০৭:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুন ২০২৪

হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে যেসব অভ্যাস জরুরি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:৫৬:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ এপ্রিল ২০২৩
  • / ১০৩৮৪ বার দেখা হয়েছে

আধুনিক জীবনযাত্রা, পরিবর্তিত খাদ্যাভ্যাসের কারণে আজকাল নানা ধরনের অসুখ বিসুখের প্রকোপ বাড়ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, মানুষ যত বেশি প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে পড়ছে ততই বাড়ছে নানা অসুখের প্রবণতা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র সমীক্ষা অনুযায়ী, স্থূলতা , কোলেস্টেরল, থাইরয়েডের মতো সমস্যা বাড়ছে বিশ্ব জুড়ে। আর সেই সব রোগের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে হৃদ্‌রোগর ঝুঁকিও।

শুধু বয়স্ক নয়, আজকাল অল্প বয়সীদের মধ্যেও বাড়ছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন,দৈনন্দিন জীবনে কিছু নিয়ম মেনে চললে হৃদরোগ ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব। যেমন-

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

১. হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি এড়াতে সবার আগে ধূমপান একেবারে ছাড়তে হবে। ধূমপান ও তামকজাত কোন দ্রব্য হৃদরোগের অন্যতম বড় কারণ। এর পাশাপাশি অ্যালকোহল পানও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

২. যার ওজন যত বেশি, তার হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। উচ্চতা অনুযায়ী আপনার ওজন কত হওয়া উচিত, তা জেনে নিন। ওজন কমানোর জন্য ডায়েটের উপর নজর দিন। কার্বোহাইড্রেট খাওয়া কমাতে হবে, খেলেও রিফাইন্ড কার্বোহাইট্রেট অর্থাৎ, সাধারণ পাউরুটির বদলে ব্রাউন ব্রেড, ময়দার রুটির বদলে আটার রুটি খেতে পারেন। ডায়েটে বেশি করে শাকসব্জি ও ফল রাখতে হবে। তবে একবারে না খেয়ে অল্প অল্প করে বার বার খান। বাইরের খাবার নয়, বাড়িতে তৈরি খাবার খান। ভাজাভুজি, প্রক্রিয়াজাত খাবার, রেডমিট এড়িয়ে চলুন। খাবারে লবণ ও চিনির পরিমাণ কমিয়ে আনুন।

৩. সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন শরীরচর্চা করতেই হবে। ৭ দিন করতে পারলে খুব ভালো। ভারী শরীরচর্চা না করলেও রোজ অন্তত পক্ষে আধ ঘণ্টা দ্রুত গতিতে হাঁটতে পারেন। সঙ্গে কিছু হালকা ব্যায়াম করলেও হবে।

আরও পড়ুন: ডায়াবেটিসের কারণে যেসব অসুখ হতে পারে

৪. পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির কারণে কমবেশি সবাই মানসিক চাপে থাকে। এতে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি । সেই সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপ, বেশি খাওয়া, ধূমপান, ঘুমের সমস্যা, ক্লান্তি দেখা দেয়। সেই জন্য কোনও ধরনের মানসিক চাপ বা উদ্বেগকে প্রশ্রয় না দেওয়ার চেষ্টা করুন। মনঃসংযোগ বাড়াতে ধ্যান করতে পারেন। বই পড়া কিংবা গান শোনার অভ্যাস থাকলে, সেগুলিও চাপমুক্ত করতে সহায়তা করে। কাজের সময় বেঁধে দিন। অফিসের কাজ বাড়ি বয়ে আনবেন না। অবসরে নিজের পছন্দের কাজ যেমন ঘুরতে যাওয়া, ছবি তোলা, সিনেমা দেখার উপর জোর দিতে পারেন।

৫. রাতে ঠিক মতো ঘুম না হলেও হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি বাড়ে। ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগের সমস্যা দেখা দিতে পারে। নিয়মিত ঠিক মতো ঘুম না হলে রক্তে অক্সিজেন সরবরাহ ভালো মতো হয় না। শরীর তখন স্ট্রেস হরমোনের নিঃসরণ ঘটায়, যার ফলে হৃদ্‌রোগের আশঙ্কা থাকে।

