০৫:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ জুন ২০২৪

সিরিয়ায় সামরিক অভিযানের ইঙ্গিত এরদোগানের

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:১৬:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ মে ২০২২
  • / ১০২৩৯ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল ডেস্ক: তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিস্যেপ তাইয়্যেপ এরদোগান বলেছেন, সিরিয়ায় আরেকটি সামরিক অভিযান শুরু করার পরিকল্পনা করছে তুরস্ক। তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তের কাছে দুটি অঞ্চল নিজেদের দখলে রেখেছে তুরস্ক। আর এ দুটি অঞ্চলের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করতে সেখানে সামরিক অভিযান চালানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন এরদোগান। 

সোমবার (২৩ মে) মন্ত্রী পরিষদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এরদোগান বলেন, সিরিয়া-তুরস্কের সীমান্তের কাছে ৩০ কিলোমিটার একটি নিরাপদ সংযোগ স্থাপন করতে অভিযান শুরু হবে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তিনি আরও বলেন, আমাদের দক্ষিণ সীমান্তে ৩০ কিলোমিটার নিরাপদ তৈরি করতে যে প্রজেক্ট হাতে নিয়েছিলাম সেটির অসমাপ্ত কাজ শুরু করতে আমরা দ্রুতই নতুন পদক্ষেপ শুরু করব। এরদোগান খুব বেশি কিছু খোলাসা করেননি। তবে জানিয়েছেন, যখন সেনা, গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাদের প্রস্তুতি শেষ করবেন এরপরই অভিযান শুরু হবে। 

এদিকে সিরিয়ার যে স্থানটিতে অভিযান চালানোর কথা বলা হচ্ছে সেই স্থানটির দখল এখন রয়েছে সিরিয়ান ড্যামোক্রেটিক ফোর্সের হাতে। এই দলটি জঙ্গী সংঘটন কুর্দিস আর্মড গ্রুপের (ওয়াইপিজি) একটি সহযোগী সংগঠন। 

কুর্দিস আমর্ড গ্রুপ আবার কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) একটি শাখা। এই পিকেকে-কে তুরস্ক জঙ্গী সংগঠন হিসেবে অভিহিত করে থাকে এবং তাদের নিষিদ্ধ করেছে। দলটি ১৯৮৪ সাল থেকে আলাদা কুর্দিস্তানের দাবিতে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। পিকেকে এবং তুরস্কের নিরাপত্তা বাহিনীর দ্বন্দ্বে হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। 

কয়েকদিন আগে সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার আবেদন করে ফিনল্যান্ড ও সুইডেন। পিকেকে-কের সদস্যদের মদদ দেওয়ার কারণে এ দুটি দেশের ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার বিষয়টি আটকে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন এরদোগান।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x

সিরিয়ায় সামরিক অভিযানের ইঙ্গিত এরদোগানের

আপডেট: ০৬:১৬:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ মে ২০২২

বিজনেস জার্নাল ডেস্ক: তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিস্যেপ তাইয়্যেপ এরদোগান বলেছেন, সিরিয়ায় আরেকটি সামরিক অভিযান শুরু করার পরিকল্পনা করছে তুরস্ক। তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তের কাছে দুটি অঞ্চল নিজেদের দখলে রেখেছে তুরস্ক। আর এ দুটি অঞ্চলের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করতে সেখানে সামরিক অভিযান চালানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন এরদোগান। 

সোমবার (২৩ মে) মন্ত্রী পরিষদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এরদোগান বলেন, সিরিয়া-তুরস্কের সীমান্তের কাছে ৩০ কিলোমিটার একটি নিরাপদ সংযোগ স্থাপন করতে অভিযান শুরু হবে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তিনি আরও বলেন, আমাদের দক্ষিণ সীমান্তে ৩০ কিলোমিটার নিরাপদ তৈরি করতে যে প্রজেক্ট হাতে নিয়েছিলাম সেটির অসমাপ্ত কাজ শুরু করতে আমরা দ্রুতই নতুন পদক্ষেপ শুরু করব। এরদোগান খুব বেশি কিছু খোলাসা করেননি। তবে জানিয়েছেন, যখন সেনা, গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাদের প্রস্তুতি শেষ করবেন এরপরই অভিযান শুরু হবে। 

এদিকে সিরিয়ার যে স্থানটিতে অভিযান চালানোর কথা বলা হচ্ছে সেই স্থানটির দখল এখন রয়েছে সিরিয়ান ড্যামোক্রেটিক ফোর্সের হাতে। এই দলটি জঙ্গী সংঘটন কুর্দিস আর্মড গ্রুপের (ওয়াইপিজি) একটি সহযোগী সংগঠন। 

কুর্দিস আমর্ড গ্রুপ আবার কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) একটি শাখা। এই পিকেকে-কে তুরস্ক জঙ্গী সংগঠন হিসেবে অভিহিত করে থাকে এবং তাদের নিষিদ্ধ করেছে। দলটি ১৯৮৪ সাল থেকে আলাদা কুর্দিস্তানের দাবিতে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। পিকেকে এবং তুরস্কের নিরাপত্তা বাহিনীর দ্বন্দ্বে হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। 

কয়েকদিন আগে সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার আবেদন করে ফিনল্যান্ড ও সুইডেন। পিকেকে-কের সদস্যদের মদদ দেওয়ার কারণে এ দুটি দেশের ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার বিষয়টি আটকে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন এরদোগান।

ঢাকা/এসএ