০৭:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪

স্ট্যাবিলাজেশন ফান্ড নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মন্তব্যে ক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০২:৪১:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / ৪১৪০ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: ক্যাপিটাল মার্কেট স্টাবিলাইজেশন ফান্ড ইস্যুতে বাংলাদেশ ব্যাংকের দ্বি-মত ইস্যুতে ক্ষুব্ধ সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। কারণ এটা কোন গ্রাহকের জমাকৃত টাকা না, এটা কোম্পানির শেয়ারহোল্ডারদের টাকা। আর তাই শেয়ারহোল্ডারদের এই অধিকারে বাংলাদেশ ব্যাংককে হস্তক্ষেপ না করতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের পক্ষে আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ। আজ বুধবার সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি বৈঠক শেষে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবদুর রাজ্জাক স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশের অর্থনীতির প্রধান চালিকা শক্তি পুঁজিবাজার। নতুন কমিশন দায়িত্ব গ্রহণের পর বিভিন্ন দৃশ্যমান উদ্যোগ গ্রহণ ও সকল অংশীজনের সহায়তায় দীর্ঘদিনের মন্দাভাব কাটিয়ে পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা ফিরে এসেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পুঁজিবাজার উন্নয়নে একের পর এক নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন।

বিদেশে বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে বিদেশে রোড-শো অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের উপযুক্ত পরিবেশ থাকার কথা উল্লেখ করে বিদেশী বিনিয়োগকারীদেরকে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন বিএসইসি চেয়ারম্যান জনাব শিবলী রুবায়েতুল ইসলাম। পুঁজিবাজারের উন্নয়ন, স্থিতিশীলতা ও তারল্য সংকট দূরীকরণের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহন করা হয়।

এর অংশ হিসাবে ‘ক্যাপিটাল মার্কেট স্টাবিলাইজেশন ফান্ড’ গঠন করা হয়। বিএসইসি’র নির্দেশনা অনুযায়ী অধিকাংশ কোম্পানী অবন্টিত লভ্যাংশের টাকা ‘ক্যাপিটাল মার্কেট স্টাবিলাইজেশন ফান্ড’ এ জমা দিতে শুরু করেছে। অথচ এই ফান্ডে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জমাকৃত অবন্টিত লভ্যাংশের অর্থ জমা দিতে দ্বিমত পোষণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংক ভুলে গেছেন যে, অবন্টিত লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের টাকা, এটা গ্রাহকদের আমানত নয়। সভায় গত ১৩ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিহীন মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা ও প্রতিবাদ করা হয়।

প্রেসি বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের হঠকারী সিদ্ধান্তে ২০১০ সালে পুঁজিবাজারে মহাধ্বস নেমে এসেছিল, সেই বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়। পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের বৃহত্তর স্বার্থে বাংলাদেশ ব্যাংক যেন ব্যাংক ও আর্থিক খাতের কোম্পানীগুলোর অবন্টিত লভ্যাংশের অর্থ ‘ক্যাপিটাল মার্কেট স্টাবাইলেজেশন ফান্ড’ এ জমা দেওয়ার বিষয়ে কোন বাঁধার সৃষ্টি না করে সেই আহ্বান জানানো হয়। অন্যথায় এ ব্যাপারে প্রতিবাদ সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

ঢাকা/এইচকে

শেয়ার করুন

x

স্ট্যাবিলাজেশন ফান্ড নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মন্তব্যে ক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা

আপডেট: ০২:৪১:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: ক্যাপিটাল মার্কেট স্টাবিলাইজেশন ফান্ড ইস্যুতে বাংলাদেশ ব্যাংকের দ্বি-মত ইস্যুতে ক্ষুব্ধ সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। কারণ এটা কোন গ্রাহকের জমাকৃত টাকা না, এটা কোম্পানির শেয়ারহোল্ডারদের টাকা। আর তাই শেয়ারহোল্ডারদের এই অধিকারে বাংলাদেশ ব্যাংককে হস্তক্ষেপ না করতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের পক্ষে আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ। আজ বুধবার সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি বৈঠক শেষে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবদুর রাজ্জাক স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশের অর্থনীতির প্রধান চালিকা শক্তি পুঁজিবাজার। নতুন কমিশন দায়িত্ব গ্রহণের পর বিভিন্ন দৃশ্যমান উদ্যোগ গ্রহণ ও সকল অংশীজনের সহায়তায় দীর্ঘদিনের মন্দাভাব কাটিয়ে পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা ফিরে এসেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পুঁজিবাজার উন্নয়নে একের পর এক নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন।

বিদেশে বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে বিদেশে রোড-শো অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের উপযুক্ত পরিবেশ থাকার কথা উল্লেখ করে বিদেশী বিনিয়োগকারীদেরকে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন বিএসইসি চেয়ারম্যান জনাব শিবলী রুবায়েতুল ইসলাম। পুঁজিবাজারের উন্নয়ন, স্থিতিশীলতা ও তারল্য সংকট দূরীকরণের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহন করা হয়।

এর অংশ হিসাবে ‘ক্যাপিটাল মার্কেট স্টাবিলাইজেশন ফান্ড’ গঠন করা হয়। বিএসইসি’র নির্দেশনা অনুযায়ী অধিকাংশ কোম্পানী অবন্টিত লভ্যাংশের টাকা ‘ক্যাপিটাল মার্কেট স্টাবিলাইজেশন ফান্ড’ এ জমা দিতে শুরু করেছে। অথচ এই ফান্ডে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জমাকৃত অবন্টিত লভ্যাংশের অর্থ জমা দিতে দ্বিমত পোষণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংক ভুলে গেছেন যে, অবন্টিত লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের টাকা, এটা গ্রাহকদের আমানত নয়। সভায় গত ১৩ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিহীন মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা ও প্রতিবাদ করা হয়।

প্রেসি বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের হঠকারী সিদ্ধান্তে ২০১০ সালে পুঁজিবাজারে মহাধ্বস নেমে এসেছিল, সেই বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়। পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের বৃহত্তর স্বার্থে বাংলাদেশ ব্যাংক যেন ব্যাংক ও আর্থিক খাতের কোম্পানীগুলোর অবন্টিত লভ্যাংশের অর্থ ‘ক্যাপিটাল মার্কেট স্টাবাইলেজেশন ফান্ড’ এ জমা দেওয়ার বিষয়ে কোন বাঁধার সৃষ্টি না করে সেই আহ্বান জানানো হয়। অন্যথায় এ ব্যাপারে প্রতিবাদ সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

ঢাকা/এইচকে