০৬:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫

১০ হাজার কোটি টাকা ফিরল তিন দিনে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:২৫:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ অগাস্ট ২০২১
  • / ১০৩৬৬ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: গেল সপ্তাহে দেশের শেয়ারবাজারে মাত্র তিন কার্যদিবস লেনদেন হয়েছে। এ তিন দিনে লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে।

এতে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা বেড়ে গেছে। বড় অঙ্কের বাজার মূলধন ফিরে আসার পাশাপাশি লেনদেন ও সবকটি মূল্যসূচকের বড় উত্থান হয়েছে।

গেল সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৪৪ হাজার ৩২৬ কোটি টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৫ লাখ ৩৪ হাজার ৪০৪ কোটি টাকা।

অর্থাৎ গেল সপ্তাহে ডিএসই-এর বাজার মূলধন বেড়েছে ৯ কোটি ৯২২ কোটি টাকা। এর মাধ্যমে ডিএসইর বাজার মূলধন এ যাবতকালের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে রয়েছে।

বাজার মূলধন বাড়া বা কমার অর্থ তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার ও ইউনিটের দাম সম্মিলিতভাবে ওই পরিমাণ বেড়েছে বা কমেছে। অর্থাৎ বাজার মূলধন বাড়লে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ করা অর্থের পরিমাণ বেড়ে যায়।

এদিকে, গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ২৮৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৮৩টির। আর ১১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এতে গত সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৭০ দশমিক ৮২ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৬৬ শতাংশ। আগের চার সপ্তাহেও সূচকটি বাড়ে। আগের চার সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক বাড়ে ২৭৬ পয়েন্ট। এ হিসেবে টানা পাঁচ সপ্তাহের উত্থানে ডিএসইএক্স বাড়ল ৪৪৬ পয়েন্ট।

পাঁচ সপ্তাহের এই টানা উত্থানের কারণে ইতিহাসের সর্বোচ্চ অবস্থাতে পৌঁছে গেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স। মূল্যসূচকের ভুল গণনা বন্ধ করতে ২০১৩ সালের ২৭ জানুয়ারি নতুন সূচক ডিএসইএক্স চালু করে ডিএসই। ৪০৫৫ দশমিক ৯০ পয়েন্ট দিয়ে শুরু হওয়া সূচকটি এখন ৬ হাজার ৫৯৬ দশমিক শূন্য ৮ পয়েন্ট অবস্থান করছে।

প্রধান মূল্যসূচক রেকর্ড অবস্থানে উঠে আসার পাশাপাশি গেল সপ্তাহে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচকও ইতিহাসের সর্বোচ্চ অবস্থানে উঠে এসেছে। গেল সপ্তাহে এই সূচকটি বেড়েছে ৫৮ দশমিক শূন্য ২ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৪৯ শতাংশ। আগের চার সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ১১৯ দশমিক ৪৯ পয়েন্ট।

অপরদিকে, ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ্ সূচকও ইতিহাসের সর্বোচ্চ অবস্থানে উঠে এসেছে। গত সপ্তাহজুড়ে সূচকটি বেড়েছে ৩৮ দশমিক ৩০ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৭৩ শতাংশ। আগের চার সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ৮৬ দশমিক ২৮ পয়েন্ট।

গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৩৩৭ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ১ হাজার ৪২৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ৯১২ কোটি ২৬ লাখ টাকা বা ৬৩ দশমিক ৯৯ শতাংশ।

আর গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৭ হাজার ১৩ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ৭ হাজার ১২৮ কোটি ৬৭ লাখ টাকা।

সে হিসাবে মোট লেনদেন কমেছে হাজার ১১৪ কোটি ৬৮ লাখ টাকা বা ১ দশমিক ৬১ শতাংশ। মোট লেনদেন কমার কারণ ব্যাংক বন্ধ থাকায় গত সপ্তাহের দুই কার্যদিবস কম লেনদেন হয়েছে।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন:

