০৭:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ মে ২০২৪

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে বাজার মূলধন কমেছে সাড়ে ৩ হাজার কোটির বেশি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১০:৫৭:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ জুন ২০২২
  • / ৪১২১ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: সদ্য সমাপ্ত সপ্তাহে (১২-১৬ জুন) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক ও লেনদেনের পরিমাণ দুটিই কমেছে। এ সময়ে ডিএসই লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসের তিনদিনই দরপতন হয়েছে। যার প্রভাবে গত সপ্তাহে প্রধান খাতগুলো থেকে নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে বীমা খাত থেকে। আলোচ্য সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার বেশি বা দশমিক ৬৮ শতাংশ। দেশের আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত সপ্তাহে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব 

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ডিএসইতে গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে ৪ হাজার ৩০০ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যেখানে আগের সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে লেনদেন ছিল ৪ হাজার ৩৪১ কোটি টাকার। সে হিসাবে সাপ্তাহিক লেনদেন কমেছে ৪১ কোটি টাকার বেশি বা দশমিক ৯৬ শতাংশ। গত সপ্তাহে এক্সচেঞ্জটিতে দৈনিক গড়ে ৮৬০ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যেখানে আগের সপ্তাহে দৈনিক গড় লেনদেন ছিল ৮৬৮ কোটি টাকা।

গত সপ্তাহে ডিএসইর সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স আগের সপ্তাহের তুলনায় ৫৪ দশমিক ৫৬ পয়েন্ট বা দশমিক ৮৪ শতাংশ কমেছে। সূচকটির বর্তমান অবস্থান প্রায় ৬ হাজার ৪২৬ পয়েন্টে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ৬ হাজার ৪৮০ পয়েন্টে। সূচকের পতনে গত সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি অবদান ছিল বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস, ব্র্যাক ব্যাংক, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, ফরচুন সুজ, দ্য সিটি ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক ও ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের শেয়ারের।

ডিএসইর অন্য সূচকের মধ্যে নির্বাচিত কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ সপ্তাহের ব্যবধানে ২৪ দশমিক ৪৪ পয়েন্ট বা দশমিক ১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ কমে প্রায় ২ হাজার ৩২৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ২ হাজার ৩৫২ পয়েন্টে। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ১০ দশমিক ৪৯ পয়েন্ট বা দশমিক ৭৪ শতাংশ কমে ১ হাজার ৪০৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ১ হাজার ৪১৪ পয়েন্টে।

গত সপ্তাহে এক্সচেঞ্জটির খাতভিত্তিক লেনদেনে শীর্ষে রয়েছে বস্ত্র খাত। ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৩ দশমিক ৭ শতাংশ ছিল খাতটির দখলে। ১২ দশমিক ৩ শতাংশ নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বিবিধ খাত। তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রকৌশল খাত। এ খাতের দখলে গত সপ্তাহের মোট লেনদেনের ১০ দশমিক ২ শতাংশ রয়েছে। ১০ দশমিক ১ শতাংশ নিয়ে তালিকায় চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে সিরামিক খাত। পরের অবস্থানে থাকা ওষুধ ও রসায়ন খাতের দখলে রয়েছে মোট লেনদেনের ১০ শতাংশ।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে বেশির ভাগ খাত থেকেই নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে সাধারণ বীমা খাতে, ৫ দশমিক ২ শতাংশ। ৩ দশমিক ৮ শতাংশ নেতিবাচক রিটার্ন নিয়ে পরের অবস্থানে রয়েছে কাগজ ও মুদ্রণ খাত। গত সপ্তাহে তৃতীয় সর্বোচ্চ নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে জীবন বীমা খাত থেকে। এ খাতে নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে ৩ দশমিক ৩ শতাংশ। এছাড়া চামড়া, তথ্য ও প্রযুক্তি, মিউচুয়াল ফান্ড, সিমেন্ট, ব্যাংক, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক, পাট, প্রকৌশল, ওষুধ ও রসায়ন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, টেলিযোগাযোগ এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাত থেকে গত সপ্তাহে নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে। অন্যদিকে গত সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে সিরামিক খাত থেকে।

গত সপ্তাহ শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ১৯ হাজার কোটি টাকায়। যেখানে সপ্তাহের শুরুতে বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ২২ হাজার কোটি টাকায়। সে হিসাবে আলোচ্য সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার বেশি বা দশমিক ৬৮ শতাংশ।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে মোট ৩৯৪টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১১৭টির, কমেছে ২৫১টির আর অপরিবর্তিত ছিল ২১টির। এছাড়া লেনদেন হয়নি ৫টির।

অন্যদিকে সিএসইতে গত সপ্তাহে সার্বিক সূচক সিএএসপিআই দশমিক ৬৭ শতাংশ কমে ১৮ হাজার ৮৯৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহে যা ছিল ১৯ হাজার ২৬ পয়েন্টে। সিএসসিএক্স সূচকটি গত সপ্তাহ শেষে দশমিক ৭০ শতাংশ কমে ১১ হাজার ৩৩১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আগের সপ্তাহ শেষে সূচকটির অবস্থান ছিল ১১ হাজার ৪১০ পয়েন্টে। সিএসইতে গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছে ২৪৮ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে যেখানে লেনদেন হয়েছিল ১২৯ কোটি ৬১ লাখ টাকা। আলোচ্য সময়ে সিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৪৭টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১২৫টির, কমেছে ১৯৯টির, অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টির।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে বাজার মূলধন কমেছে সাড়ে ৩ হাজার কোটির বেশি

আপডেট: ১০:৫৭:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ জুন ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: সদ্য সমাপ্ত সপ্তাহে (১২-১৬ জুন) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক ও লেনদেনের পরিমাণ দুটিই কমেছে। এ সময়ে ডিএসই লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসের তিনদিনই দরপতন হয়েছে। যার প্রভাবে গত সপ্তাহে প্রধান খাতগুলো থেকে নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে বীমা খাত থেকে। আলোচ্য সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার বেশি বা দশমিক ৬৮ শতাংশ। দেশের আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত সপ্তাহে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব 

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ডিএসইতে গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে ৪ হাজার ৩০০ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যেখানে আগের সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে লেনদেন ছিল ৪ হাজার ৩৪১ কোটি টাকার। সে হিসাবে সাপ্তাহিক লেনদেন কমেছে ৪১ কোটি টাকার বেশি বা দশমিক ৯৬ শতাংশ। গত সপ্তাহে এক্সচেঞ্জটিতে দৈনিক গড়ে ৮৬০ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যেখানে আগের সপ্তাহে দৈনিক গড় লেনদেন ছিল ৮৬৮ কোটি টাকা।

গত সপ্তাহে ডিএসইর সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স আগের সপ্তাহের তুলনায় ৫৪ দশমিক ৫৬ পয়েন্ট বা দশমিক ৮৪ শতাংশ কমেছে। সূচকটির বর্তমান অবস্থান প্রায় ৬ হাজার ৪২৬ পয়েন্টে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ৬ হাজার ৪৮০ পয়েন্টে। সূচকের পতনে গত সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি অবদান ছিল বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস, ব্র্যাক ব্যাংক, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, ফরচুন সুজ, দ্য সিটি ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক ও ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের শেয়ারের।

ডিএসইর অন্য সূচকের মধ্যে নির্বাচিত কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ সপ্তাহের ব্যবধানে ২৪ দশমিক ৪৪ পয়েন্ট বা দশমিক ১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ কমে প্রায় ২ হাজার ৩২৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ২ হাজার ৩৫২ পয়েন্টে। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ১০ দশমিক ৪৯ পয়েন্ট বা দশমিক ৭৪ শতাংশ কমে ১ হাজার ৪০৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ১ হাজার ৪১৪ পয়েন্টে।

গত সপ্তাহে এক্সচেঞ্জটির খাতভিত্তিক লেনদেনে শীর্ষে রয়েছে বস্ত্র খাত। ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৩ দশমিক ৭ শতাংশ ছিল খাতটির দখলে। ১২ দশমিক ৩ শতাংশ নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বিবিধ খাত। তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রকৌশল খাত। এ খাতের দখলে গত সপ্তাহের মোট লেনদেনের ১০ দশমিক ২ শতাংশ রয়েছে। ১০ দশমিক ১ শতাংশ নিয়ে তালিকায় চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে সিরামিক খাত। পরের অবস্থানে থাকা ওষুধ ও রসায়ন খাতের দখলে রয়েছে মোট লেনদেনের ১০ শতাংশ।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে বেশির ভাগ খাত থেকেই নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে সাধারণ বীমা খাতে, ৫ দশমিক ২ শতাংশ। ৩ দশমিক ৮ শতাংশ নেতিবাচক রিটার্ন নিয়ে পরের অবস্থানে রয়েছে কাগজ ও মুদ্রণ খাত। গত সপ্তাহে তৃতীয় সর্বোচ্চ নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে জীবন বীমা খাত থেকে। এ খাতে নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে ৩ দশমিক ৩ শতাংশ। এছাড়া চামড়া, তথ্য ও প্রযুক্তি, মিউচুয়াল ফান্ড, সিমেন্ট, ব্যাংক, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক, পাট, প্রকৌশল, ওষুধ ও রসায়ন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, টেলিযোগাযোগ এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাত থেকে গত সপ্তাহে নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে। অন্যদিকে গত সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে সিরামিক খাত থেকে।

গত সপ্তাহ শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ১৯ হাজার কোটি টাকায়। যেখানে সপ্তাহের শুরুতে বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ২২ হাজার কোটি টাকায়। সে হিসাবে আলোচ্য সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার বেশি বা দশমিক ৬৮ শতাংশ।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে মোট ৩৯৪টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১১৭টির, কমেছে ২৫১টির আর অপরিবর্তিত ছিল ২১টির। এছাড়া লেনদেন হয়নি ৫টির।

অন্যদিকে সিএসইতে গত সপ্তাহে সার্বিক সূচক সিএএসপিআই দশমিক ৬৭ শতাংশ কমে ১৮ হাজার ৮৯৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহে যা ছিল ১৯ হাজার ২৬ পয়েন্টে। সিএসসিএক্স সূচকটি গত সপ্তাহ শেষে দশমিক ৭০ শতাংশ কমে ১১ হাজার ৩৩১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আগের সপ্তাহ শেষে সূচকটির অবস্থান ছিল ১১ হাজার ৪১০ পয়েন্টে। সিএসইতে গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছে ২৪৮ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে যেখানে লেনদেন হয়েছিল ১২৯ কোটি ৬১ লাখ টাকা। আলোচ্য সময়ে সিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৪৭টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১২৫টির, কমেছে ১৯৯টির, অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টির।

ঢাকা/টিএ