০৭:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

সাউথ বাংলা ব্যাংকের কাছে ব্যাখ্যা চাইল বিএফআইইউ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৭:২৮:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩
  • / ৪২১৭ বার দেখা হয়েছে

বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) নাম ব্যবহার করে সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার এন্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেডের খুলনা শাখার ব্যবস্থাপকের কাছে তথ্য চাওয়ায় ব্যাংকটির কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে বিএফআইইউ।

আজ মঙ্গলবার (৩০ মে) বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের যুগ্ম পরিচালক মো. রোকন-উজ-জামান স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার এন্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে এই ব্যাখ্যা চাওয়া হয়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউভ

চিঠিতে বলা হয়, ‘‘খুলনা মেয়রের ৬শ কোটি টাকার প্রকল্পের হিসাব তলব’ শিরোনামে গত ২৮ মে একটি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ এ ইউনিটের দৃষ্টি গোচর হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখ করা হয় যে, ব্যাংকগুলোতে পাঠানো এক চিঠিতে এই ‘প্রজেক্ট ৬শ ক্রোর’ এর ব্যাংক হিসাব তলব করেছে বিএফআইইউ। তবে, এ ইউনিটের অনুসন্ধানে পরিলক্ষিত হয় যে, বাংলাদেশে কার্যরত ব্যাংকসমূহে উল্লিখিত বিষয়ে কোনো পত্র বা ই-মেইলে তথ্য চাওয়া না হলেও আপনাদের সিএফও মো. মাসুদুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ ইউনিটের নাম ব্যবহার করে আপনাদের খুলনা শাখার ব্যবস্থাপকের কাছে উল্লিখিত হিসাবটির হিসাব খোলার ফর্ম, লেনদেন বিবরণী ও আনুসঙ্গিক দলিলাদির কপি চাওয়া হয়েছে যা বিএফআইইউ সার্কুলার লেটার নং-১/২০১৮, তারিখ: ২২/০৪/২০১৮ এ নির্দেশনার লংঘন।’’

চিঠিতে বিএফআইইউ’র নির্দেশনা লংঘন করে অভ্যন্তরীণ পত্র যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিএফআইইউ এর নাম ব্যবহার করে শাখার কাছে তথ্য চাওয়ায় সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার এন্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেডের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ (২০১৫ সালের সংশোধনীসহ) এর ২৩(৫) ধারার আওতায় কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা তিন কর্মদিবসের মধ্যে ব্যাখ্যা করতে বলা হয়।

আরও পড়ুন: চার ব্যাংকের প্রভিশন ঘাটতি সাড়ে আট হাজার কোটি টাকা

এছাড়া, চিঠিতে এই অনিয়মের সঙ্গে জড়িত দায়ি কর্মকর্তা হিসেবে ব্যাংকটির সিএফও মো. মাসুদুর রহমানের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ (২০১৫ সালের সংশোধনীসহ) এর ২৩(৮) ধারার আওতায় কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তারও ব্যাখ্যা চাওয়া হয়।

ব্যাংকের প্রধান মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ কর্মকর্তার নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে মো. মাসুদুর রহমানসহ উল্লিখিত অনিময়ের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের চিহ্নিত ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে বিএফআইইউকে জানাতেও বলা হয় ওই চিঠিতে।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x

সাউথ বাংলা ব্যাংকের কাছে ব্যাখ্যা চাইল বিএফআইইউ

আপডেট: ০৭:২৮:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩

বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) নাম ব্যবহার করে সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার এন্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেডের খুলনা শাখার ব্যবস্থাপকের কাছে তথ্য চাওয়ায় ব্যাংকটির কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে বিএফআইইউ।

আজ মঙ্গলবার (৩০ মে) বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের যুগ্ম পরিচালক মো. রোকন-উজ-জামান স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার এন্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে এই ব্যাখ্যা চাওয়া হয়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউভ

চিঠিতে বলা হয়, ‘‘খুলনা মেয়রের ৬শ কোটি টাকার প্রকল্পের হিসাব তলব’ শিরোনামে গত ২৮ মে একটি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ এ ইউনিটের দৃষ্টি গোচর হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখ করা হয় যে, ব্যাংকগুলোতে পাঠানো এক চিঠিতে এই ‘প্রজেক্ট ৬শ ক্রোর’ এর ব্যাংক হিসাব তলব করেছে বিএফআইইউ। তবে, এ ইউনিটের অনুসন্ধানে পরিলক্ষিত হয় যে, বাংলাদেশে কার্যরত ব্যাংকসমূহে উল্লিখিত বিষয়ে কোনো পত্র বা ই-মেইলে তথ্য চাওয়া না হলেও আপনাদের সিএফও মো. মাসুদুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ ইউনিটের নাম ব্যবহার করে আপনাদের খুলনা শাখার ব্যবস্থাপকের কাছে উল্লিখিত হিসাবটির হিসাব খোলার ফর্ম, লেনদেন বিবরণী ও আনুসঙ্গিক দলিলাদির কপি চাওয়া হয়েছে যা বিএফআইইউ সার্কুলার লেটার নং-১/২০১৮, তারিখ: ২২/০৪/২০১৮ এ নির্দেশনার লংঘন।’’

চিঠিতে বিএফআইইউ’র নির্দেশনা লংঘন করে অভ্যন্তরীণ পত্র যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিএফআইইউ এর নাম ব্যবহার করে শাখার কাছে তথ্য চাওয়ায় সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার এন্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেডের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ (২০১৫ সালের সংশোধনীসহ) এর ২৩(৫) ধারার আওতায় কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা তিন কর্মদিবসের মধ্যে ব্যাখ্যা করতে বলা হয়।

আরও পড়ুন: চার ব্যাংকের প্রভিশন ঘাটতি সাড়ে আট হাজার কোটি টাকা

এছাড়া, চিঠিতে এই অনিয়মের সঙ্গে জড়িত দায়ি কর্মকর্তা হিসেবে ব্যাংকটির সিএফও মো. মাসুদুর রহমানের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ (২০১৫ সালের সংশোধনীসহ) এর ২৩(৮) ধারার আওতায় কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তারও ব্যাখ্যা চাওয়া হয়।

ব্যাংকের প্রধান মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ কর্মকর্তার নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে মো. মাসুদুর রহমানসহ উল্লিখিত অনিময়ের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের চিহ্নিত ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে বিএফআইইউকে জানাতেও বলা হয় ওই চিঠিতে।

ঢাকা/এসএ