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

১০ হাজার কোটি টাকা ফিরল তিন দিনে

আপডেট: ১১:২৫:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ অগাস্ট ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: গেল সপ্তাহে দেশের শেয়ারবাজারে মাত্র তিন কার্যদিবস লেনদেন হয়েছে। এ তিন দিনে লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে।

এতে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা বেড়ে গেছে। বড় অঙ্কের বাজার মূলধন ফিরে আসার পাশাপাশি লেনদেন ও সবকটি মূল্যসূচকের বড় উত্থান হয়েছে।

গেল সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৪৪ হাজার ৩২৬ কোটি টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৫ লাখ ৩৪ হাজার ৪০৪ কোটি টাকা।

অর্থাৎ গেল সপ্তাহে ডিএসই-এর বাজার মূলধন বেড়েছে ৯ কোটি ৯২২ কোটি টাকা। এর মাধ্যমে ডিএসইর বাজার মূলধন এ যাবতকালের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে রয়েছে।

বাজার মূলধন বাড়া বা কমার অর্থ তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার ও ইউনিটের দাম সম্মিলিতভাবে ওই পরিমাণ বেড়েছে বা কমেছে। অর্থাৎ বাজার মূলধন বাড়লে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ করা অর্থের পরিমাণ বেড়ে যায়।

এদিকে, গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ২৮৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৮৩টির। আর ১১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এতে গত সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৭০ দশমিক ৮২ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৬৬ শতাংশ। আগের চার সপ্তাহেও সূচকটি বাড়ে। আগের চার সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক বাড়ে ২৭৬ পয়েন্ট। এ হিসেবে টানা পাঁচ সপ্তাহের উত্থানে ডিএসইএক্স বাড়ল ৪৪৬ পয়েন্ট।

পাঁচ সপ্তাহের এই টানা উত্থানের কারণে ইতিহাসের সর্বোচ্চ অবস্থাতে পৌঁছে গেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স। মূল্যসূচকের ভুল গণনা বন্ধ করতে ২০১৩ সালের ২৭ জানুয়ারি নতুন সূচক ডিএসইএক্স চালু করে ডিএসই। ৪০৫৫ দশমিক ৯০ পয়েন্ট দিয়ে শুরু হওয়া সূচকটি এখন ৬ হাজার ৫৯৬ দশমিক শূন্য ৮ পয়েন্ট অবস্থান করছে।

প্রধান মূল্যসূচক রেকর্ড অবস্থানে উঠে আসার পাশাপাশি গেল সপ্তাহে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচকও ইতিহাসের সর্বোচ্চ অবস্থানে উঠে এসেছে। গেল সপ্তাহে এই সূচকটি বেড়েছে ৫৮ দশমিক শূন্য ২ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৪৯ শতাংশ। আগের চার সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ১১৯ দশমিক ৪৯ পয়েন্ট।

অপরদিকে, ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ্ সূচকও ইতিহাসের সর্বোচ্চ অবস্থানে উঠে এসেছে। গত সপ্তাহজুড়ে সূচকটি বেড়েছে ৩৮ দশমিক ৩০ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৭৩ শতাংশ। আগের চার সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ৮৬ দশমিক ২৮ পয়েন্ট।

গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৩৩৭ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ১ হাজার ৪২৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ৯১২ কোটি ২৬ লাখ টাকা বা ৬৩ দশমিক ৯৯ শতাংশ।

আর গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৭ হাজার ১৩ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ৭ হাজার ১২৮ কোটি ৬৭ লাখ টাকা।

সে হিসাবে মোট লেনদেন কমেছে হাজার ১১৪ কোটি ৬৮ লাখ টাকা বা ১ দশমিক ৬১ শতাংশ। মোট লেনদেন কমার কারণ ব্যাংক বন্ধ থাকায় গত সপ্তাহের দুই কার্যদিবস কম লেনদেন হয়েছে।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন: