০৭:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪

৪২ লাখ কর্মীর জন্য টিকা বরাদ্দ চায় বিজিএমইএ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৫:১৭:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুলাই ২০২১
  • / ৪১৫২ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: শতভাগ রফতানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পের সব শ্রমিক (কর্মকর্তা-কর্মচারী) ও বিদেশিদের জরুরি ভিত্তিতে করোনার টিকা দেওয়ার জন্য আবেদন করেছে পোশাক মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ)।

বিজিএমইএর মহাসচিব মো. ফয়জুর রহমান স্বাক্ষরিত চিঠির মাধ্যমে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিবের কাছে টিকা চেয়ে এ অনুরোধ জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (৬ জুলাই) বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল। তিনি বলেন, মালিকদের জন্য নয়, আমরা পোশাক খাতের সব শ্রমিক ও বিদেশিদের জন্য সরকারের কাছে করোনা টিকা চেয়েছি। প্রথমে মৌখিকভাবে চেয়েছি, এরপর সোমবার (৫ জুলাই) চিঠির মাধ্যমে আবেদন জানিয়েছে।

বিজিএমইএর চিঠিতে বলা হয়, করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাবের ফলে দেশের সবচেয়ে বেশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী তৈরি পোশাক খাত এখন কঠিন সময় অতিক্রম করছে। বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি লাখ লাখ শ্রমিক করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে এখনো জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কারখানায় কাজ করছেন। এই শ্রমিকদের পাশাপাশি দেশে বিভিন্ন কারখানায় ও আন্তর্জাতিকমানের অনেক ক্রেতার বিদেশিরা কাজ করছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। দেশের অর্থনীতির স্বার্থে এ খাতের কর্মরত শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

মো. ফয়জুর রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, গত ১৬ জুন বিজিএমইএ বোর্ডের নবনির্বাচিত সভাপতি ও পর্ষদ সদস্যরা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সে সময় করোনা টিকা সরবরাহ করা হবে মর্মে মন্ত্রী আশ্বাস দেন। আমার বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছি, সরকার বিদেশ থেকে বেশ কিছু টিকা এনেছে। বিভিন্ন দেশ থেকে আরও টিকা আনার প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে।

এমতাবস্থায় সম্মুখসারির অর্থনৈতিক যোদ্ধা হিসেবে তৈরি পোশাক শিল্পে কর্মরত শ্রমিকদের পাশাপাশি বাংলাদেশে পোশাক শিল্পে কর্মরত বিদেশিদের জন্য জরুরি ভিত্তিতে করোনা টিকা বরাদ্দের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো। চিঠিতে পোশাক খাতে কর্মরত সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে টিকার আওতায় আনার জন্য তালিকা দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়।

উল্লেখ্য, দেশের পোশাক কারখানায় বর্তমানে ৪২ লাখ শ্রমিকের পাশাপাশি বায়িং হাউজ ও কারখানার বিদেশি প্রায় সাড়ে ৮০০ কর্মকর্তারা রয়েছেন। সবার তালিকা দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে। এর আগে সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, টিকা পাওয়া গেছে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পোশাক খাতকে টিকা দেওয়া হবে।

সার্বিক বিষয়ে বিজিএমইএর সিনিয়র-সহসভাপতি এম এ মান্নান কচি গণমাধ্যমকে বলেন, সরকার বিনা পয়সায় সব শ্রমিককে টিকা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আমরা বিজিএমইএর পক্ষ থেকে শ্রমমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি, তিনি আশ্বাস দিয়েছেন।

কচি বলেন, সরকার যদি পোশাক কারখানা শ্রমিকদের টিকা দেয়, তবে শ্রমিকদের একেক জনকে একেক জায়গায় গিয়ে টিকা দিতে হবে। তাতে অনেকে টিকা নিতে অনীহা জানাবে। তাই সরকারের কাছে আমরা আবেদন করেছি যাতে আমাদের কাছে বিষয়টি ছেড়ে দেওয়া হয়। আমরা দায়িত্ব নিয়ে সব বিজিএমইএর শ্রমিকদের শতভাগ টিকা দেওয়া নিশ্চিত করতে পারি।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন:

