০২:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আলিফ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ

সিআইপি সম্মাননা পেলেন ১৮০ ব্যবসায়ী

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:১৩:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ জুন ২০২৩
  • / ১০৩৬২ বার দেখা হয়েছে

দেশের অর্থনীতিতে অসামান্য অবদানের জন্য আলিফ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: আজিমুল ইসলামসহ ১৮০ জন ব্যবসায়ীকে সিআইপি মর্যাদা দিয়েছে সরকার। এর মধ্যে রপ্তানি ক্যাটাগরিতে ১৪০ জনকে এবং ৪০ জনকে বাণিজ্য ক্যাটাগরির অধীনে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) পরিচালকের পদাধিকারী বলে সিআইপির মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।

আজ রোববার ২৫ জুন রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, সিনিয়র বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ ও এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন তাদের হাতে সিআইপি কার্ড তুলে দেন।

সিআইপি (রপ্তানি) নীতিমালা-২০১৩ অনুযায়ী ২২টি রপ্তানি পণ্য খাতের মধ্যে ১৯টি পণ্য ও সেবা খাতে বিশেষ অবদান রাখায় ২০২১ সালে মোট ১৪০ জনকে সিআইপি (রপ্তানি) এবং ৪০ জন ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দকে পদাধিকার বলে সিআইপি (ট্রেড) সম্মানে ভূষিত করা হয়।

সিআইপি (রপ্তানি) নীতিমালা অনুযায়ী এই ব্যক্তিরা বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য পাস ও গাড়ি স্টিকার পাবেন। এছাড়া জাতীয় অনুষ্ঠান ও নাগরিক সংবর্ধনায় দাওয়াত, ব্যবসা সংক্রান্ত কাজে ভ্রমণের সময় বিমান, রেলপথ, সড়ক ও জলপথে সরকারি যানবাহনে আসন সংরক্ষণে অগ্রাধিকার ও বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহারের সুবিধা পাবেন।
এছাড়া সিআইপিরা তাদের স্ত্রী, সন্তান ও নিজের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালে বিশেষ সুবিধা পাবেন। বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের জন্য ‘লেটার অব ইন্ট্রোডাকশন’ দেবে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। আমি বিশ্বাস করি দেশের সকল ব্যবসায়ী সমাজ যদি ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে তাহলে এই লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হবে।

টিপু মুনশি বলেন, করোনা মহাসংকটের পর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী আমদানি-রপ্তানিতে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এর মধ্যেও আমাদের দেশের ব্যবসায়ীরা নানা প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকা- সচল রেখেছেন। দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা বিবেচনায় আমদানির পাশাপাশি রপ্তানি অব্যাহত রেখেছেন। শুধু তাই নয়, অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখার পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে চলেছেন যা সত্যিই প্রশংসনীয়।
তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদেশের মানুষের স্বাধীনতা ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য সারা জীবন লড়াই-সংগ্রাম করেছেন। বাঙালিকে এনে দিয়েছেন লাল সবুজ পতাকা। যে পাকিস্তান আমাদের দেশের মানুষকে শোষণ করেছে, অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করে দিয়েছিল সেই পাকিস্তান আজকে অর্থনীতির সকল সূচকে বাংলাদেশ থেকে পিছিয়ে পড়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ইপিবি ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান।

জানা গেছে, ২০২১ সালের জন্য মোট ১৮০ জন ব্যবসায়ীকে সিআইপি কার্ড দেওয়া হয়। তার মধ্যে সরাসরি রপ্তানি খাতে অবদানের জন্য ১৪০ জন পেয়েছেন এ কার্ড। তাঁদের মধ্যে কাঁচা পাট শ্রেণিতে ৪ জন, পাটজাত পণ্যে ৪ জন, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যে ৫ জন, হিমায়িত খাদ্যে ৮ জন, ওভেন পোশাকে (একক) ১৭ জন, ওভেন পোশাক (গ্রুপ) শ্রেণিতে ৪ জন, কৃষিপণ্যে ৮ জন, কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্যে ৩ জন, হালকা প্রকৌশল পণ্যে ৩ জন, ফার্মাসিউটিক্যালস শ্রেণিতে ৪ জন এবং হস্তশিল্প শ্রেণিতে ৩ জন সিআইপি নির্বাচিত হয়েছেন। এ ছাড়া হোম টেক্সটাইলে ৩ জন, নিট পোশাকে (একক) ২৫ জন, নিট পোশাকে (গ্রুপ) ৭ জন, সিরামিক পণ্যে ২ জন, প্লাস্টিক পণ্যে ১ জন, বস্ত্র খাতে ৭ জন এবং কম্পিউটার সফটওয়্যার, কম্পিউটার সেবা ও ডেটা প্রসেসিং ইত্যাদি পণ্য ও সেবা শ্রেণিতে ৪ জন নির্বাচিত হয়েছেন। এ ছাড়া বিবিধ পণ্য শ্রেণিতে ২৩ জন ও ইপিজেডভুক্ত ৫ প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি সিআইপি হয়েছেন।

এর বাইরে বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধি হিসেবে মোট ৪০ জনকে সিআইপি কার্ড দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

উল্লেখ্য, দেশের রপ্তানিকারক, শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে জাতীয় পর্যায়ে উৎসাহ, উদ্দীপনা ও পারস্পরিক সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার আবহ সৃষ্টি করাই সিআইপি (রপ্তানি) কার্ড প্রদানের উদ্দেশ্য।

