০৬:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪

১৭১ বছর আগে পদ্মা শাসন করেছিলেন শিবচন্দ্র!

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৫:৫৫:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জুন ২০২২
  • / ৪১৩৩ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের সহ-উদ্ভাবক সারাহ গিলবার্ট বলেছেন, যে কোনও নতুন মহামারির জন্য আমাদেরকে ভালো করে প্রস্তুতি নিতে হবে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। আমাদের জানাশোনা অনেক ভাইরাস রয়েছে যেগুলো রোগ ছড়ায়, কিন্তু এগুলোর কোনও টিকা নেই। একণ আমাদের এসব ভাইরাসবিরোধী টিকা উদ্ভাবন করতে হবে। যদি এগুলোর কারণে কোনও সংক্রমণ হয়ে থাকে তাহলে টিকা প্রস্তুত করতে হবে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেছেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন:ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

সারাহ গিলবার্ট অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনার ইন্সটিটিউটের ভ্যাকসিনোলজির একজন অধ্যাপক। অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকা উদ্ভাবনে ভূমিকার জন্য গত কয়েক বছর ধরে তিনি আলোচনায় রয়েছেন। টিকা উদ্ভাবনের পাশাপাশি তিনি একটি বইয়ের লেখকও।

করোনাভাইরাস ভবিষ্যতে কী করতে পারে এবং আমাদের প্রস্তুতি কেমন হওয়া দরকার প্রশ্নের জবাবে সারাহ গিলবার্ট বলেন, মহামারি বিদ্যায় যারা নজরদারির কাজে নিয়োজিত তাদের কাজ হলো ভাইরাসের পরবর্তী পদক্ষেপ কি হতে পারে তা সম্পর্কে ধারণা দেওয়া। কিন্তু যদি একটি নতুন সিকুয়েন্স প্রভাবশালী হয়ে উঠে তাহলে আমাদের দায়িত্ব হলো টিকার নতুন সংস্করণ তৈরি করা। এমন কিছুতে সময় লাগে। কারণ এগুলোর পরীক্ষা ও অনুমোদন পেতে হয়। এক ঢেউ থেকে আরেক ঢেউয়ে যখন আমরা অতিক্রম করি তখন কী ঘটে,  তা হলো ভাইরাস খুব দ্রুত ছড়ায়। ক্লিনিক্যাল ডাটা ছাড়া নিয়ন্ত্রকরা টিকার অনুমোদন দিতে পারেন না। এরপর সংখ্যায় টিকার উৎপাদন বাড়াতে হয়। উৎপাদনকারীরা এখনও মূল টিকা ব্যবহার করছে। যা কোভিডের বিরুদ্ধে ভালো সুরক্ষা দিচ্ছে।

কোভিড টিকা স্বাভাবিকের তুলনায় স্বল্প সময়ে উদ্ভাবন করার বিষয়ে সারা বলেন, টিকা উৎপাদন থেকে অনুমোদন পাওয়ার বিষয়টি আমরা দ্রুততার সঙ্গে করেচি। কিন্তু সবকিছুই স্বাভাবিক টিকা উৎপাদনের প্রক্রিয়ার মতোই হয়েছে। কিন্তু এক্ষেত্রে আমাদের খুব কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে এবং বিলম্ব এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। এটি সম্ভব হয়েছে কারণ ওই সময় বিশ্বে এই একটি প্রকল্পের বিষয়ে বিশ্ব আগ্রহী ছিল এবং নিয়ন্ত্রকরা তাদের প্রক্রিয়ার প্রতিবন্ধকতা দূরে সরিয়ে রাখতে পেরেছিলেন।

টিকা উদ্ভাবন নিয়ে বিভিন্ন কোম্পানির প্রতিযোগিতার বিষয়ে তিনি বলেন, সংবাদমাধ্যমে বিষয়টি কোম্পানিগুলোর প্রতিযোগিতা হিসেবে হাজির হয়েছে। আমরা যখন শুরু করি তখন কেউ নিশ্চিত ছিলেন না যে টিকাটি কাজ করবে। সম্ভাব্য সব অগ্রগতির সুযোগ রাখা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের অনেক সফল টিকা ছিল। ফাইফার, মডার্না ও অ্যাস্ট্রাজেনেকা জরুরি ব্যবহারের জন্য দ্রুত অনুমোদন পায়। কিন্তু এরপরও টিকা উৎপাদনে ঘাটতি রয়েছে।

কোভিড-১৯ টিকা নিয়ে মানুষের সংশয়ের বিষয়ে সারাহ গিলবার্ট বলেন, কয়েকটি দেশে মানুষ টিকা নিয়ে সংশয়ী কারণ সরকার এটি নিতে বলছে। ওই দেশগুলোর জনগণ তাদের সরকারের প্রতি আস্থাশীল না। যুক্তরাজ্যে এমন কিছু ছিল বলে আমার মনে হয় না। ভুল তথ্যের কারণে তরুণদের মধ্যে দ্বিধা ছিল।

করোনার আরও গুরুতর কোনও ভ্যারিয়েন্টের প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে পারে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সত্য হলো আমরা জানি না কোভিড-১৯ কোথায় যাচ্ছে। এটি আরও মৃদু হতে থাকবে বা আবারও গুরুতর রোগ হতে পারে।

ঢাকা/এসএম

শেয়ার করুন

x

১৭১ বছর আগে পদ্মা শাসন করেছিলেন শিবচন্দ্র!

আপডেট: ০৫:৫৫:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জুন ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের সহ-উদ্ভাবক সারাহ গিলবার্ট বলেছেন, যে কোনও নতুন মহামারির জন্য আমাদেরকে ভালো করে প্রস্তুতি নিতে হবে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। আমাদের জানাশোনা অনেক ভাইরাস রয়েছে যেগুলো রোগ ছড়ায়, কিন্তু এগুলোর কোনও টিকা নেই। একণ আমাদের এসব ভাইরাসবিরোধী টিকা উদ্ভাবন করতে হবে। যদি এগুলোর কারণে কোনও সংক্রমণ হয়ে থাকে তাহলে টিকা প্রস্তুত করতে হবে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেছেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন:ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

সারাহ গিলবার্ট অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনার ইন্সটিটিউটের ভ্যাকসিনোলজির একজন অধ্যাপক। অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকা উদ্ভাবনে ভূমিকার জন্য গত কয়েক বছর ধরে তিনি আলোচনায় রয়েছেন। টিকা উদ্ভাবনের পাশাপাশি তিনি একটি বইয়ের লেখকও।

করোনাভাইরাস ভবিষ্যতে কী করতে পারে এবং আমাদের প্রস্তুতি কেমন হওয়া দরকার প্রশ্নের জবাবে সারাহ গিলবার্ট বলেন, মহামারি বিদ্যায় যারা নজরদারির কাজে নিয়োজিত তাদের কাজ হলো ভাইরাসের পরবর্তী পদক্ষেপ কি হতে পারে তা সম্পর্কে ধারণা দেওয়া। কিন্তু যদি একটি নতুন সিকুয়েন্স প্রভাবশালী হয়ে উঠে তাহলে আমাদের দায়িত্ব হলো টিকার নতুন সংস্করণ তৈরি করা। এমন কিছুতে সময় লাগে। কারণ এগুলোর পরীক্ষা ও অনুমোদন পেতে হয়। এক ঢেউ থেকে আরেক ঢেউয়ে যখন আমরা অতিক্রম করি তখন কী ঘটে,  তা হলো ভাইরাস খুব দ্রুত ছড়ায়। ক্লিনিক্যাল ডাটা ছাড়া নিয়ন্ত্রকরা টিকার অনুমোদন দিতে পারেন না। এরপর সংখ্যায় টিকার উৎপাদন বাড়াতে হয়। উৎপাদনকারীরা এখনও মূল টিকা ব্যবহার করছে। যা কোভিডের বিরুদ্ধে ভালো সুরক্ষা দিচ্ছে।

কোভিড টিকা স্বাভাবিকের তুলনায় স্বল্প সময়ে উদ্ভাবন করার বিষয়ে সারা বলেন, টিকা উৎপাদন থেকে অনুমোদন পাওয়ার বিষয়টি আমরা দ্রুততার সঙ্গে করেচি। কিন্তু সবকিছুই স্বাভাবিক টিকা উৎপাদনের প্রক্রিয়ার মতোই হয়েছে। কিন্তু এক্ষেত্রে আমাদের খুব কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে এবং বিলম্ব এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। এটি সম্ভব হয়েছে কারণ ওই সময় বিশ্বে এই একটি প্রকল্পের বিষয়ে বিশ্ব আগ্রহী ছিল এবং নিয়ন্ত্রকরা তাদের প্রক্রিয়ার প্রতিবন্ধকতা দূরে সরিয়ে রাখতে পেরেছিলেন।

টিকা উদ্ভাবন নিয়ে বিভিন্ন কোম্পানির প্রতিযোগিতার বিষয়ে তিনি বলেন, সংবাদমাধ্যমে বিষয়টি কোম্পানিগুলোর প্রতিযোগিতা হিসেবে হাজির হয়েছে। আমরা যখন শুরু করি তখন কেউ নিশ্চিত ছিলেন না যে টিকাটি কাজ করবে। সম্ভাব্য সব অগ্রগতির সুযোগ রাখা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের অনেক সফল টিকা ছিল। ফাইফার, মডার্না ও অ্যাস্ট্রাজেনেকা জরুরি ব্যবহারের জন্য দ্রুত অনুমোদন পায়। কিন্তু এরপরও টিকা উৎপাদনে ঘাটতি রয়েছে।

কোভিড-১৯ টিকা নিয়ে মানুষের সংশয়ের বিষয়ে সারাহ গিলবার্ট বলেন, কয়েকটি দেশে মানুষ টিকা নিয়ে সংশয়ী কারণ সরকার এটি নিতে বলছে। ওই দেশগুলোর জনগণ তাদের সরকারের প্রতি আস্থাশীল না। যুক্তরাজ্যে এমন কিছু ছিল বলে আমার মনে হয় না। ভুল তথ্যের কারণে তরুণদের মধ্যে দ্বিধা ছিল।

করোনার আরও গুরুতর কোনও ভ্যারিয়েন্টের প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে পারে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সত্য হলো আমরা জানি না কোভিড-১৯ কোথায় যাচ্ছে। এটি আরও মৃদু হতে থাকবে বা আবারও গুরুতর রোগ হতে পারে।

ঢাকা/এসএম