০৪:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪
ফিরে দেখা- ২০২২: বন্ড ও প্রেফারেন্স শেয়ার ইস্যু

৯ হাজার কোটি টাকা উত্তোলনের অনুমোদন পেয়েছে ২২ কোম্পানি

শফীউল সুমন ও তাছলিমা আক্তার:
  • আপডেট: ০৭:৪৯:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ৭৪৬৬ বার দেখা হয়েছে

চলতি বছরে (২০২২ সাল) ২২ কোম্পানিকে বিভিন্ন বন্ড ও প্রেফারেন্স শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ৮ হাজার ৮৪৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকা উত্তোলনের অনুমোদন দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। মুলত আর্থিক ভীত শক্তিশালিকরণের লক্ষ্যে কোম্পানিগুলোর আবেদনের প্রেক্ষিতে বিভিন্ন মেয়াদে অর্থ উত্তেলনের অনুমতি দেয়া হয়েছে। বিএসইসি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে বিএসইসি ২১ কোম্পানিকে ৮ হাজার ৮৪৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকা সংগ্রহের অনুমোদন দিয়েছে। এরমধ্যে প্রেফারেন্স শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ৩ কোম্পানিকে মোট ৫৪৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকা, সুকুক বন্ডের মাধ্যমে এক কোম্পানিকে ৩০০ কোটি টাকা, পারপেচ্যুয়াল বন্ডের মাধ্যমে ৩ কোম্পানিকে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা, ৪ কোম্পানিকে জিরো কুপন বন্ডের মাধ্যমে ১ হাজার ৪৯ কোটি ৯০ লাখ টাকা এবং সাবঅর্ডিনেটেড বন্ডের মাধ্যমে ১১ কোম্পানিকে মোট ৫ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা উত্তোলনের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

প্রেফারেন্স শেয়ার: ২০২২ সালে প্রেফারেন্স শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ৩ কোম্পানি মোট ৫৪৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকা উত্তোলনের অনুমতি পেয়েছে। এরমধ্যে এনভয় টেক্সটাইল লিমিটেডকে ৮৭ কোটি টাকার ৫ বছর মেয়াদী ফুল্লি রিডেমিবল, নন কনভার্টিবল, কমিউলেটিভ প্রেফারেন্স শেয়ার, প্রিমিয়ার সিমেন্ট মিলসকে ৩১০.৭৫ কোটি টাকার ৫ বছর মেয়াদী ফুল্লি রিডেমিবল, নন কনভার্টিবল, নন-পার্টিসিপেটিং, কমিউলেটিভ প্রেফারেন্স শেয়ার এবং প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল পিএলসিকে ১৫০ কোটি টাকার প্রেফারেন্স শেয়ার ইস্যুর অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: আইপিও ইস্যুতে ধীরে চলো নীতিতে বিএসইসি: কমেছে অর্থ সংগ্রহের পরিমাণ

পারপেচ্যুয়াল বন্ড: ব্যাংক এশিয়াকে ৫০০ কোটি টাকা, মার্কেন্টাইল ব্যাংককে ৫০০ কোটি টাকা এবং ঢাকা ব্যাংককে ২০০ কোটি টাকার পারপেচ্যুয়াল বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহের অনুমতি দিয়েছে বিএসইসি।

জিরো কুপন বন্ড: ন্যাশনাল পলিমারকে ৩০০ কোটি টাকা, মীর আখতার লিমিটেডকে ২৪৯.৯০ কোটি টাকা, এনভয় টেক্সটাইলকে ২০০ কোটি টাকা এবং আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজকে ৩০০ কোটি টাকার জিরো কুপন বন্ড ইস্যুর অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

সুকুক বন্ড: বঙ্গ বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালসকে ৩০০ কোটি টাকার সুকুক বন্ড ইস্যুর অনুমতি দিয়েছে বিএসইসি।

আরও পড়ুন: পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছেন বিদেশী বিনিয়োগকারীরা

সাবঅর্ডিনেটেড বন্ড: সিটি ব্যাংককে ৭০০ কোটি টাকা, আইএফআইসি ব্যাংককে ৫০০ কোটি টাকা, ওয়ান ব্যাংককে ৪০০ কোটি টাকা, আল-আরাফা ইসলামী ব্যাংককে ৫০০ কোটি টাকা, ইস্টার্ন ব্যাংককে ৫০০ কোটি টাকা, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংককে ৫০০ কোটি টাকা, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংককে ব্যাংককে ৫০০ কোটি টাকা, আইপিডিসি ফাইন্যান্সকে ১৫০ কোটি টাকা, প্রিমিয়ার ব্যাংককে ৬০০ কোটি টাকা, ট্রাস্ট ব্যাংককে ৪০০ কোটি টাকা এবং ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংককে ১০০০ কোটি টাকার সাবঅর্ডিনেটেড বন্ড ইস্যুর অনুমোদন দিয়েছে বিএসইসি।

প্রসঙ্গত, প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) ছাড়াও তালিকাভুক্ত এবং অতালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো বিভিন্ন বন্ড ও প্রেফারেন্স শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করে থাকে। এক্ষেত্রে অর্থ উত্তোলনের কারণসহ যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরন করে কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) আবেদন করে এবং বিএসইসিও যথাযথ প্রক্রিয়ায় সন্তোষজনক তথ্য-উপাত্ত্বের ভিত্তিতে তার অনুমোদন দিয়ে থাকে।

