০২:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪

স্মার্টফোন বিক্রিতে চীনে শীর্ষস্থান হারিয়েছে অ্যাপল

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৫:৫২:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ মে ২০২২
  • / ৪১৬১ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে স্মার্টফোন বিক্রিতে চীনে শীর্ষস্থান হারিয়েছে অ্যাপল। আইফোন ১৩-তে ভর করে এর আগের প্রান্তিকে স্মার্টফোন বিক্রিতে শীর্ষে উঠে এসেছিল মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্টটি। কিন্তু জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে চীনা প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানিগুলো থেকে পিছিয়েছে অ্যাপল। খবর সিএনএন বিজনেস।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

২০২১ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে প্রায় ছয় বছর পর চীনের বাজারে শীর্ষ স্মার্টফোন ব্র্যান্ড হিসেবে দাঁড়িয়েছিল অ্যাপল। চীনের অর্থনীতিতে শ্লথগতি ও বেশ কয়েকটি শহরে কভিড বিধিনিষেধ আরোপের ফলে ভোক্তা ব্যয় কমেছে। আইফোনের চেয়ে সাশ্রয়ী স্থানীয় স্মার্টফোন ক্রয়েই স্বচ্ছন্দ ছিল চীনা ক্রেতারা। এতে শীর্ষ দুই স্মার্টফোন ব্র্যান্ড হিসেবে জায়গা করে নেয় দুটি চীনা ব্র্যান্ড। অ্যাপল এক লাফে তৃতীয় স্থানে নেমে আসে।

সম্প্রতি প্রকাশিত কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রথম প্রান্তিকে চীনে স্মার্টফোন বিক্রি ১৪ শতাংশ কমেছে। অ্যাপলের বিক্রি আগের প্রান্তিকের চেয়ে ২৩ শতাংশ কমেছে। চীনে অ্যাপলের বাজার হিস্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ দশমিক ৯ শতাংশ। ডিসেম্বরে শেষ হওয়া প্রান্তিকে যেখানে অ্যাপলের বাজার হিস্যা ছিল ২১ দশমিক ৭ শতাংশ।

কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক আইভান লাম বলেন, চীনের অর্থনীতিতে শ্লথগতির ফলে অ্যাপলের বিক্রিতে প্রভাব পড়েছে। ভিভো, অনর ও অপোসহ চীনের স্থানীয় ব্র্যান্ডগুলো বেশ সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে।

সিএনএন বিজনেসকে লাম আরো বলেন, দ্বিতীয় প্রান্তিকেও অ্যাপলের বিক্রিতে আহামরি উন্নতি দেখছি না। চলমান লকডাউনের ফলে ভোক্তারা বড় অংকের অর্থ ব্যয়ে আগ্রহী হবে না।

গত সপ্তাহে প্রকাশিত ক্যানালিসের প্রতিবেদনেও বলা হয়, চীনে অ্যাপলের অবস্থান তৃতীয়। জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে চীনে অ্যাপলের স্মার্টফোন বিক্রি আগের প্রান্তিকের চেয়ে ৩৬ শতাংশ কমেছে। ভোক্তাদের কাছে সরাসরি বিক্রির চেয়ে রিটেইল আউটলেটে ম্যানুফ্যাকচারারদের বিক্রির উপাত্তের ভিত্তিতে প্রতিবেদন তৈরি করে ক্যানালিস।

বর্তমানের চীনের অন্তত ২৭টি শহরে আংশিক বা সম্পূর্ণ লকডাউন রয়েছে। এতে ভুক্তভুগী প্রায় ১৬ কোটি ৫০ লাখ চীনা নাগরিক। চীনের বাণিজ্য কেন্দ্র সাংহাইয়ে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে লকডাউন চলছে। এতে অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও = শিল্প-কারখানা তাদের কার্যক্রম বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। এতে দেশটির সার্বিক অর্থনীতিতে প্রভাব পড়েছে। প্রায় এক বছরেরও বেশি সময় পর গত মার্চে চীনের খুচরা বিক্রি সংকুচিত হয়েছে। ৩১টি প্রধান শহরে বেকারত্ব হার রেকর্ড ৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

শুধু চাহিদায় শ্লথগতিই নয়, সরবরাহ সংকটের কারণেও চীনে বাজার সংকুচিত হয়েছে অ্যাপলের। অ্যাপলের অন্যতম সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ফক্সকন তার শেনঝেন কারখানায় গত মাসে বেশ কয়েক দিন কারখানা বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে। এছাড়া সাংহাই ও কুনশানে কার্যক্রম স্থগিত করেছে আইফোন অ্যাসেম্বলকারী প্রতিষ্ঠান পেগাট্রন।

