০৯:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪

সোনালী লাইফের বিরুদ্ধে বিএসইসিতে বিনিয়োগকারীদের যতো অভিযোগ!

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০১:৪৫:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মে ২০২১
  • / ৪২৫৬ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: সদ্য আইপিওর মাধ্যমে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পাওয়া সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের বিরুদ্ধে অস্বচ্ছ ও বানোয়াট প্রসপেক্টাস ইস্যু করে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ।

সম্প্রতি সংগঠনটির সভাপতি এ.কে.এম মিজান-উর-রশীদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত অভিযোগপত্র বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) পাঠিয়েছে।

অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির লক্ষ্যে আইপিও অনুমোদন পেয়েছে বীমা খাতের সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স। কোম্পানিটির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। যার মধ্যে কোম্পানির প্রকাশিত প্রসপেক্টাসে হিসেবে ভুল, কৌশলে বিনিয়োগকারীদের পকেট কাটা ও তথ্য গোপনের অভিযোগ রয়েছে।

১. শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য: কোম্পানির প্রকাশিত প্রসপেক্টাসের ১১৫ নং পৃষ্ঠায় টোটাল অ্যাসেট দেখানো হয়েছে ১৩২,৭০,১২,৩৪৭ টাকা। আর শেয়ার সংখ্যা দেখানো হয়েছে ২,৮৫,০০০০০। সে হিসেবে কোম্পানিটির ন্যাভ দাঁড়ায় ৪৬.৫৬ টাকা। যা প্রসপেক্টাসের কোথাও উল্লেখ নেই।

২. শেয়ারহোল্ডার ইক্যুইটি: শেয়ারহোল্ডার ইক্যুইটি=এসেট-লায়াবিলিটি দেখানো হয়েছে ৭৩,৬৭৮,৬৩৭ টাকা। যা টোটাল এসেট ১৩,২৭,০১২,৩৪৭ টাকা থেকে বাদ দিলে মোট শেয়ারহোল্ডার ইক্যুইটি দাঁড়ায় ১২,৫৩,৩৩৭,৭১০ টাকা। যা প্রসপেক্টাসে তথ্য গোপন করে- মোট শেয়ারের ফেইস ভ্যালু (প্রতি শেয়ারের ফেইস ভ্যালু ১০ টাকা) ২,৮৫,০০০,০০০ টাকা দেখানো হয়েছে। অন্যদিকে আমাদের পাওয়া মোট শেয়ারহোল্ডার ইক্যুইটি ১,২৫,৩৩৩৭,৭১০কে মোট শেয়ার সংখ্যা ২৮,৫০০,৫০০ দিয়ে দিলে শেয়ার প্রতি ইক্যুইটি দাঁড়ায় ৮৩.৮৯ টাকা।

৩. লিস্টিং রেগুলেশন অমান্য: কোম্পানিটি তাদের মূল শেয়ারহোল্ডার ইক্যুইটি আড়ালে রেখে মোট শেয়ার ভ্য‍ালুকে শেয়ারহোল্ডার ইক্যুইটি হিসেবে দেখানো হয়েছে। এটা কেন এমন হয়েছে তা অজানা। যদি তারা ইচ্ছে করে এটা করে থাকে তাহলে লিস্টিং রেগুলেশনের পরিপন্থী হয়েছে ও তালিকাভুক্তির জন্য আইপিও অনুমোদন পেয়েছে। কেননা কোম্পানির শেয়ারের ফেস ভ্যালু ১০ টাকা ধার্য করা হয়েছে। এর বিপরীতে ২৮,৫০০,০০০ শেয়ারের মূল্য ফেইস ভ্যালু দাঁড়ায় ২,৮৫,০০০,০০০ আর এই টাকাকে কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার ইক্যুইটি হিসেবে দেখাচ্ছে।

৪. বোনাস ডিভিডেন্ড দিয়ে যেভাবে বিনিয়োগকারীদের কোণঠাসা করেছে: ২০১৭ সালে কোম্পানিটির শেয়ার সংখ্যা ছিলো ১৮,০০০,০০০টি যা ২০১৮ সালে বেড়ে দাঁড়ায় ২৮,৫০০,০০০ টিতে। নিশ্চয় কোম্পানি বোনাস ডিভিডেন্ড দেয়ার মাধ্যমে ১০,৫০০,০০০টি শেয়ার বাড়িয়ে নেয়ার মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের কৌশলে অল্পসংখ্যক শেয়ার দেয়ার মাধ্যমে টোটাল সম্পদ থেকে বঞ্চিত করছে। আর সব সময় ডিভিডেন্ড থেকে বঞ্চিত করবে।

