সরকারি কর্মচারীদের জন্য ৮ হাজার ৮৩৫ ফ্ল্যাট নির্মাণ হবে
- আপডেট: ০৬:০২:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ জুন ২০২৩
- / ৪২১৮ বার দেখা হয়েছে
সরকারি কর্মচারীদের জন্য আরও ৮ হাজার ৮৩৫টি ফ্ল্যাট নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। আজ বৃহস্পতিবার (১ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান।
মুস্তফা কামাল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী সরকারি কর্মচারীদের আবাসন সুবিধা ৮ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য অর্জনে আমরা বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছি। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ৬ হাজার ৫০৮টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে এবং ৫ হাজার ২১১টি ফ্ল্যাট নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। তাছাড়া আরও ৮ হাজার ৮৩৫টি ফ্ল্যাট নির্মাণ ও ৬৪ জেলায় সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য ডরমিটরি ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউভ
বর্তমানে চলমান প্রকল্পগুলো শেষ হলে সরকারি কর্মচারীদের আবাসন সুবিধা ১৫ শতাংশে উন্নীত হবে বলেও জানান তিনি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, সিরাজগঞ্জ ও কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনে ছিন্নমূল জনগণের জন্য অবকাঠামো নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। যার মাধ্যমে প্রায় ৩৬ হাজার ছিন্নমূল ও নিম্নআয়ের মানুষ উপকৃত হবে। এছাড়া ঢাকার পার্শ্ববর্তী এলাকায় ৪টি স্যাটেলাইট সিটি নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে পদ্মা বহুমুখী সেতুর উভয় প্রান্তে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট সিটি নির্মাণসহ ঢাকার পূর্বাচলে আধুনিক ও নান্দনিক স্থাপত্য শৈলীসম্পন্ন ১৪২তলা আইকনিক টাওয়ার নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের জন্য সমন্বিত অফিস ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে মাদারীপুর, মানিকগঞ্জ ও গোপালগঞ্জ জেলায় এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে।
এর আগে দুপুর ৩টায় জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে বাজেট বক্তৃতা শুরু করেন অর্থমন্ত্রী।
এটি আওয়ামী লীগ সরকারের ২৩তম ও বাংলাদেশের ৫২তম বাজেট। প্রস্তাবিত বাজেট ২৬ জুন অনুমোদন হবে আর ১ জুলাই থেকে নতুন অর্থবছর শুরু হবে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হচ্ছে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। বিশাল এ বাজেটের ঘাটতি ২ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা। আর অনুদান ছাড়া ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা; যা মোট জিডিপির ৫ দশমিক ২ শতাংশ।
ঢাকা/টিএ