০১:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪

সাপ্তাহিক লেনদেনে ২০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:৫১:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ এপ্রিল ২০২২
  • / ৪১২০ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তিনদিন সূচক বাড়লেও দুদিন হারিয়েছে। সপ্তাহ শেষে স্টক এক্সচেঞ্জটির প্রধান সূচক ডিএসইএক্সসহ সব সূচকে পয়েন্ট যোগ হয়েছে। পাশাপাশি গত সপ্তাহে আগের সপ্তাহের থেকে লেনদেনের পরিমাণও বেড়েছে ২০ শতাংশের বেশি। তবে অন্য পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত সপ্তাহে প্রধান প্রধান সূচক কমেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের সপ্তাহের তুলনায় প্রায় ৫ পয়েন্ট বা দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ বেড়ে ৬ হাজার ৭৫৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ৬ হাজার ৭৫৩ পয়েন্টে। সূচকের এ সামান্য উত্থানে গত সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে বিকন ফার্মা, ফরচুন সুজ, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ, আইপিডিসি ফাইন্যান্স, পাওয়ার গ্রিড, সোনালী পেপার ও গ্রামীণফোনের শেয়ার।

ডিএসইর অন্য সূচকের মধ্যে নির্বাচিত কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ সপ্তাহের ব্যবধানে ৭ পয়েন্ট বা দশমিক ২৯ শতাংশ বেড়ে ২ হাজার ৪৭৪ পয়েন্টে  দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ২ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ১১ পয়েন্ট বা দশমিক ৭৮ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৪৬৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ১ হাজার ৪৫৭ পয়েন্টে।

গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে ডিএসইতে প্রায় ৪ হাজার ৬৮৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যেখানে আগের সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে লেনদেন ছিল প্রায় ৩ হাজার ৯০১ কোটি ২০ লাখ টাকা। সেই হিসাবে সাপ্তাহিক লেনদেন বেড়েছে ৭৮২ কোটি ১৫ লাখ টাকা বা ২০ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ। গত সপ্তাহে এক্সচেঞ্জটিতে দৈনিক গড়ে প্রায় ৯৩৬ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যেখানে আগের সপ্তাহে দৈনিক গড় লেনদেন ছিল প্রায় ৭৮০ কোটি ২৩ লাখ টাকার। এক সপ্তাহের ব্যবধানে দৈনিক লেনদেন বেড়েছে ১৫৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।

গত সপ্তাহে এক্সচেঞ্জটির খাতভিত্তিক লেনদেনে শীর্ষে ছিল প্রকৌশল খাত। ডিএসইর মোট লেনদেনের ১০ শতাংশ ছিল খাতটির দখলে। ৯ দশমিক ৮ শতাংশ নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাত।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে বেশির ভাগ খাত থেকেই ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে। এর মধ্যে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ নিয়ে শীর্ষে রয়েছে চামড়া খাত। পরের অবস্থানে রয়েছে সাধারণ বীমা খাত। খাতটি থেকে ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ। ৩ দশমিক ৪ শতাংশ নিয়ে তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে সিমেন্ট খাত। অন্যদিকে নেতিবাচক রিটার্নে গত সপ্তাহে শীর্ষে ছিল জীবন বীমা খাত। খাতটি থেকে নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে ২ দশমিক ৫ শতাংশ।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে মোট ৩৯৩টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের মধ্যে ৩৮৪টির লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৭৯টির। কমেছে ১৭০টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৩৫টির। লেনদেন হয়নি ৯টির।

অন্যদিকে সিএসইতে গত সপ্তাহে সার্বিক সূচক সিএএসপিআই দশমিক ৩৮ শতাংশ কমে ১৯ হাজার ৭৪৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহে যা ছিল ১৯ হাজার ৮২৫ পয়েন্টে। সিএসসিএক্স সূচকটি গত সপ্তাহ শেষে দশমিক ৩৯ শতাংশ কমে ১১ হাজার ৮৪৮ পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে সূচকটির অবস্থান ছিল ১১ হাজার ৮৯৪ পয়েন্টে। সিএসইতে গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছে প্রায় ২২১ কোটি ২১ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে যেখানে লেনদেন হয়েছিল ১৩৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন বেড়েছে ৮৭ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। আলোচ্য সময়ে সিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৫৩টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৩৭টির, কমেছে ১৯৪টির, অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টির।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x