ট্যাগঃ

শেয়ার করুন

আলিফ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ

সিআইপি সম্মাননা পেলেন ১৮০ ব্যবসায়ী

আপডেট: ১২:১৩:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ জুন ২০২৩

দেশের অর্থনীতিতে অসামান্য অবদানের জন্য আলিফ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: আজিমুল ইসলামসহ ১৮০ জন ব্যবসায়ীকে সিআইপি মর্যাদা দিয়েছে সরকার। এর মধ্যে রপ্তানি ক্যাটাগরিতে ১৪০ জনকে এবং ৪০ জনকে বাণিজ্য ক্যাটাগরির অধীনে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) পরিচালকের পদাধিকারী বলে সিআইপির মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।

আজ রোববার ২৫ জুন রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, সিনিয়র বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ ও এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন তাদের হাতে সিআইপি কার্ড তুলে দেন।

সিআইপি (রপ্তানি) নীতিমালা-২০১৩ অনুযায়ী ২২টি রপ্তানি পণ্য খাতের মধ্যে ১৯টি পণ্য ও সেবা খাতে বিশেষ অবদান রাখায় ২০২১ সালে মোট ১৪০ জনকে সিআইপি (রপ্তানি) এবং ৪০ জন ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দকে পদাধিকার বলে সিআইপি (ট্রেড) সম্মানে ভূষিত করা হয়।

সিআইপি (রপ্তানি) নীতিমালা অনুযায়ী এই ব্যক্তিরা বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য পাস ও গাড়ি স্টিকার পাবেন। এছাড়া জাতীয় অনুষ্ঠান ও নাগরিক সংবর্ধনায় দাওয়াত, ব্যবসা সংক্রান্ত কাজে ভ্রমণের সময় বিমান, রেলপথ, সড়ক ও জলপথে সরকারি যানবাহনে আসন সংরক্ষণে অগ্রাধিকার ও বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহারের সুবিধা পাবেন।
এছাড়া সিআইপিরা তাদের স্ত্রী, সন্তান ও নিজের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালে বিশেষ সুবিধা পাবেন। বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের জন্য ‘লেটার অব ইন্ট্রোডাকশন’ দেবে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। আমি বিশ্বাস করি দেশের সকল ব্যবসায়ী সমাজ যদি ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে তাহলে এই লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হবে।

টিপু মুনশি বলেন, করোনা মহাসংকটের পর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী আমদানি-রপ্তানিতে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এর মধ্যেও আমাদের দেশের ব্যবসায়ীরা নানা প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকা- সচল রেখেছেন। দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা বিবেচনায় আমদানির পাশাপাশি রপ্তানি অব্যাহত রেখেছেন। শুধু তাই নয়, অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখার পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে চলেছেন যা সত্যিই প্রশংসনীয়।
তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদেশের মানুষের স্বাধীনতা ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য সারা জীবন লড়াই-সংগ্রাম করেছেন। বাঙালিকে এনে দিয়েছেন লাল সবুজ পতাকা। যে পাকিস্তান আমাদের দেশের মানুষকে শোষণ করেছে, অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করে দিয়েছিল সেই পাকিস্তান আজকে অর্থনীতির সকল সূচকে বাংলাদেশ থেকে পিছিয়ে পড়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ইপিবি ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান।

জানা গেছে, ২০২১ সালের জন্য মোট ১৮০ জন ব্যবসায়ীকে সিআইপি কার্ড দেওয়া হয়। তার মধ্যে সরাসরি রপ্তানি খাতে অবদানের জন্য ১৪০ জন পেয়েছেন এ কার্ড। তাঁদের মধ্যে কাঁচা পাট শ্রেণিতে ৪ জন, পাটজাত পণ্যে ৪ জন, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যে ৫ জন, হিমায়িত খাদ্যে ৮ জন, ওভেন পোশাকে (একক) ১৭ জন, ওভেন পোশাক (গ্রুপ) শ্রেণিতে ৪ জন, কৃষিপণ্যে ৮ জন, কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্যে ৩ জন, হালকা প্রকৌশল পণ্যে ৩ জন, ফার্মাসিউটিক্যালস শ্রেণিতে ৪ জন এবং হস্তশিল্প শ্রেণিতে ৩ জন সিআইপি নির্বাচিত হয়েছেন। এ ছাড়া হোম টেক্সটাইলে ৩ জন, নিট পোশাকে (একক) ২৫ জন, নিট পোশাকে (গ্রুপ) ৭ জন, সিরামিক পণ্যে ২ জন, প্লাস্টিক পণ্যে ১ জন, বস্ত্র খাতে ৭ জন এবং কম্পিউটার সফটওয়্যার, কম্পিউটার সেবা ও ডেটা প্রসেসিং ইত্যাদি পণ্য ও সেবা শ্রেণিতে ৪ জন নির্বাচিত হয়েছেন। এ ছাড়া বিবিধ পণ্য শ্রেণিতে ২৩ জন ও ইপিজেডভুক্ত ৫ প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি সিআইপি হয়েছেন।

এর বাইরে বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধি হিসেবে মোট ৪০ জনকে সিআইপি কার্ড দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

উল্লেখ্য, দেশের রপ্তানিকারক, শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে জাতীয় পর্যায়ে উৎসাহ, উদ্দীপনা ও পারস্পরিক সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার আবহ সৃষ্টি করাই সিআইপি (রপ্তানি) কার্ড প্রদানের উদ্দেশ্য।