যেমন একদিকে: ২০১৭ সালে বোনাস ডিভিডেন্ড দেয়ার ফলে যে পরিমাণ শেয়ার সংখ্যা বেড়েছে সে অনুযায়ী আইপিও পরবর্তী শেয়ার সংখ্যা দাঁড়াবে ১৮,৫০০,০০০+১৯,০০০,০০০=৪৭,৫০০০,০০০টি। সেই হিসেবে শেয়ার প্রতি ন্যাভ দাঁড়াবে ১,৩২৭,০১২,৩৪৭ ভাগ ৪৭,৫০০,০০০= ২৭.৯৪ টাকা।

অন্যদিকে, ২০১৭ সালে বোনাস ডিভিডেন্ড না দিয়ে কোম্পানির বোর্ড অফ ডিরেক্টর যদি নিজেদের শেয়ার সংখ্যা না বাড়িয়ে নিত তাহলে আইপিওর পরে মোট শেয়ার সংখ্যা দাঁড়াতো ১৮,০০০,০০০+১৯,০০০,০০০= ৩৭,০০০,০০০।

আর সেই হিসেবে শেয়ার প্রতি ন্যাভ দাঁড়াতো ১,৩২৭,০১২,৩৪৭ ভাগ ৩৭,০০০,০০০= ৩৫.৮৭ টাকা।
তাহলে দেখা যাচ্ছে কোম্পানির ডিরেক্টররা ২০১৭ সালে বোনাস ডিভিডেন্ড দিয়ে শেয়ার প্রতি সম্পদে বিনিয়োগকারীদের ঠকাচ্ছে… ৩৫.৮৭-২৭.৯৪=৭.৯৩ টাকা।

৫. পরিচালকরা বিনিয়োগকারীদের আয়ে যেভাবে ভাগ বসাবে: আবার ২০১৭ সালে কোম্পানির ডিরেক্টরা বোনাস ডিভিডেন্ডের মাধ্যমে যে অতিরিক্ত শেয়ারগুলো নিজেদের পকেটে ঢুকিয়ে নিয়েছে সে শেয়ারগুলো প্রতি বছর কোম্পানি আয়ের উপর ভাগ বসাবে। যার ফলে এই অতিরিক্ত শেয়ারের কারণে বিনিয়োগকারীদের ইপিএস কমে আসবে। আর এইভাবেও কোম্পানি সারাজীবন বিনিয়োগকারীদের পকেট কাটতে থাকবে।

০৬. দায়-দেনার অধিকাংশ বিনিয়োগকারীদের ঘাড়ে: ২০১৭ সালের বোনাস ডিভিডেন্ড দেয়ার আগে কোম্পানির শেয়ার সংখ্যা ছিল ১ কোটি ৮০ লাখ। তাহলে বলতে পারি কোম্পানির প্রকৃত শেয়ার সংখ্যাও এটি। আর এর বিপরীতে কোম্পানিটি শেয়ার ছাড়ছে ১ কোটি ৯০ লাখ। ফলে কোম্পানির সকল দায়ের অধিকাংশ পরিমাণ অনায়াসে বিনিয়োগকারীদের ঘাড়ে ফেলে দিচ্ছে।

০৭. প্রকৃত শেয়ারহোল্ডার ইক্যুইটি আড়ালে: কোন এক অজানা কারণে কোম্পানি তাদের আসল শেয়ারহোল্ডার ইক্যুইটি আড়ালে রেখে ফেসভ্যালুর সাথে শেয়ার সংখ্যার গুণফলকে শেয়ারহোল্ডার ইক্যুইটি দেখাচ্ছে। এটাই প্রমাণ করে যে, তাদের প্রকাশিত প্রসপেক্টাস সম্পূর্ণ অস্বচ্ছ ও বানোয়াট আর তা লিস্টিং রেগুলেশনের এর পরিপন্থী।

অতএব, এই কোম্পানি অসচ্ছ প্রতিবেদন দাখিল করে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের পাঁয়তারা করছে। তাই এ কোম্পানির আইপিও অনুমোদন বাতিল করার জন্য বিএসইসির কাছে আকুল আবেদন জানিয়েছে সংগঠনটির সভাপতি।

ঢাকা/এইচকে

শেয়ার করুন

x
English Version

সোনালী লাইফের বিরুদ্ধে বিএসইসিতে বিনিয়োগকারীদের যতো অভিযোগ!

