১২:১০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪

সূচক ও লেনদেন বাড়লেও স্বস্তিতে নেই সাধারণ বিনিয়োগকারী

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:৪৫:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ৪১৬১ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: সদ্য সমাপ্ত সপ্তাহে (১৮-২২ সেপ্টেম্বর) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সব ধরনের মূল্য সূচকের উত্থান হয়েছে। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৪৩ শতাংশ। সূচক ও লেনদেন বাড়লেও অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। সপ্তাহটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬টি কোম্পানির মধ্যে দর কমেছে ১৬৬টি বা ৪২ শতাংশ কোম্পানির। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক বেড়েছে ২০৩.৮৪ পয়েন্ট বা ১.০৬ শতাংশ। ডিএসই এবং সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বাজার বিশ্লেষকদের মতে, সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন ৪৩ শতাংশ বাড়লেও তা বাজারে ইমপ্যাক্ট ফেলছেনা।কারণ বাজারে লেনদেনের অর্ধেকই ১০ কোম্পানির দখলে। আর এটা কোন সুস্থ বাজারের লক্ষণ নয়।

প্রসঙ্গত, সদ্য সমাপ্ত সপ্তাহে ওরিয়ন ফার্মার ৮ কোটি ৭৫ লাখ ৩৮ হাজার ৭০টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ১ হাজার ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। যা ছিল ডিএসইর মোট লেনদেনের ১২.২৭ শতাংশ। একই ভাবে বলা যায় বেক্সিমকো লিমিটেডও ৮ কোটি ১৮ লাখ ৭৮ হাজার ৯১৯টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ১ হাজার ১৩৬ কোটি ৭৩ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। যা ছিল ডিএসইর মোট লেনদেনের ১১.২৪ শতাংশ। ওরিয়ন ফার্মা ও বেক্সিমকো লিমিটেডের মোট লেনদেন ২৩.৫১ শতাংশ। যদি দুই কোম্পানি মোট লেনদেনের সাড়ে ২৩ করে তবে বাজার কেমন করে সুস্থ হতে পারে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১০ হাজার ১১০ কোটি ৩৯ লাখ  ৮ হাজার  টাকার শেয়ার। আগের সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৭ হাজার ৮২ কোটি ৯২ লাখ ৯৯ হাজার টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে ৩ হাজার ২৭ কোটি ৪৬ লাখ ৯ হাজার টাকার বা ৪২.৭৪ শতাংশ লেনদেন বেড়েছে।

ডিএসইতে প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স সপ্তাহের ব্যবধানে ৪৮ দশমিক ৯৯ পয়েন্ট বা  দশমিক ৭৫ শতাংশ বেড়ে ৬ হাজার ৫৬৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

আলোচ্য সপ্তাহে বাজারমূলধনের শীর্ষ৩০  কোম্পানির মূল্যসূচক ডিএস৩০ আগের সপ্তাহের চেয়ে ১৯ দশমিক ৩৩ পয়েন্ট বা  দশমিক ৮২ শতাংশ বেড়ে ২ ২ হাজার ৩৬৫ পয়েন্টে উঠেছে।

অন্যদিকে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৭.১৭ পয়েন্ট বা  দশমিক ৫০ শতাংশ বেড়েছে।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে ৩৯৬টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬টির, কমেছে ১৬৬টির। আর ১৩৪টির দাম ছিল অপরিবর্তিত।

সার্বিক বাজারে উত্থান থাকায় বাজার মূলধনেও ইতিবাচক প্রভাব রয়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে বাজার মূলধন বেড়েছে ২ হাজার ৬১৭ কোটি ৪২ লাখ ৪১ হাজার ১২৬ টাকা বা দশমিক ৫০ শতাংশ।

সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ২০ হাজার ১২৬ কোটি ৫৬ লাখ ৮১ হাজার ৯২১ টাকা। আর সপ্তাহ শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ২২ হাজার ৭৪৩ কোটি ৯৯ লাখ ২৩ হাজার টাকা।

অপর দিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৪০৮ কোটি ৯২ লাখ ৩৬ হাজার ৬১৯ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১৪৪ কোটি ২৩ লাখ ৪১ হাজার ৯৪২ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ২৬৪ কোটি ৬৮ লাখ ৯৪ হাজার ৬৭৭ টাকা বেড়েছে।

সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২০৩.৮৪ পয়েন্ট বা ১.০৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ৩৪৪.৮৬ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ১২৩.২১ পয়েন্ট বা ১.০৭ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ১০.৭১ পয়েন্ট বা ০.৭৭ শতাংশ এবং সিএসআই সূচক ১৪.৮৯ পয়েন্ট বা ১.২১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১১ হাজার ৫৯৬.০২ পয়েন্টে, এক হাজার ৪০৯.২৭ পয়েন্টে এবং এক হাজার ২৪৮.৪৭ পয়েন্টে। তবে ডিএসই-৩০ সূচক ৬.৭৪ পয়েন্ট বা ০.০৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৫০৫.২২ পয়েন্টে।

সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩৩৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৯২টির বা ২৭.৩০ শতাংশের দর বেড়েছে, ১১৬টির বা ৩৪.৪২ শতাংশের কমেছে এবং ১২৯টির বা ৩৮.২৮ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

