১২:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪

সিদ্ধ ডিম ফ্রিজে ভালো থাকবে কত সময়?

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:৩৭:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৪১৪২ বার দেখা হয়েছে

সকালেন নাস্তায় বা দুপুরের খাবারে, সিদ্ধ ডিম সব কিছুর সাথেই খেতে ভালো লাগে। অনেকেই অফিসের টিফিনেও ডিমসিদ্ধ নিয়ে যেতে পছন্দ করেন। কিন্তু সকালে সিদ্ধ করে রাখা ডিম দুপুরবেলা খাওয়া কি ঠিক?

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

ডিমের পুষ্টিগুণ নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। পুষ্টিবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে ‘ইনক্রিডিবল এগ’য়ের তথ্যানুসারে জানানো হয় ঠিকভাবে সংরক্ষণ করা হলে রেফ্রিজারেটরে সিদ্ধ ডিম সপ্তাহখানেক ঠিক থাকে। তবে খোসা ছাড়ানো সিদ্ধ ডিম খেতে হবে টাটকা। অর্থাৎ যেদিন সিদ্ধ করা হবে সেদিনই খেতে হবে।

সব ধরনের ডিম ৪০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ৪.৪ ডিগ্রি সেলিসিয়াসের নিচের তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হবে। আর অবশ্যই মনে রাখতে হবে খোসা ছাড়ানো সিদ্ধ ডিম কোনোভাবেই ফ্রিজারে সংরক্ষণ করা যাবে না। ফ্রিজে সংরক্ষণ করা ছাড়া সাধারণ তাপমাত্রায় ডিম সিদ্ধ করার পর দুই ঘণ্টা পর্যন্ত ভালো থাকে।

আমেরিকার ‘সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’ এর তথ্যানুসারে, দ্রুত নষ্ট হয়ে যেতে পারে এ রকম খাবারের মধ্যে সিদ্ধ ডিম অন্যতম। সিদ্ধ করার পর সাধারণত দুই ঘণ্টার মধ্যে খেয়ে ফেলা উচিত। কারণ ডিম খুব তাড়াতাড়িই নষ্ট হয়ে যায়। সেই কারণে বিশেষজ্ঞরা বার বার টাটকা ডিমই খেতে পরামর্শ দেন।

আরও পড়ুন: ভাগ্যে কী আছে, রাশিফলে জেনে নিন

সিদ্ধ করা ডিম ভালো রাখার জন্য সবার আগে তাপমাত্রার দিকটা খেয়াল রাখা উচিত। কারণ ডিম সংরক্ষণ করার ক্ষেত্রে ৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম তাপমাত্রা হওয়া জরুরি। এ তাপমাত্রায় রেখে ডিম খোসাসহ ফ্রিজে রেখে দিলে সপ্তাহখানেক ভালো থাকবে। কোনোভাবেই খোসা ছাড়ানো সিদ্ধ করা ডিম ফ্রিজে রাখবেন না।

তাই এরপর থেকে রাস্তাঘাটে ফেরিওয়ালার কাছ থেকে খাওয়ার আগে নিশ্চিত হয়ে নিন কতক্ষণ আগে ডিম সিদ্ধ করা হয়েছে। আপনি যদি ডিম খেতে চান, তখন তার খোসা ছাড়িয়ে ফেলুন এবং অবিলম্বে খেয়ে নিন। এটি ব্যাকটেরিয়ার সংস্পর্শে আসতে বাধা দেবে। ডিম ফুটানোর সময় ভেঙে গেলে সঙ্গে সঙ্গে খেয়ে নিন।

যদি আপনি মনে করেন যে ডিমটি খারাপ হয়ে গেছে, তাহলে আপনি দেখতে পারেন যে ডিমের খোসা চটচটে হয়ে গিয়েছে বা তার রঙ চকলেট হয়ে গেছে। যদি তাই হয়, ডিম খাওয়ার উপযোগী নয়। মনে রাখবেন যদি ডিম নষ্ট হয়ে যায় তাহলে তা কখনই খাবেন না। এটি করলে আপনার ডায়রিয়া, বমি এবং নার্ভাসনেসের মতো সমস্যা হতে পারে।

ঢাকা/এসএম

ট্যাগঃ

শেয়ার করুন

x

সিদ্ধ ডিম ফ্রিজে ভালো থাকবে কত সময়?

