০৩:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪

সিটি ব্যাংকের ৪২ কর্মীকে জোরপূর্বক চাকরিচ্যুত

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:০৬:০২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪১৭৫ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত সিটি ব্যাংক লিমিটেডের ৪২ কর্মীকে জোরপূর্বক চাকরিচ্যুত করার অভিযোগ উঠেছে। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে জোর করে তাদের পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করানো হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে দেওয়া এক চিঠিতে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। সম্প্রতি চাকরিচ্যুত কর্মীরা বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার বরাবর পাঠানো একটি চিঠিতে এর প্রতিকার চেয়েছেন। ব্যাংকটিতে আরও শতাধিক কর্মী চাকরি হারানোর আতঙ্কে রয়েছেন বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ অক্টোবর কোনো নোটিস ছাড়াই সিটি ব্যাংকের এইচআর ডিভিশন এসব কর্মীকে ডেকে নিয়ে পারফরম্যান্স ইস্যুতে জোরপূর্বক পদত্যাগপত্রে সই করিয়ে নেয়। এ সময় পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর না করলে তাদের টার্মিনেশন করার ভয় দেখানো হয়। ফলে কোনো উপায় না পেয়ে কর্মীরা ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কথামতো স্বাক্ষর করেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

চাকরিচ্যুতির আগে এসব কর্মীর প্রতি মাসে ব্যবসায়ের টার্গেট ২৮ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৪৮ লাখ ধরা হয়। একই সঙ্গে তিনটি ক্রেডিট কার্ড যুক্ত করা হয়। কোনো মাসে টার্গেট পূরণ করতে না পারলে তা পরের মাসে পূরণ করতে হয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রতি মাসে টার্গেট পূরণ করা সম্ভব হয় না। কোনো মাসে টার্গেট পূরণ না হলেই তত্ত্বাবধায়ক ও টিম ম্যানেজারের মাধ্যমে ভয় দেখিয়ে কাউন্সেলিং পত্রে সই করিয়ে নেওয়া হতো।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র জিএম আবুল কালাম আজাদ বলেন, ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এসব বিষয় দেখে। এ ছাড়া বিষয়টি খতিয়ে দেখে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

আরও পড়ুন: প্রিমিয়ার লিজিংয়ের লোকসান কমেছে ৭৩ শতাংশ

এর আগে করোনার মধ্যেও বিভিন্ন সময় ব্যাংক কর্মীদের চাকরি হারাতে দেখা গেছে। সে সময় সুনির্দিষ্ট ও প্রমাণিত কোনো অভিযোগ না থাকা সত্ত্বেও করোনার সময়ে শুধু লক্ষ্যমাত্রা অর্জন না করা বা অদক্ষতার অজুহাতে চাকরিচ্যুত ও চাকরি থেকে পদত্যাগে বাধ্য করার অভিযোগ জানিয়েছিলেন ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে পদত্যাগ করার পর তাদের প্রাপ্য আর্থিক সুবিধা দেওয়া হয়নি।

পরে করোনায় ব্যাংককর্মীদের ছাঁটাই বন্ধে নির্দেশনা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। সুনির্দিষ্ট ও প্রমাণিত অভিযোগ ছাড়া কর্মীদের চাকরিচ্যুত করা যাবে না বলে জানায় আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। একই সঙ্গে করোনার সময়ে চাকরিচ্যুত বা পদত্যাগে বাধ্য হওয়া ব্যাংককর্মীদের চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x

সিটি ব্যাংকের ৪২ কর্মীকে জোরপূর্বক চাকরিচ্যুত

আপডেট: ১১:০৬:০২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ নভেম্বর ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত সিটি ব্যাংক লিমিটেডের ৪২ কর্মীকে জোরপূর্বক চাকরিচ্যুত করার অভিযোগ উঠেছে। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে জোর করে তাদের পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করানো হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে দেওয়া এক চিঠিতে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। সম্প্রতি চাকরিচ্যুত কর্মীরা বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার বরাবর পাঠানো একটি চিঠিতে এর প্রতিকার চেয়েছেন। ব্যাংকটিতে আরও শতাধিক কর্মী চাকরি হারানোর আতঙ্কে রয়েছেন বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ অক্টোবর কোনো নোটিস ছাড়াই সিটি ব্যাংকের এইচআর ডিভিশন এসব কর্মীকে ডেকে নিয়ে পারফরম্যান্স ইস্যুতে জোরপূর্বক পদত্যাগপত্রে সই করিয়ে নেয়। এ সময় পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর না করলে তাদের টার্মিনেশন করার ভয় দেখানো হয়। ফলে কোনো উপায় না পেয়ে কর্মীরা ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কথামতো স্বাক্ষর করেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

চাকরিচ্যুতির আগে এসব কর্মীর প্রতি মাসে ব্যবসায়ের টার্গেট ২৮ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৪৮ লাখ ধরা হয়। একই সঙ্গে তিনটি ক্রেডিট কার্ড যুক্ত করা হয়। কোনো মাসে টার্গেট পূরণ করতে না পারলে তা পরের মাসে পূরণ করতে হয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রতি মাসে টার্গেট পূরণ করা সম্ভব হয় না। কোনো মাসে টার্গেট পূরণ না হলেই তত্ত্বাবধায়ক ও টিম ম্যানেজারের মাধ্যমে ভয় দেখিয়ে কাউন্সেলিং পত্রে সই করিয়ে নেওয়া হতো।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র জিএম আবুল কালাম আজাদ বলেন, ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এসব বিষয় দেখে। এ ছাড়া বিষয়টি খতিয়ে দেখে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

আরও পড়ুন: প্রিমিয়ার লিজিংয়ের লোকসান কমেছে ৭৩ শতাংশ

এর আগে করোনার মধ্যেও বিভিন্ন সময় ব্যাংক কর্মীদের চাকরি হারাতে দেখা গেছে। সে সময় সুনির্দিষ্ট ও প্রমাণিত কোনো অভিযোগ না থাকা সত্ত্বেও করোনার সময়ে শুধু লক্ষ্যমাত্রা অর্জন না করা বা অদক্ষতার অজুহাতে চাকরিচ্যুত ও চাকরি থেকে পদত্যাগে বাধ্য করার অভিযোগ জানিয়েছিলেন ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে পদত্যাগ করার পর তাদের প্রাপ্য আর্থিক সুবিধা দেওয়া হয়নি।

পরে করোনায় ব্যাংককর্মীদের ছাঁটাই বন্ধে নির্দেশনা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। সুনির্দিষ্ট ও প্রমাণিত অভিযোগ ছাড়া কর্মীদের চাকরিচ্যুত করা যাবে না বলে জানায় আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। একই সঙ্গে করোনার সময়ে চাকরিচ্যুত বা পদত্যাগে বাধ্য হওয়া ব্যাংককর্মীদের চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

ঢাকা/এসএ