রক্ত পরীক্ষা করে আগ থেকেই জানা যাবে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি আছে কি না। হার্ট অ্যটাকের ঝুঁকি থাকলে ৪ বছর আগেই এক ব্লাড টেস্টের মাধ্যমে তা জানতে পারবেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব

১১ হাজার অংশগ্রহণকারীদের উপর করা এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, রক্তে প্রোটিন পরিমাপই অন্তত ৪ বছর আগে জানান দেবে স্ট্রোক অথবা হার্ট ফেলিওরের ঝুঁকি আছে কি না।

মূলত রক্তে উপস্থিত ট্রোপোনিন প্রোটিনের মাত্রার উপর নির্ভর করে হৃদযন্ত্রের পেশির স্বাস্থ্য। এতে কোনো রকম প্রদাহ তৈরি হলে রক্তে ট্রোপোনিনের পরিমাণ বেড়ে যায়।

হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি নির্ধারণের ক্ষেত্রে ট্রোপোনিন বায়োমার্কার হিসেবে কাজ করে। যার উপর ভিত্তি করেই এই রক্ত পরীক্ষার ফলাফল নির্ধারণ করা হয়।

এই পরীক্ষার ফলাফলের স্বচ্ছতা নিয়েও বিজ্ঞানীর ১০০ শতাংশ নিশ্চিত। গবেষণাটি ‘সায়েন্স ট্রান্সলেশনাল মেডিসিন’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।

আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে নয় মৃত্যু

এতে বলে হয়েছে, গবেষণাটির উদ্দেশ্য ছিল একটি প্রোটিওমিক প্রগনোস্টিক পরীক্ষা তৈরি করা, যা স্ট্রোক ও হার্ট ফেলিওর সম্পর্কে আগাম সতর্কতা প্রদান করে।

বিজ্ঞানীরা ২২ হাজার ৮৪৯ জনের রক্তের নমুনা থেকে ৫ হাজার প্রোটিন পরিমাপের ভিত্তিতে ২৭টি বিশেষ ধরনের প্রোটিনকে শনাক্ত করেছে যা হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক বা এমনকি হার্ট ফেইলিওরের ৪ বছর আগেই জানান দিতে পারে।

গবেষণাটি পরিচালিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডোতে অবস্থিত সোমালজিক বোল্ডার নামে একটি প্রোটিন বায়োমার্কার আবিষ্কার এবং ক্লিনিকাল ডায়াগনস্টিক কোম্পানি।

এই পরীক্ষাটি ইতোমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চারটি স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থায় ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন গবেষণার প্রধান ডা. স্টিফেন উইলিয়ামস।

তিনি জানান, এই পরীক্ষার মাধ্যমে একজন ব্যক্তির কি উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন, কোন ধরনের চিকিৎসা অথবা ওষুধ তিনি খাচ্ছেন, কী কী পরিবর্তন জীবনযাত্রায় আনা প্রয়োজন তার একটা আভাস পাওয়া যাবে।

সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান

ঢাকা/এসএম