বিজনেস জার্নাল/ঢাকা

শেয়ার করুন

x
English Version

ফিরে দেখা- ২০২২: বন্ড ও প্রেফারেন্স শেয়ার ইস্যু

৯ হাজার কোটি টাকা উত্তোলনের অনুমোদন পেয়েছে ২২ কোম্পানি

আপডেট: ০৭:৪৯:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২২

চলতি বছরে (২০২২ সাল) ২২ কোম্পানিকে বিভিন্ন বন্ড ও প্রেফারেন্স শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ৮ হাজার ৮৪৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকা উত্তোলনের অনুমোদন দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। মুলত আর্থিক ভীত শক্তিশালিকরণের লক্ষ্যে কোম্পানিগুলোর আবেদনের প্রেক্ষিতে বিভিন্ন মেয়াদে অর্থ উত্তেলনের অনুমতি দেয়া হয়েছে। বিএসইসি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে বিএসইসি ২১ কোম্পানিকে ৮ হাজার ৮৪৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকা সংগ্রহের অনুমোদন দিয়েছে। এরমধ্যে প্রেফারেন্স শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ৩ কোম্পানিকে মোট ৫৪৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকা, সুকুক বন্ডের মাধ্যমে এক কোম্পানিকে ৩০০ কোটি টাকা, পারপেচ্যুয়াল বন্ডের মাধ্যমে ৩ কোম্পানিকে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা, ৪ কোম্পানিকে জিরো কুপন বন্ডের মাধ্যমে ১ হাজার ৪৯ কোটি ৯০ লাখ টাকা এবং সাবঅর্ডিনেটেড বন্ডের মাধ্যমে ১১ কোম্পানিকে মোট ৫ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা উত্তোলনের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

প্রেফারেন্স শেয়ার: ২০২২ সালে প্রেফারেন্স শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ৩ কোম্পানি মোট ৫৪৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকা উত্তোলনের অনুমতি পেয়েছে। এরমধ্যে এনভয় টেক্সটাইল লিমিটেডকে ৮৭ কোটি টাকার ৫ বছর মেয়াদী ফুল্লি রিডেমিবল, নন কনভার্টিবল, কমিউলেটিভ প্রেফারেন্স শেয়ার, প্রিমিয়ার সিমেন্ট মিলসকে ৩১০.৭৫ কোটি টাকার ৫ বছর মেয়াদী ফুল্লি রিডেমিবল, নন কনভার্টিবল, নন-পার্টিসিপেটিং, কমিউলেটিভ প্রেফারেন্স শেয়ার এবং প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল পিএলসিকে ১৫০ কোটি টাকার প্রেফারেন্স শেয়ার ইস্যুর অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: আইপিও ইস্যুতে ধীরে চলো নীতিতে বিএসইসি: কমেছে অর্থ সংগ্রহের পরিমাণ

পারপেচ্যুয়াল বন্ড: ব্যাংক এশিয়াকে ৫০০ কোটি টাকা, মার্কেন্টাইল ব্যাংককে ৫০০ কোটি টাকা এবং ঢাকা ব্যাংককে ২০০ কোটি টাকার পারপেচ্যুয়াল বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহের অনুমতি দিয়েছে বিএসইসি।

জিরো কুপন বন্ড: ন্যাশনাল পলিমারকে ৩০০ কোটি টাকা, মীর আখতার লিমিটেডকে ২৪৯.৯০ কোটি টাকা, এনভয় টেক্সটাইলকে ২০০ কোটি টাকা এবং আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজকে ৩০০ কোটি টাকার জিরো কুপন বন্ড ইস্যুর অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

সুকুক বন্ড: বঙ্গ বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালসকে ৩০০ কোটি টাকার সুকুক বন্ড ইস্যুর অনুমতি দিয়েছে বিএসইসি।

আরও পড়ুন: পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছেন বিদেশী বিনিয়োগকারীরা

সাবঅর্ডিনেটেড বন্ড: সিটি ব্যাংককে ৭০০ কোটি টাকা, আইএফআইসি ব্যাংককে ৫০০ কোটি টাকা, ওয়ান ব্যাংককে ৪০০ কোটি টাকা, আল-আরাফা ইসলামী ব্যাংককে ৫০০ কোটি টাকা, ইস্টার্ন ব্যাংককে ৫০০ কোটি টাকা, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংককে ৫০০ কোটি টাকা, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংককে ব্যাংককে ৫০০ কোটি টাকা, আইপিডিসি ফাইন্যান্সকে ১৫০ কোটি টাকা, প্রিমিয়ার ব্যাংককে ৬০০ কোটি টাকা, ট্রাস্ট ব্যাংককে ৪০০ কোটি টাকা এবং ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংককে ১০০০ কোটি টাকার সাবঅর্ডিনেটেড বন্ড ইস্যুর অনুমোদন দিয়েছে বিএসইসি।

প্রসঙ্গত, প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) ছাড়াও তালিকাভুক্ত এবং অতালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো বিভিন্ন বন্ড ও প্রেফারেন্স শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করে থাকে। এক্ষেত্রে অর্থ উত্তোলনের কারণসহ যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরন করে কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) আবেদন করে এবং বিএসইসিও যথাযথ প্রক্রিয়ায় সন্তোষজনক তথ্য-উপাত্ত্বের ভিত্তিতে তার অনুমোদন দিয়ে থাকে।

বিজনেস জার্নাল/ঢাকা