আপডেট: ০৬:৩৭:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

সকালেন নাস্তায় বা দুপুরের খাবারে, সিদ্ধ ডিম সব কিছুর সাথেই খেতে ভালো লাগে। অনেকেই অফিসের টিফিনেও ডিমসিদ্ধ নিয়ে যেতে পছন্দ করেন। কিন্তু সকালে সিদ্ধ করে রাখা ডিম দুপুরবেলা খাওয়া কি ঠিক?

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

ডিমের পুষ্টিগুণ নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। পুষ্টিবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে ‘ইনক্রিডিবল এগ’য়ের তথ্যানুসারে জানানো হয় ঠিকভাবে সংরক্ষণ করা হলে রেফ্রিজারেটরে সিদ্ধ ডিম সপ্তাহখানেক ঠিক থাকে। তবে খোসা ছাড়ানো সিদ্ধ ডিম খেতে হবে টাটকা। অর্থাৎ যেদিন সিদ্ধ করা হবে সেদিনই খেতে হবে।

সব ধরনের ডিম ৪০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ৪.৪ ডিগ্রি সেলিসিয়াসের নিচের তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হবে। আর অবশ্যই মনে রাখতে হবে খোসা ছাড়ানো সিদ্ধ ডিম কোনোভাবেই ফ্রিজারে সংরক্ষণ করা যাবে না। ফ্রিজে সংরক্ষণ করা ছাড়া সাধারণ তাপমাত্রায় ডিম সিদ্ধ করার পর দুই ঘণ্টা পর্যন্ত ভালো থাকে।

আমেরিকার ‘সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’ এর তথ্যানুসারে, দ্রুত নষ্ট হয়ে যেতে পারে এ রকম খাবারের মধ্যে সিদ্ধ ডিম অন্যতম। সিদ্ধ করার পর সাধারণত দুই ঘণ্টার মধ্যে খেয়ে ফেলা উচিত। কারণ ডিম খুব তাড়াতাড়িই নষ্ট হয়ে যায়। সেই কারণে বিশেষজ্ঞরা বার বার টাটকা ডিমই খেতে পরামর্শ দেন।

আরও পড়ুন: ভাগ্যে কী আছে, রাশিফলে জেনে নিন

সিদ্ধ করা ডিম ভালো রাখার জন্য সবার আগে তাপমাত্রার দিকটা খেয়াল রাখা উচিত। কারণ ডিম সংরক্ষণ করার ক্ষেত্রে ৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম তাপমাত্রা হওয়া জরুরি। এ তাপমাত্রায় রেখে ডিম খোসাসহ ফ্রিজে রেখে দিলে সপ্তাহখানেক ভালো থাকবে। কোনোভাবেই খোসা ছাড়ানো সিদ্ধ করা ডিম ফ্রিজে রাখবেন না।

তাই এরপর থেকে রাস্তাঘাটে ফেরিওয়ালার কাছ থেকে খাওয়ার আগে নিশ্চিত হয়ে নিন কতক্ষণ আগে ডিম সিদ্ধ করা হয়েছে। আপনি যদি ডিম খেতে চান, তখন তার খোসা ছাড়িয়ে ফেলুন এবং অবিলম্বে খেয়ে নিন। এটি ব্যাকটেরিয়ার সংস্পর্শে আসতে বাধা দেবে। ডিম ফুটানোর সময় ভেঙে গেলে সঙ্গে সঙ্গে খেয়ে নিন।

যদি আপনি মনে করেন যে ডিমটি খারাপ হয়ে গেছে, তাহলে আপনি দেখতে পারেন যে ডিমের খোসা চটচটে হয়ে গিয়েছে বা তার রঙ চকলেট হয়ে গেছে। যদি তাই হয়, ডিম খাওয়ার উপযোগী নয়। মনে রাখবেন যদি ডিম নষ্ট হয়ে যায় তাহলে তা কখনই খাবেন না। এটি করলে আপনার ডায়রিয়া, বমি এবং নার্ভাসনেসের মতো সমস্যা হতে পারে।

ঢাকা/এসএম