সাপ্তাহিক লেনদেনে ২০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি

আপডেট: ১১:৫১:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ এপ্রিল ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তিনদিন সূচক বাড়লেও দুদিন হারিয়েছে। সপ্তাহ শেষে স্টক এক্সচেঞ্জটির প্রধান সূচক ডিএসইএক্সসহ সব সূচকে পয়েন্ট যোগ হয়েছে। পাশাপাশি গত সপ্তাহে আগের সপ্তাহের থেকে লেনদেনের পরিমাণও বেড়েছে ২০ শতাংশের বেশি। তবে অন্য পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত সপ্তাহে প্রধান প্রধান সূচক কমেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের সপ্তাহের তুলনায় প্রায় ৫ পয়েন্ট বা দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ বেড়ে ৬ হাজার ৭৫৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ৬ হাজার ৭৫৩ পয়েন্টে। সূচকের এ সামান্য উত্থানে গত সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে বিকন ফার্মা, ফরচুন সুজ, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ, আইপিডিসি ফাইন্যান্স, পাওয়ার গ্রিড, সোনালী পেপার ও গ্রামীণফোনের শেয়ার।

ডিএসইর অন্য সূচকের মধ্যে নির্বাচিত কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ সপ্তাহের ব্যবধানে ৭ পয়েন্ট বা দশমিক ২৯ শতাংশ বেড়ে ২ হাজার ৪৭৪ পয়েন্টে  দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ২ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ১১ পয়েন্ট বা দশমিক ৭৮ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৪৬৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ১ হাজার ৪৫৭ পয়েন্টে।

গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে ডিএসইতে প্রায় ৪ হাজার ৬৮৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যেখানে আগের সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে লেনদেন ছিল প্রায় ৩ হাজার ৯০১ কোটি ২০ লাখ টাকা। সেই হিসাবে সাপ্তাহিক লেনদেন বেড়েছে ৭৮২ কোটি ১৫ লাখ টাকা বা ২০ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ। গত সপ্তাহে এক্সচেঞ্জটিতে দৈনিক গড়ে প্রায় ৯৩৬ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যেখানে আগের সপ্তাহে দৈনিক গড় লেনদেন ছিল প্রায় ৭৮০ কোটি ২৩ লাখ টাকার। এক সপ্তাহের ব্যবধানে দৈনিক লেনদেন বেড়েছে ১৫৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।

গত সপ্তাহে এক্সচেঞ্জটির খাতভিত্তিক লেনদেনে শীর্ষে ছিল প্রকৌশল খাত। ডিএসইর মোট লেনদেনের ১০ শতাংশ ছিল খাতটির দখলে। ৯ দশমিক ৮ শতাংশ নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাত।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে বেশির ভাগ খাত থেকেই ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে। এর মধ্যে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ নিয়ে শীর্ষে রয়েছে চামড়া খাত। পরের অবস্থানে রয়েছে সাধারণ বীমা খাত। খাতটি থেকে ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ। ৩ দশমিক ৪ শতাংশ নিয়ে তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে সিমেন্ট খাত। অন্যদিকে নেতিবাচক রিটার্নে গত সপ্তাহে শীর্ষে ছিল জীবন বীমা খাত। খাতটি থেকে নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে ২ দশমিক ৫ শতাংশ।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে মোট ৩৯৩টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের মধ্যে ৩৮৪টির লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৭৯টির। কমেছে ১৭০টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৩৫টির। লেনদেন হয়নি ৯টির।

অন্যদিকে সিএসইতে গত সপ্তাহে সার্বিক সূচক সিএএসপিআই দশমিক ৩৮ শতাংশ কমে ১৯ হাজার ৭৪৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহে যা ছিল ১৯ হাজার ৮২৫ পয়েন্টে। সিএসসিএক্স সূচকটি গত সপ্তাহ শেষে দশমিক ৩৯ শতাংশ কমে ১১ হাজার ৮৪৮ পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে সূচকটির অবস্থান ছিল ১১ হাজার ৮৯৪ পয়েন্টে। সিএসইতে গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছে প্রায় ২২১ কোটি ২১ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে যেখানে লেনদেন হয়েছিল ১৩৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন বেড়েছে ৮৭ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। আলোচ্য সময়ে সিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৫৩টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৩৭টির, কমেছে ১৯৪টির, অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টির।

ঢাকা/টিএ