০৩:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪

সিরাজগঞ্জের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:৩৬:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ জুলাই ২০২৩
  • / ৪২০১ বার দেখা হয়েছে

উজানের পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বাড়ছে। যমুনার পানি বাড়তে থাকায় নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ এলাকায় যমুনার পানি বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার অভ্যন্তরীণ করতোয়া, ফুলজোড়, ইছামতি, বড়ালসহ অন্যান্য নদী ও খাল-বিলের পানিও বাড়ছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এদিকে, পানির স্রোতে নদী-তীরবর্তী অঞ্চল কাজীপুর, সদর, বেলকুচি, শাহজাদপুর, এনায়েতপুর ও চৌহালীতে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনে ঘর-বাড়ি, ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পক্ষ থেকে বালুর বস্তা ফেলা হচ্ছে।

রোববার (১৬ জুলাই) সকালে সিরাজগঞ্জ হার্ড পয়েন্টে যমুনা নদীর পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৭২ মিটার। গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে, কাজিপুরের মেঘাই ঘাট পয়েন্টে পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ৩১ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় ১২ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে।

নদীর পানি বেড়ে প্লাবিত হচ্ছে জেলার ৫ উপজেলার যমুনা অভ্যন্তরের চরাঞ্চলের গ্রামগুলো। ফসলের মাঠ তলিয়ে বসতবাড়িতেও পানি উঠছে। ফলে সদরের কাওয়াকোলা, কাজিপুরের স্পার বাঁধ, চৌহালী উপজেলার বাঘুটিয়া ও শাহজাদপুরের খুকনী এবং জালালপুর ইউনিয়নে দেখা দিয়েছে তীব্র নদী ভাঙন।

কাওয়াকোলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জিয়া মুন্সী জানান, যমুনার পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চরাঞ্চলের নিম্নভূমি তলিয়ে গেছে। বসতবাড়িতেও পানি উঠতে শুরু করেছে। গত কয়েকদিন ধরে কাওয়াকোলা ইউনিয়নের হাটবয়রা, ছোট কয়রা, দোগাছি ও কাওয়াকোলা গ্রামে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে এসব অঞ্চলের শতাধিক বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।

আরও পড়ুন: দেশে ফিরেছেন ৬০ হাজার ৬০৪ হাজি

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রনজিত কুমার সরকার জানান, উজানে ভারী বর্ষণে যমুনার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। আরও ২ দিন পানি বাড়বে ও আজকের মধ্যেই বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। চরাঞ্চলের নিম্নভূমিগুলো প্লাবিত হচ্ছে। এর মধ্যে বিপৎসীমা অতিক্রম করলেও আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। স্বাভাবিক প্লাবন হলেও বন্যা বা আশঙ্কাজনক অবস্থা সৃষ্টির সম্ভাবনা কম।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x
English Version

সিরাজগঞ্জের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

আপডেট: ১১:৩৬:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ জুলাই ২০২৩

উজানের পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বাড়ছে। যমুনার পানি বাড়তে থাকায় নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ এলাকায় যমুনার পানি বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার অভ্যন্তরীণ করতোয়া, ফুলজোড়, ইছামতি, বড়ালসহ অন্যান্য নদী ও খাল-বিলের পানিও বাড়ছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এদিকে, পানির স্রোতে নদী-তীরবর্তী অঞ্চল কাজীপুর, সদর, বেলকুচি, শাহজাদপুর, এনায়েতপুর ও চৌহালীতে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনে ঘর-বাড়ি, ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পক্ষ থেকে বালুর বস্তা ফেলা হচ্ছে।

রোববার (১৬ জুলাই) সকালে সিরাজগঞ্জ হার্ড পয়েন্টে যমুনা নদীর পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৭২ মিটার। গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে, কাজিপুরের মেঘাই ঘাট পয়েন্টে পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ৩১ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় ১২ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে।

নদীর পানি বেড়ে প্লাবিত হচ্ছে জেলার ৫ উপজেলার যমুনা অভ্যন্তরের চরাঞ্চলের গ্রামগুলো। ফসলের মাঠ তলিয়ে বসতবাড়িতেও পানি উঠছে। ফলে সদরের কাওয়াকোলা, কাজিপুরের স্পার বাঁধ, চৌহালী উপজেলার বাঘুটিয়া ও শাহজাদপুরের খুকনী এবং জালালপুর ইউনিয়নে দেখা দিয়েছে তীব্র নদী ভাঙন।

কাওয়াকোলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জিয়া মুন্সী জানান, যমুনার পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চরাঞ্চলের নিম্নভূমি তলিয়ে গেছে। বসতবাড়িতেও পানি উঠতে শুরু করেছে। গত কয়েকদিন ধরে কাওয়াকোলা ইউনিয়নের হাটবয়রা, ছোট কয়রা, দোগাছি ও কাওয়াকোলা গ্রামে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে এসব অঞ্চলের শতাধিক বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।

আরও পড়ুন: দেশে ফিরেছেন ৬০ হাজার ৬০৪ হাজি

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রনজিত কুমার সরকার জানান, উজানে ভারী বর্ষণে যমুনার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। আরও ২ দিন পানি বাড়বে ও আজকের মধ্যেই বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। চরাঞ্চলের নিম্নভূমিগুলো প্লাবিত হচ্ছে। এর মধ্যে বিপৎসীমা অতিক্রম করলেও আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। স্বাভাবিক প্লাবন হলেও বন্যা বা আশঙ্কাজনক অবস্থা সৃষ্টির সম্ভাবনা কম।

ঢাকা/এসএ