অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল তাঁর বাজেট বক্তৃতায় বলেন, দেশে ২৫০ সিসির বেশি ইঞ্জিন ক্ষমতার মোটরসাইকেল তৈরি করতে দেশে কারখানা হচ্ছে। এ পণ্য আমদানিতে বর্তমানে কোনো শুল্ক আরোপ করা নেই। ২৫০ সিসি পর্যন্ত মোটরসাইকেল আমদানিতে বর্তমানে ফোর স্ট্রোকের ক্ষেত্রে ৬০ শতাংশ ও টু স্ট্রোকের ক্ষেত্রে ২৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা আছে। তাই ২৫০ সিসির বেশি ক্ষমতার মোটরসাইকেল আমদানিতে ফোর স্ট্রোকের ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ ও টু স্ট্রোকের ক্ষেত্রে ২৫০ শতাংশ শুল্ক প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।
ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে গত বছর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে একটি প্রতিবেদন জমা দেয় বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি)। এতে সিসি সীমা তুলে দেওয়ার সুপারিশ করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, মোটরসাইকেলের সিসির সঙ্গে গতির কোনো সম্পর্ক নেই। ৩০০ বা ৫০০ সিসির মোটরসাইকেলে সর্বোচ্চ যে গতি তোলা সম্ভব, ১৬৫ সিসি মোটরসাইকেলেও একই গতি তোলা যায়। বিশ্বের কোথায় এমন সিসি সীমা নেই। সিসি সীমা তুলে নেওয়ার ক্ষেত্রে স্থানীয় শিল্পকে সুরক্ষা দিতে বাড়তি সিসির মোটরসাইকেল নিবন্ধনে বাড়তি ফি নির্ধারণেরও সুপারিশ করে তারা।