন্ধ রেখেছে। তাই এখন তারা মোবাইলের মাধ্যমে আর্থিক সেবায় (এমএফএস) লেনদেন করছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

‘নগদ’ জানায়, গত কয়েকদিনে কিছু সংখ্যক ‘নগদ’ গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে হঠাৎ করে বিতর্কিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোতে অস্বাভাবিক লেনদেন পরিলক্ষিত হচ্ছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে অধিক পর্যালোচনা ও লেনদেনের ধরণ পরীক্ষা করে কিছু অ্যাকাউন্ট সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।

একই সঙ্গে অ্যাকাউন্টগুলোর তালিকা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এবং র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-এর কাছে হস্তান্তর করেছে ‘নগদ’।

এ বিষয়ে ‘নগদ’-এর হেড অব এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স লেফটেন্যান্ট কর্নেল কাওসার সওকত আলী (অব.) বলেন, ‘নগদ’ প্রযুক্তিগতভাবে দেশের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান। প্রযুক্তিগত সক্ষমতার কারণে ‘নগদ’-এর প্ল্যাটফর্মে কোনো ধরনের দুরভিসন্ধিমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা দুরূহ। তাছাড়া লেনদেনকে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে তুলে আনার ফলে অপরাধমূলক কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ যে অধিকতর সহজ হয়, এই ঘটনা তারই প্রমাণ।

২০১৯ সালের ২৬ মার্চ উদ্বোধনের পর থেকে ডাক বিভাগের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’ সাধারণ মানুষের আর্থিক লেনদেনকে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে তুলে আনতে কাজ করছে। গত আড়াই বছরে এমএফএস অপারেটরটি ৫ কোটি ৪০ লাখ গ্রাহক পেয়েছে। একই সঙ্গে দৈনিক লেনদেন ৭০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন:

সাপ্তাহিক লুজারে অর্ধেক মিউচ্যুয়াল ফান্ড

বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ হারানোর তালিকায় যেসব কোম্পানির শেয়ার

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও ২৬৫ জন হাসপাতালে

স্কুল-কলেজে সপ্তাহে ক্লাস হবে একদিন

সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে সাধারণ বিমা খাত

ট্যাগঃ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

সন্দেহজনক লেনদেন: কয়েক হাজার ‘নগদ’ গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট বন্ধ

আপডেট: ০৭:২১:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: সম্প্রতি বিতর্কিত বিভিন্ন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের সন্দেহজনক লেনদেন ডাক বিভাগের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’-এ বেড়ে গেছে। এসব লেনদেনের সঙ্গে জড়িত বেশকিছু অ্যাকাউন্টের তথ্য একাধিক নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। একই সঙ্গে সন্দেহজনক হিসাবগুলোর লেনদেন সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে নগদ।

শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) ‘নগদ’-এর পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। বিষয়টি নিয়ে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) বিভাগে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে জানায় নগদ।

‘নগদ’ এর পক্ষ থেকে সন্দেহজনক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম উল্লেখ না করা হলেও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, টাকা নিয়ে পণ্য সরবরাহ না করা, গ্রাহকের টাকা আত্মসাতসহ নানা অভিযোগ রয়েছে ইভ্যালি, আলেশা মার্ট, ই-অরেঞ্জ, ধামাকা শপিং, সিরাজগঞ্জ শপিং, আলাদিনের প্রদীপ, বুম বুম, কিউকম, আদিয়ান মার্ট ও নিডস ডট কম বিডির বিরুদ্ধে। এর মধ্যে ই-অরেঞ্জের ব্যাংক লেনদেন স্থগিত রয়েছে। এছাড়া ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জ, আলেশা মার্টসহ ১০টি ডিজিটাল কমার্স প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অধিকাংশ ব্যাংক তা‌দের ক্রেডিট, ডেবিট ও প্রি-পেইড কার্ডের লেনদেন বন্ধ রেখেছে। তাই এখন তারা মোবাইলের মাধ্যমে আর্থিক সেবায় (এমএফএস) লেনদেন করছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

‘নগদ’ জানায়, গত কয়েকদিনে কিছু সংখ্যক ‘নগদ’ গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে হঠাৎ করে বিতর্কিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোতে অস্বাভাবিক লেনদেন পরিলক্ষিত হচ্ছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে অধিক পর্যালোচনা ও লেনদেনের ধরণ পরীক্ষা করে কিছু অ্যাকাউন্ট সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।

একই সঙ্গে অ্যাকাউন্টগুলোর তালিকা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এবং র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-এর কাছে হস্তান্তর করেছে ‘নগদ’।

এ বিষয়ে ‘নগদ’-এর হেড অব এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স লেফটেন্যান্ট কর্নেল কাওসার সওকত আলী (অব.) বলেন, ‘নগদ’ প্রযুক্তিগতভাবে দেশের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান। প্রযুক্তিগত সক্ষমতার কারণে ‘নগদ’-এর প্ল্যাটফর্মে কোনো ধরনের দুরভিসন্ধিমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা দুরূহ। তাছাড়া লেনদেনকে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে তুলে আনার ফলে অপরাধমূলক কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ যে অধিকতর সহজ হয়, এই ঘটনা তারই প্রমাণ।

২০১৯ সালের ২৬ মার্চ উদ্বোধনের পর থেকে ডাক বিভাগের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’ সাধারণ মানুষের আর্থিক লেনদেনকে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে তুলে আনতে কাজ করছে। গত আড়াই বছরে এমএফএস অপারেটরটি ৫ কোটি ৪০ লাখ গ্রাহক পেয়েছে। একই সঙ্গে দৈনিক লেনদেন ৭০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন:

সাপ্তাহিক লুজারে অর্ধেক মিউচ্যুয়াল ফান্ড

বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ হারানোর তালিকায় যেসব কোম্পানির শেয়ার

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও ২৬৫ জন হাসপাতালে

স্কুল-কলেজে সপ্তাহে ক্লাস হবে একদিন

সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে সাধারণ বিমা খাত