আপডেট: ০১:৪৫:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মে ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: সদ্য আইপিওর মাধ্যমে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পাওয়া সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের বিরুদ্ধে অস্বচ্ছ ও বানোয়াট প্রসপেক্টাস ইস্যু করে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ।

সম্প্রতি সংগঠনটির সভাপতি এ.কে.এম মিজান-উর-রশীদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত অভিযোগপত্র বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) পাঠিয়েছে।

অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির লক্ষ্যে আইপিও অনুমোদন পেয়েছে বীমা খাতের সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স। কোম্পানিটির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। যার মধ্যে কোম্পানির প্রকাশিত প্রসপেক্টাসে হিসেবে ভুল, কৌশলে বিনিয়োগকারীদের পকেট কাটা ও তথ্য গোপনের অভিযোগ রয়েছে।

১. শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য: কোম্পানির প্রকাশিত প্রসপেক্টাসের ১১৫ নং পৃষ্ঠায় টোটাল অ্যাসেট দেখানো হয়েছে ১৩২,৭০,১২,৩৪৭ টাকা। আর শেয়ার সংখ্যা দেখানো হয়েছে ২,৮৫,০০০০০। সে হিসেবে কোম্পানিটির ন্যাভ দাঁড়ায় ৪৬.৫৬ টাকা। যা প্রসপেক্টাসের কোথাও উল্লেখ নেই।

২. শেয়ারহোল্ডার ইক্যুইটি: শেয়ারহোল্ডার ইক্যুইটি=এসেট-লায়াবিলিটি দেখানো হয়েছে ৭৩,৬৭৮,৬৩৭ টাকা। যা টোটাল এসেট ১৩,২৭,০১২,৩৪৭ টাকা থেকে বাদ দিলে মোট শেয়ারহোল্ডার ইক্যুইটি দাঁড়ায় ১২,৫৩,৩৩৭,৭১০ টাকা। যা প্রসপেক্টাসে তথ্য গোপন করে- মোট শেয়ারের ফেইস ভ্যালু (প্রতি শেয়ারের ফেইস ভ্যালু ১০ টাকা) ২,৮৫,০০০,০০০ টাকা দেখানো হয়েছে। অন্যদিকে আমাদের পাওয়া মোট শেয়ারহোল্ডার ইক্যুইটি ১,২৫,৩৩৩৭,৭১০কে মোট শেয়ার সংখ্যা ২৮,৫০০,৫০০ দিয়ে দিলে শেয়ার প্রতি ইক্যুইটি দাঁড়ায় ৮৩.৮৯ টাকা।

৩. লিস্টিং রেগুলেশন অমান্য: কোম্পানিটি তাদের মূল শেয়ারহোল্ডার ইক্যুইটি আড়ালে রেখে মোট শেয়ার ভ্য‍ালুকে শেয়ারহোল্ডার ইক্যুইটি হিসেবে দেখানো হয়েছে। এটা কেন এমন হয়েছে তা অজানা। যদি তারা ইচ্ছে করে এটা করে থাকে তাহলে লিস্টিং রেগুলেশনের পরিপন্থী হয়েছে ও তালিকাভুক্তির জন্য আইপিও অনুমোদন পেয়েছে। কেননা কোম্পানির শেয়ারের ফেস ভ্যালু ১০ টাকা ধার্য করা হয়েছে। এর বিপরীতে ২৮,৫০০,০০০ শেয়ারের মূল্য ফেইস ভ্যালু দাঁড়ায় ২,৮৫,০০০,০০০ আর এই টাকাকে কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার ইক্যুইটি হিসেবে দেখাচ্ছে।

৪. বোনাস ডিভিডেন্ড দিয়ে যেভাবে বিনিয়োগকারীদের কোণঠাসা করেছে: ২০১৭ সালে কোম্পানিটির শেয়ার সংখ্যা ছিলো ১৮,০০০,০০০টি যা ২০১৮ সালে বেড়ে দাঁড়ায় ২৮,৫০০,০০০ টিতে। নিশ্চয় কোম্পানি বোনাস ডিভিডেন্ড দেয়ার মাধ্যমে ১০,৫০০,০০০টি শেয়ার বাড়িয়ে নেয়ার মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের কৌশলে অল্পসংখ্যক শেয়ার দেয়ার মাধ্যমে টোটাল সম্পদ থেকে বঞ্চিত করছে। আর সব সময় ডিভিডেন্ড থেকে বঞ্চিত করবে।