আরও পড়ুন: সপ্তাহের ব্যবধানে এসএমইতে সূচক কমেছে ২২০ পয়েন্ট

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x

সূচক ও লেনদেন বাড়লেও স্বস্তিতে নেই সাধারণ বিনিয়োগকারী

আপডেট: ১১:৪৫:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: সদ্য সমাপ্ত সপ্তাহে (১৮-২২ সেপ্টেম্বর) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সব ধরনের মূল্য সূচকের উত্থান হয়েছে। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৪৩ শতাংশ। সূচক ও লেনদেন বাড়লেও অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। সপ্তাহটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬টি কোম্পানির মধ্যে দর কমেছে ১৬৬টি বা ৪২ শতাংশ কোম্পানির। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক বেড়েছে ২০৩.৮৪ পয়েন্ট বা ১.০৬ শতাংশ। ডিএসই এবং সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বাজার বিশ্লেষকদের মতে, সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন ৪৩ শতাংশ বাড়লেও তা বাজারে ইমপ্যাক্ট ফেলছেনা।কারণ বাজারে লেনদেনের অর্ধেকই ১০ কোম্পানির দখলে। আর এটা কোন সুস্থ বাজারের লক্ষণ নয়।

প্রসঙ্গত, সদ্য সমাপ্ত সপ্তাহে ওরিয়ন ফার্মার ৮ কোটি ৭৫ লাখ ৩৮ হাজার ৭০টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ১ হাজার ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। যা ছিল ডিএসইর মোট লেনদেনের ১২.২৭ শতাংশ। একই ভাবে বলা যায় বেক্সিমকো লিমিটেডও ৮ কোটি ১৮ লাখ ৭৮ হাজার ৯১৯টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ১ হাজার ১৩৬ কোটি ৭৩ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। যা ছিল ডিএসইর মোট লেনদেনের ১১.২৪ শতাংশ। ওরিয়ন ফার্মা ও বেক্সিমকো লিমিটেডের মোট লেনদেন ২৩.৫১ শতাংশ। যদি দুই কোম্পানি মোট লেনদেনের সাড়ে ২৩ করে তবে বাজার কেমন করে সুস্থ হতে পারে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১০ হাজার ১১০ কোটি ৩৯ লাখ  ৮ হাজার  টাকার শেয়ার। আগের সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৭ হাজার ৮২ কোটি ৯২ লাখ ৯৯ হাজার টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে ৩ হাজার ২৭ কোটি ৪৬ লাখ ৯ হাজার টাকার বা ৪২.৭৪ শতাংশ লেনদেন বেড়েছে।

ডিএসইতে প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স সপ্তাহের ব্যবধানে ৪৮ দশমিক ৯৯ পয়েন্ট বা  দশমিক ৭৫ শতাংশ বেড়ে ৬ হাজার ৫৬৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

আলোচ্য সপ্তাহে বাজারমূলধনের শীর্ষ৩০  কোম্পানির মূল্যসূচক ডিএস৩০ আগের সপ্তাহের চেয়ে ১৯ দশমিক ৩৩ পয়েন্ট বা  দশমিক ৮২ শতাংশ বেড়ে ২ ২ হাজার ৩৬৫ পয়েন্টে উঠেছে।

অন্যদিকে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৭.১৭ পয়েন্ট বা  দশমিক ৫০ শতাংশ বেড়েছে।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে ৩৯৬টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬টির, কমেছে ১৬৬টির। আর ১৩৪টির দাম ছিল অপরিবর্তিত।

সার্বিক বাজারে উত্থান থাকায় বাজার মূলধনেও ইতিবাচক প্রভাব রয়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে বাজার মূলধন বেড়েছে ২ হাজার ৬১৭ কোটি ৪২ লাখ ৪১ হাজার ১২৬ টাকা বা দশমিক ৫০ শতাংশ।

সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ২০ হাজার ১২৬ কোটি ৫৬ লাখ ৮১ হাজার ৯২১ টাকা। আর সপ্তাহ শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ২২ হাজার ৭৪৩ কোটি ৯৯ লাখ ২৩ হাজার টাকা।

অপর দিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৪০৮ কোটি ৯২ লাখ ৩৬ হাজার ৬১৯ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১৪৪ কোটি ২৩ লাখ ৪১ হাজার ৯৪২ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ২৬৪ কোটি ৬৮ লাখ ৯৪ হাজার ৬৭৭ টাকা বেড়েছে।

সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২০৩.৮৪ পয়েন্ট বা ১.০৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ৩৪৪.৮৬ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ১২৩.২১ পয়েন্ট বা ১.০৭ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ১০.৭১ পয়েন্ট বা ০.৭৭ শতাংশ এবং সিএসআই সূচক ১৪.৮৯ পয়েন্ট বা ১.২১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১১ হাজার ৫৯৬.০২ পয়েন্টে, এক হাজার ৪০৯.২৭ পয়েন্টে এবং এক হাজার ২৪৮.৪৭ পয়েন্টে। তবে ডিএসই-৩০ সূচক ৬.৭৪ পয়েন্ট বা ০.০৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৫০৫.২২ পয়েন্টে।

সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩৩৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৯২টির বা ২৭.৩০ শতাংশের দর বেড়েছে, ১১৬টির বা ৩৪.৪২ শতাংশের কমেছে এবং ১২৯টির বা ৩৮.২৮ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

আরও পড়ুন: সপ্তাহের ব্যবধানে এসএমইতে সূচক কমেছে ২২০ পয়েন্ট

ঢাকা/এসএ