ঢাকা/এসএম

শেয়ার করুন

x

স্মার্টফোন বিক্রিতে চীনে শীর্ষস্থান হারিয়েছে অ্যাপল

আপডেট: ০৫:৫২:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ মে ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে স্মার্টফোন বিক্রিতে চীনে শীর্ষস্থান হারিয়েছে অ্যাপল। আইফোন ১৩-তে ভর করে এর আগের প্রান্তিকে স্মার্টফোন বিক্রিতে শীর্ষে উঠে এসেছিল মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্টটি। কিন্তু জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে চীনা প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানিগুলো থেকে পিছিয়েছে অ্যাপল। খবর সিএনএন বিজনেস।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

২০২১ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে প্রায় ছয় বছর পর চীনের বাজারে শীর্ষ স্মার্টফোন ব্র্যান্ড হিসেবে দাঁড়িয়েছিল অ্যাপল। চীনের অর্থনীতিতে শ্লথগতি ও বেশ কয়েকটি শহরে কভিড বিধিনিষেধ আরোপের ফলে ভোক্তা ব্যয় কমেছে। আইফোনের চেয়ে সাশ্রয়ী স্থানীয় স্মার্টফোন ক্রয়েই স্বচ্ছন্দ ছিল চীনা ক্রেতারা। এতে শীর্ষ দুই স্মার্টফোন ব্র্যান্ড হিসেবে জায়গা করে নেয় দুটি চীনা ব্র্যান্ড। অ্যাপল এক লাফে তৃতীয় স্থানে নেমে আসে।

সম্প্রতি প্রকাশিত কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রথম প্রান্তিকে চীনে স্মার্টফোন বিক্রি ১৪ শতাংশ কমেছে। অ্যাপলের বিক্রি আগের প্রান্তিকের চেয়ে ২৩ শতাংশ কমেছে। চীনে অ্যাপলের বাজার হিস্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ দশমিক ৯ শতাংশ। ডিসেম্বরে শেষ হওয়া প্রান্তিকে যেখানে অ্যাপলের বাজার হিস্যা ছিল ২১ দশমিক ৭ শতাংশ।

কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক আইভান লাম বলেন, চীনের অর্থনীতিতে শ্লথগতির ফলে অ্যাপলের বিক্রিতে প্রভাব পড়েছে। ভিভো, অনর ও অপোসহ চীনের স্থানীয় ব্র্যান্ডগুলো বেশ সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে।

সিএনএন বিজনেসকে লাম আরো বলেন, দ্বিতীয় প্রান্তিকেও অ্যাপলের বিক্রিতে আহামরি উন্নতি দেখছি না। চলমান লকডাউনের ফলে ভোক্তারা বড় অংকের অর্থ ব্যয়ে আগ্রহী হবে না।

গত সপ্তাহে প্রকাশিত ক্যানালিসের প্রতিবেদনেও বলা হয়, চীনে অ্যাপলের অবস্থান তৃতীয়। জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে চীনে অ্যাপলের স্মার্টফোন বিক্রি আগের প্রান্তিকের চেয়ে ৩৬ শতাংশ কমেছে। ভোক্তাদের কাছে সরাসরি বিক্রির চেয়ে রিটেইল আউটলেটে ম্যানুফ্যাকচারারদের বিক্রির উপাত্তের ভিত্তিতে প্রতিবেদন তৈরি করে ক্যানালিস।

বর্তমানের চীনের অন্তত ২৭টি শহরে আংশিক বা সম্পূর্ণ লকডাউন রয়েছে। এতে ভুক্তভুগী প্রায় ১৬ কোটি ৫০ লাখ চীনা নাগরিক। চীনের বাণিজ্য কেন্দ্র সাংহাইয়ে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে লকডাউন চলছে। এতে অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও = শিল্প-কারখানা তাদের কার্যক্রম বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। এতে দেশটির সার্বিক অর্থনীতিতে প্রভাব পড়েছে। প্রায় এক বছরেরও বেশি সময় পর গত মার্চে চীনের খুচরা বিক্রি সংকুচিত হয়েছে। ৩১টি প্রধান শহরে বেকারত্ব হার রেকর্ড ৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

শুধু চাহিদায় শ্লথগতিই নয়, সরবরাহ সংকটের কারণেও চীনে বাজার সংকুচিত হয়েছে অ্যাপলের। অ্যাপলের অন্যতম সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ফক্সকন তার শেনঝেন কারখানায় গত মাসে বেশ কয়েক দিন কারখানা বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে। এছাড়া সাংহাই ও কুনশানে কার্যক্রম স্থগিত করেছে আইফোন অ্যাসেম্বলকারী প্রতিষ্ঠান পেগাট্রন।

ঢাকা/এসএম