শেয়ার করুন

x
English Version

৪২ লাখ কর্মীর জন্য টিকা বরাদ্দ চায় বিজিএমইএ

আপডেট: ০৫:১৭:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুলাই ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: শতভাগ রফতানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পের সব শ্রমিক (কর্মকর্তা-কর্মচারী) ও বিদেশিদের জরুরি ভিত্তিতে করোনার টিকা দেওয়ার জন্য আবেদন করেছে পোশাক মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ)।

বিজিএমইএর মহাসচিব মো. ফয়জুর রহমান স্বাক্ষরিত চিঠির মাধ্যমে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিবের কাছে টিকা চেয়ে এ অনুরোধ জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (৬ জুলাই) বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল। তিনি বলেন, মালিকদের জন্য নয়, আমরা পোশাক খাতের সব শ্রমিক ও বিদেশিদের জন্য সরকারের কাছে করোনা টিকা চেয়েছি। প্রথমে মৌখিকভাবে চেয়েছি, এরপর সোমবার (৫ জুলাই) চিঠির মাধ্যমে আবেদন জানিয়েছে।

বিজিএমইএর চিঠিতে বলা হয়, করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাবের ফলে দেশের সবচেয়ে বেশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী তৈরি পোশাক খাত এখন কঠিন সময় অতিক্রম করছে। বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি লাখ লাখ শ্রমিক করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে এখনো জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কারখানায় কাজ করছেন। এই শ্রমিকদের পাশাপাশি দেশে বিভিন্ন কারখানায় ও আন্তর্জাতিকমানের অনেক ক্রেতার বিদেশিরা কাজ করছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। দেশের অর্থনীতির স্বার্থে এ খাতের কর্মরত শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

মো. ফয়জুর রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, গত ১৬ জুন বিজিএমইএ বোর্ডের নবনির্বাচিত সভাপতি ও পর্ষদ সদস্যরা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সে সময় করোনা টিকা সরবরাহ করা হবে মর্মে মন্ত্রী আশ্বাস দেন। আমার বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছি, সরকার বিদেশ থেকে বেশ কিছু টিকা এনেছে। বিভিন্ন দেশ থেকে আরও টিকা আনার প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে।

এমতাবস্থায় সম্মুখসারির অর্থনৈতিক যোদ্ধা হিসেবে তৈরি পোশাক শিল্পে কর্মরত শ্রমিকদের পাশাপাশি বাংলাদেশে পোশাক শিল্পে কর্মরত বিদেশিদের জন্য জরুরি ভিত্তিতে করোনা টিকা বরাদ্দের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো। চিঠিতে পোশাক খাতে কর্মরত সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে টিকার আওতায় আনার জন্য তালিকা দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়।

উল্লেখ্য, দেশের পোশাক কারখানায় বর্তমানে ৪২ লাখ শ্রমিকের পাশাপাশি বায়িং হাউজ ও কারখানার বিদেশি প্রায় সাড়ে ৮০০ কর্মকর্তারা রয়েছেন। সবার তালিকা দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে। এর আগে সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, টিকা পাওয়া গেছে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পোশাক খাতকে টিকা দেওয়া হবে।

সার্বিক বিষয়ে বিজিএমইএর সিনিয়র-সহসভাপতি এম এ মান্নান কচি গণমাধ্যমকে বলেন, সরকার বিনা পয়সায় সব শ্রমিককে টিকা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আমরা বিজিএমইএর পক্ষ থেকে শ্রমমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি, তিনি আশ্বাস দিয়েছেন।

কচি বলেন, সরকার যদি পোশাক কারখানা শ্রমিকদের টিকা দেয়, তবে শ্রমিকদের একেক জনকে একেক জায়গায় গিয়ে টিকা দিতে হবে। তাতে অনেকে টিকা নিতে অনীহা জানাবে। তাই সরকারের কাছে আমরা আবেদন করেছি যাতে আমাদের কাছে বিষয়টি ছেড়ে দেওয়া হয়। আমরা দায়িত্ব নিয়ে সব বিজিএমইএর শ্রমিকদের শতভাগ টিকা দেওয়া নিশ্চিত করতে পারি।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন: