সিন্ডিকেটকারীদের পৃষ্ঠপোষকতা ও মদদ দিচ্ছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের

- আপডেট: ০২:০৯:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
- / ১০৩৮৩ বার দেখা হয়েছে
দ্রব্যমূল্যে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে মজুতদার-সিন্ডিকেটকারীদের বিএনপি পৃষ্ঠপোষকতা ও মদদ দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপি সিন্ডিকেট লালন পালন করেছে, মজুদদারদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে, একথা বললে কি ভুল হবে? যারা করছে তারা বিএনপির পুরোনো সিন্ডিকেট।
আজ শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি সরকার ছিল ব্যবসায়ী সরকার। আওয়ামী লীগ ব্যবসা করতে আসেনি। এখানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার হাল ছেড়ে দিয়েছে— এ কথা মনে করার কোনো কারণ নেই। বিভিন্নভাবে সরকার পরিকল্পনা নিয়ে যে অশুভ চক্র দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে জন অসন্তোষের কারণ সৃষ্টি করছে তাদের কোনো অবস্থাতেই ছাড় দেওয়া হবে না। প্রধানমন্ত্রী নিজেই জোরালোভাবে সেটি বলেছেন।
বর্তমানে অর্থনীতির সংকট রয়েছে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, এজন্য আমরা দায়ী নই। বিশ্ব যুদ্ধ বিগ্রহ যেভাবে প্রসারিত হচ্ছে তাতে অর্থনীতির ওপর প্রতিক্রিয়া স্বাভাবিকভাবে হচ্ছে। জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। কিন্তু দ্রব্যমূল্য যাতে মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে সে ব্যাপারে সরকার যথেষ্ট তৎপরতায় কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রণালয়গুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন, তার আলোকে সবাই কাজ করে যাচ্ছে।
বিএনপি গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবে এবং এই আন্দোলনে সরকারের পতন অবশ্যই হবে— এক বিএনপি নেতার এমন মন্তব্যের বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এখন প্রশ্ন হচ্ছে দেশে একটা নির্বাচন হয়ে গেল। তারা নির্বাচনে অংশ নেয়নি। আন্দোলনের নামে সন্ত্রাসের মহড়া দিয়েছে। আগুন সন্ত্রাস করেছে। আন্দোলনের নামে কত ভয়ংকর ভূমিকায় বিএনপি হতে পারে সেটা তারা করে দেখিয়েছে বারে বারে। জনগণের সম্পৃক্ত ছিল না বলে অতীতে তারা ব্যর্থ হয়েছে।
আরও পড়ুন: ন্যায়বিচার প্রাপ্তিতে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে সরকার
উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি দলগতভাবে অংশ না নিলেও তৃণমূলে নেতারা নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় নির্বাচন করবে বলে জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়া নিয়ে দলটির মধ্যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব চলছে। আমরা দলীয় প্রতীক দিয়ে নির্বাচন করছি না। এমন অবস্থায় স্বতন্ত্র পরিচয়ে বিএনপির অনেকে নির্বাচন করবে। দলীয়ভাবে যাই করুক যারা তৃণমূলে আছেন তারা তাদের অস্তিত্বের বিষয় আছে। তৃণমূলে অস্তিত্ব নিয়ে টিকে থাকার প্রশ্ন আছে। আমার ধারণা বিএনপির অনেকেই অংশ নেবে। দলগতভাবে তারা যাই বলুক কেন।
এ সময় বিদেশে আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক এক মন্ত্রীর বিপুল অর্থ সম্পদ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী বলেন, দুর্নীতি করে কেউ ছাড় পাবে না। তিনি মন্ত্রী হন আর যেই হোন।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এবার নির্বাচনে যত বেশি-বিদেশি খেলা হয়েছে তখনো ভারত আমাদের পাশে ছিল। এখানে শেখ হাসিনাকে নিয়ন্ত্রণের প্রশ্ন কেন আসবে? বন্ধু বন্ধুর মত থাকবে। সহযোগিতার অর্থ নিয়ন্ত্রণ নয়। পারস্পরিক সহযোগিতা, সমন্বয় এখন খুবই জরুরি। ডিপ্লোম্যাসি উইথ কমনসেন্স— খুবই জরুরি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, উপ দপ্তর সায়েম খানসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতারা।
ঢাকা/কেএ