০৭:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

‘স্বচ্ছতা নিশ্চিতে মিউচুয়াল ফান্ডের আকার এক লাখ কোটি টাকা করা সম্ভব’

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:৩৭:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ অক্টোবর ২০২২
  • / ৪১৬৩ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার ড. মিজানুর রহমান এই কথা বলেন, দেশের মিউচুয়াল ফান্ড খাতের আকার দ্রুত বাড়ছে। দুই বছর আগে এই খাতের মোট সম্পদের মূল্য ছিল ১০ হাজার কোটি টাকা। বর্তমানে তা বেড়ে ১৫ হাজার কোটি টাকা হয়েছে। এই খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতা নিশ্চিত করা গেলে কয়েক বছরের মধ্যে মিউচুয়াল ফান্ড খাতের মোট আকার এক লাখ কোটি টাকায় উন্নীত করা সম্ভব।

আজ বৃহস্পতিবার (০৬ অক্টোবর) বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ -২০২২ উপলক্ষে এএএমসিএমএফ আয়োজনে ‘রোল অফ টেকনোলজি অ্যান্ড ইএসজি অ্যানালাইটিকস ইন সাসটেইনেবল ফাইন্যান্সিং’ শীর্ষক সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

অনুষ্ঠানে বিএসইসির কমিশনার ড. মিজানুর রহমান বলেন, কয়েক বছর আগেও মিউচুয়াল ফান্ড খাতে বেশকিছু বিশৃঙ্খলা ছিল। বর্তমান কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার সময় (২০২০) অ্যাকাউন্টিংয়ের হিসাবে দেশের মিউচুয়াল ফান্ডের মোট আকার ছিল ১০ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু বাস্তবে এর সম্পদ মূল্য ছিল ৭ হাজার কোটি টাকা। সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানিগুলো বেপরোয়াভাবে ইক্যুইটিতে বিনিয়োগ করেছিল। নিবিড় মনিটরিংয়ের ফলে পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে।

তিনি বলেন, মিউচুয়াল ফান্ডের আর্নিংস, এনএভি ক্যালকুলেশনসহ হিসাবের সকল ক্ষেত্রে আইএফআরএস অনুসরণ করতে হবে।

ড. মিজানুর রহমান বলেন, আগে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের ক‍্যাম্পেইন ছিল মানবাধিকার এবং সুশাসন নিয়ে। কিন্তু এখন তারা জলবায়ুর ঝুঁকির কথা বলছে। গ্রীনহাউস অন‍্যতম।

তিনি বলেন, মিউচুয়াল ফান্ডের উন্নতির ক্ষেত্রে কয়েক প্রতিবন্ধকতা আছে। এই খাতের বেশিরভাগ তহবিল ইক‍্যুইটি মার্কেটে বিনিয়োগ করেছে। তবে গত দশ বছরে উন্নতি হয়েছে। আমরা সংস্কারে কাজ করছি।

তিনি আরও বলেন, আমরা সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা চাই। একাউন্টিং রিপোর্টিং বিনিয়োগ নীরিক্ষা সব জায়গায় স্বচ্ছতা জরুরি।

এই কমিশনার বলেন, মিউচ্যুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ লাভজনক। এই খাত ১২, ১৩, ১৪ শতাংশ লভ্যাংশ দিতে পারে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি  ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী  মোস্তফা জব্বার। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ ও ড. রোমানা ইসলাম। এতে সভাপতিত্ব করেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ড. হাসান ইমাম।

আরও পড়ুন: দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগে লাভবান হবেনই: ড. রুমানা ইসলাম

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x
English Version

‘স্বচ্ছতা নিশ্চিতে মিউচুয়াল ফান্ডের আকার এক লাখ কোটি টাকা করা সম্ভব’

আপডেট: ০৬:৩৭:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ অক্টোবর ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার ড. মিজানুর রহমান এই কথা বলেন, দেশের মিউচুয়াল ফান্ড খাতের আকার দ্রুত বাড়ছে। দুই বছর আগে এই খাতের মোট সম্পদের মূল্য ছিল ১০ হাজার কোটি টাকা। বর্তমানে তা বেড়ে ১৫ হাজার কোটি টাকা হয়েছে। এই খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতা নিশ্চিত করা গেলে কয়েক বছরের মধ্যে মিউচুয়াল ফান্ড খাতের মোট আকার এক লাখ কোটি টাকায় উন্নীত করা সম্ভব।

আজ বৃহস্পতিবার (০৬ অক্টোবর) বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ -২০২২ উপলক্ষে এএএমসিএমএফ আয়োজনে ‘রোল অফ টেকনোলজি অ্যান্ড ইএসজি অ্যানালাইটিকস ইন সাসটেইনেবল ফাইন্যান্সিং’ শীর্ষক সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

অনুষ্ঠানে বিএসইসির কমিশনার ড. মিজানুর রহমান বলেন, কয়েক বছর আগেও মিউচুয়াল ফান্ড খাতে বেশকিছু বিশৃঙ্খলা ছিল। বর্তমান কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার সময় (২০২০) অ্যাকাউন্টিংয়ের হিসাবে দেশের মিউচুয়াল ফান্ডের মোট আকার ছিল ১০ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু বাস্তবে এর সম্পদ মূল্য ছিল ৭ হাজার কোটি টাকা। সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানিগুলো বেপরোয়াভাবে ইক্যুইটিতে বিনিয়োগ করেছিল। নিবিড় মনিটরিংয়ের ফলে পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে।

তিনি বলেন, মিউচুয়াল ফান্ডের আর্নিংস, এনএভি ক্যালকুলেশনসহ হিসাবের সকল ক্ষেত্রে আইএফআরএস অনুসরণ করতে হবে।

ড. মিজানুর রহমান বলেন, আগে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের ক‍্যাম্পেইন ছিল মানবাধিকার এবং সুশাসন নিয়ে। কিন্তু এখন তারা জলবায়ুর ঝুঁকির কথা বলছে। গ্রীনহাউস অন‍্যতম।

তিনি বলেন, মিউচুয়াল ফান্ডের উন্নতির ক্ষেত্রে কয়েক প্রতিবন্ধকতা আছে। এই খাতের বেশিরভাগ তহবিল ইক‍্যুইটি মার্কেটে বিনিয়োগ করেছে। তবে গত দশ বছরে উন্নতি হয়েছে। আমরা সংস্কারে কাজ করছি।

তিনি আরও বলেন, আমরা সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা চাই। একাউন্টিং রিপোর্টিং বিনিয়োগ নীরিক্ষা সব জায়গায় স্বচ্ছতা জরুরি।

এই কমিশনার বলেন, মিউচ্যুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ লাভজনক। এই খাত ১২, ১৩, ১৪ শতাংশ লভ্যাংশ দিতে পারে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি  ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী  মোস্তফা জব্বার। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ ও ড. রোমানা ইসলাম। এতে সভাপতিত্ব করেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ড. হাসান ইমাম।

আরও পড়ুন: দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগে লাভবান হবেনই: ড. রুমানা ইসলাম

ঢাকা/টিএ