যেমন একদিকে: ২০১৭ সালে বোনাস ডিভিডেন্ড দেয়ার ফলে যে পরিমাণ শেয়ার সংখ্যা বেড়েছে সে অনুযায়ী আইপিও পরবর্তী শেয়ার সংখ্যা দাঁড়াবে ১৮,৫০০,০০০+১৯,০০০,০০০=৪৭,৫০০০,০০০টি। সেই হিসেবে শেয়ার প্রতি ন্যাভ দাঁড়াবে ১,৩২৭,০১২,৩৪৭ ভাগ ৪৭,৫০০,০০০= ২৭.৯৪ টাকা।

অন্যদিকে, ২০১৭ সালে বোনাস ডিভিডেন্ড না দিয়ে কোম্পানির বোর্ড অফ ডিরেক্টর যদি নিজেদের শেয়ার সংখ্যা না বাড়িয়ে নিত তাহলে আইপিওর পরে মোট শেয়ার সংখ্যা দাঁড়াতো ১৮,০০০,০০০+১৯,০০০,০০০= ৩৭,০০০,০০০।

আর সেই হিসেবে শেয়ার প্রতি ন্যাভ দাঁড়াতো ১,৩২৭,০১২,৩৪৭ ভাগ ৩৭,০০০,০০০= ৩৫.৮৭ টাকা।
তাহলে দেখা যাচ্ছে কোম্পানির ডিরেক্টররা ২০১৭ সালে বোনাস ডিভিডেন্ড দিয়ে শেয়ার প্রতি সম্পদে বিনিয়োগকারীদের ঠকাচ্ছে… ৩৫.৮৭-২৭.৯৪=৭.৯৩ টাকা।

৫. পরিচালকরা বিনিয়োগকারীদের আয়ে যেভাবে ভাগ বসাবে: আবার ২০১৭ সালে কোম্পানির ডিরেক্টরা বোনাস ডিভিডেন্ডের মাধ্যমে যে অতিরিক্ত শেয়ারগুলো নিজেদের পকেটে ঢুকিয়ে নিয়েছে সে শেয়ারগুলো প্রতি বছর কোম্পানি আয়ের উপর ভাগ বসাবে। যার ফলে এই অতিরিক্ত শেয়ারের কারণে বিনিয়োগকারীদের ইপিএস কমে আসবে। আর এইভাবেও কোম্পানি সারাজীবন বিনিয়োগকারীদের পকেট কাটতে থাকবে।

০৬. দায়-দেনার অধিকাংশ বিনিয়োগকারীদের ঘাড়ে: ২০১৭ সালের বোনাস ডিভিডেন্ড দেয়ার আগে কোম্পানির শেয়ার সংখ্যা ছিল ১ কোটি ৮০ লাখ। তাহলে বলতে পারি কোম্পানির প্রকৃত শেয়ার সংখ্যাও এটি। আর এর বিপরীতে কোম্পানিটি শেয়ার ছাড়ছে ১ কোটি ৯০ লাখ। ফলে কোম্পানির সকল দায়ের অধিকাংশ পরিমাণ অনায়াসে বিনিয়োগকারীদের ঘাড়ে ফেলে দিচ্ছে।

০৭. প্রকৃত শেয়ারহোল্ডার ইক্যুইটি আড়ালে: কোন এক অজানা কারণে কোম্পানি তাদের আসল শেয়ারহোল্ডার ইক্যুইটি আড়ালে রেখে ফেসভ্যালুর সাথে শেয়ার সংখ্যার গুণফলকে শেয়ারহোল্ডার ইক্যুইটি দেখাচ্ছে। এটাই প্রমাণ করে যে, তাদের প্রকাশিত প্রসপেক্টাস সম্পূর্ণ অস্বচ্ছ ও বানোয়াট আর তা লিস্টিং রেগুলেশনের এর পরিপন্থী।

অতএব, এই কোম্পানি অসচ্ছ প্রতিবেদন দাখিল করে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের পাঁয়তারা করছে। তাই এ কোম্পানির আইপিও অনুমোদন বাতিল করার জন্য বিএসইসির কাছে আকুল আবেদন জানিয়েছে সংগঠনটির সভাপতি।

ঢাকা/এইচকে