ঢাকা/এসএম

শেয়ার করুন

x

হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে যেসব অভ্যাস জরুরি

আপডেট: ১১:৫৬:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ এপ্রিল ২০২৩

আধুনিক জীবনযাত্রা, পরিবর্তিত খাদ্যাভ্যাসের কারণে আজকাল নানা ধরনের অসুখ বিসুখের প্রকোপ বাড়ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, মানুষ যত বেশি প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে পড়ছে ততই বাড়ছে নানা অসুখের প্রবণতা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র সমীক্ষা অনুযায়ী, স্থূলতা , কোলেস্টেরল, থাইরয়েডের মতো সমস্যা বাড়ছে বিশ্ব জুড়ে। আর সেই সব রোগের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে হৃদ্‌রোগর ঝুঁকিও।

শুধু বয়স্ক নয়, আজকাল অল্প বয়সীদের মধ্যেও বাড়ছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন,দৈনন্দিন জীবনে কিছু নিয়ম মেনে চললে হৃদরোগ ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব। যেমন-

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

১. হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি এড়াতে সবার আগে ধূমপান একেবারে ছাড়তে হবে। ধূমপান ও তামকজাত কোন দ্রব্য হৃদরোগের অন্যতম বড় কারণ। এর পাশাপাশি অ্যালকোহল পানও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

২. যার ওজন যত বেশি, তার হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। উচ্চতা অনুযায়ী আপনার ওজন কত হওয়া উচিত, তা জেনে নিন। ওজন কমানোর জন্য ডায়েটের উপর নজর দিন। কার্বোহাইড্রেট খাওয়া কমাতে হবে, খেলেও রিফাইন্ড কার্বোহাইট্রেট অর্থাৎ, সাধারণ পাউরুটির বদলে ব্রাউন ব্রেড, ময়দার রুটির বদলে আটার রুটি খেতে পারেন। ডায়েটে বেশি করে শাকসব্জি ও ফল রাখতে হবে। তবে একবারে না খেয়ে অল্প অল্প করে বার বার খান। বাইরের খাবার নয়, বাড়িতে তৈরি খাবার খান। ভাজাভুজি, প্রক্রিয়াজাত খাবার, রেডমিট এড়িয়ে চলুন। খাবারে লবণ ও চিনির পরিমাণ কমিয়ে আনুন।

৩. সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন শরীরচর্চা করতেই হবে। ৭ দিন করতে পারলে খুব ভালো। ভারী শরীরচর্চা না করলেও রোজ অন্তত পক্ষে আধ ঘণ্টা দ্রুত গতিতে হাঁটতে পারেন। সঙ্গে কিছু হালকা ব্যায়াম করলেও হবে।

আরও পড়ুন: ডায়াবেটিসের কারণে যেসব অসুখ হতে পারে

৪. পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির কারণে কমবেশি সবাই মানসিক চাপে থাকে। এতে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি । সেই সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপ, বেশি খাওয়া, ধূমপান, ঘুমের সমস্যা, ক্লান্তি দেখা দেয়। সেই জন্য কোনও ধরনের মানসিক চাপ বা উদ্বেগকে প্রশ্রয় না দেওয়ার চেষ্টা করুন। মনঃসংযোগ বাড়াতে ধ্যান করতে পারেন। বই পড়া কিংবা গান শোনার অভ্যাস থাকলে, সেগুলিও চাপমুক্ত করতে সহায়তা করে। কাজের সময় বেঁধে দিন। অফিসের কাজ বাড়ি বয়ে আনবেন না। অবসরে নিজের পছন্দের কাজ যেমন ঘুরতে যাওয়া, ছবি তোলা, সিনেমা দেখার উপর জোর দিতে পারেন।

৫. রাতে ঠিক মতো ঘুম না হলেও হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি বাড়ে। ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগের সমস্যা দেখা দিতে পারে। নিয়মিত ঠিক মতো ঘুম না হলে রক্তে অক্সিজেন সরবরাহ ভালো মতো হয় না। শরীর তখন স্ট্রেস হরমোনের নিঃসরণ ঘটায়, যার ফলে হৃদ্‌রোগের আশঙ্কা থাকে।

ঢাকা/এসএম