০৯:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
ফিরে দেখা- ২০২২

আইপিও ইস্যুতে ধীরে চলো নীতিতে বিএসইসি: কমেছে অর্থ সংগ্রহের পরিমাণ

শফীউল সুমন:
  • আপডেট: ০৫:১৬:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ৪৭৭৩ বার দেখা হয়েছে

২০২২ সালের শুরুটা দেশের পুঁজিবাজারের পটপরিবর্তনের পালাবদল মনে করা হলেও তা নিভিয়ে যেতে সময় লাগেনি। বছরের প্রথম মাস শেষ হওয়ার আগেই উল্টোরথে মোড় নেয় পুঁজিবাজার। যা থেমে থেমে চলতে থাকে বছরজুড়ে। পরিণতিতে ঘনীভূত হয় তারল্য সঙ্কট। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও)।

চাহিদা বাড়লে যোগান বাড়াতে হয় এবং চাহিদা কমলে যোগানও কমে- এটাই স্বাভাবিক নিয়ম। বছরজুড়ে থেমে থেমে দরপতন হওয়ায় পুঁজিবাজারের অধিকাংশ বিনিয়োগকারীই আইপিও’র বিপক্ষে অবস্থান নেয়। এছাড়াও তারল্য সঙ্কট থাকায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনও (বিএসইসি) আইপিওর ক্ষেত্রে ধীরে চলো নীতি অবলম্বন করে। পরিণতিতে ২০২২ সালে এর আগের বছরের তুলনায় আইপিওর মাধ্যমে তালিকাভুক্ত কোম্পানির সংখ্যার ব্যবধান ৯টি। আর টাকার পরিমাণে কমেছে প্রায় ৫৫৭ কোটি ১৮ লাখ টাকা।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

জানা গেছে, সদ্য সমাপ্ত বছরে পুঁজিবাজারে ছয়টি কোম্পানি আইপিওর মাধ্যমে মূলধন সংগ্রহ করেছে। এছাড়া, একটি মিউচুয়াল ফান্ড ও দুটি ব্যাংক বন্ড ছেড়ে পুঁজিবাজার থেকে মূলধন সংগ্রহ করে। বিদায়ী বছরে পুঁজিবাজার থেকে মোট ১ হাজার ১০১ কোটি ২৬ লাখ ১০ হাজার ৬০ টাকা মূলধন সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে দুটি কোম্পানি প্রিমিয়াম বাবদ ৮৭ কোটি ৫১ লাখ ৯৮ হাজার ১৩০ টাকা মূলধন উত্তোলন করে৷

এর আগে ২০২১ সালে ১৪টি কোম্পানি ও একটি সুকুক বন্ডসহ মোট ১৫টি প্রতিষ্ঠান পুঁজিবাজার থেকে ১ হাজার ৬৫৮ কোটি ৪৪ লাখ টাকা মূলধন সংগ্রহ করে৷

চলতি বছরে মূলধন সংগ্রহ করা কোম্পানিগুলো হলো— জেএমআই হসপিটাল রিক্যুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং, মেঘনা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি, চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইসলামী কমার্সিয়াল ইন্স্যুরেন্স ও নাভানা ফার্মসিউটিক্যালস।

বন্ডগুলোর মধ্যে আছে—পূবালী ব্যাংক পারপেচুয়াল বন্ড ও সিটি ব্যাংক পারপেচুয়াল বন্ড। মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে আছে আইসিবি এএমসিএল সিএমএসএফ গোল্ডেন জুবিলি মিউচুয়াল ফান্ড।

পুঁজিবাজার থেকে আইপিও’র মাধ্যমে জেএমআই হসপিটাল রিক্যুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং প্রিমিয়ামসহ ৭৪ কোটি ৯৯ লাখ ৯৯ হাজার টাকা, মেঘনা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি ১৬ কোটি টাকা, চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স ১৫ কোটি টাকা, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ৪২৫ কোটি টাকা, ইসলামী কমার্সিয়াল ইন্স্যুরেন্স ২০ কোটি ২৬ লাখ ১১ হাজার ৬০ টাকা ও নাভানা ফার্মসিউটিক্যালস প্রিমিয়ামসহ ৭৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে।

বন্ডগুলোর মধ্যে পূবালী ব্যাংক পারপেচুয়াল বন্ড ৫০ কোটি টাকা ও সিটি ব্যাংক পারপেচুয়াল বন্ড ৪০০ কোটি টাকা পুঁজিবাজার থেকে সংগ্রহ করে। মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে আইসিবি এএমসিএল সিএমএসএফ গোল্ডেন জুবিলি মিউচুয়াল ফান্ড ২৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর নেওয়া উদ্যোগ বাজারে গতি আনলেও মৌলিক কাঠামো পরিবর্তন না হওয়ায় বিনিয়োগকারীরা এখনও বাজারের প্রতি আগ্রহী হচ্ছে না। বাজার চাঙ্গা করতে আর্থিক সার্পোট দরকার ছিল, সেটিও হয়নি। আইপিওর গুণগত মান এবং সংস্কারের উদ্যোগ এখনও ঠিক হয়নি। বাজারে সুশাসন এখনও আসেনি। তারা মনে করছেন, বাজার ভালো করতে হলে ভালো মানের আইপিও দরকার। কিন্তু ভালো মানের আইপিও নেই। ভালো আর্থিক প্রতিবেদনই ভালো আইপিওর নিশ্চয়তা দিতে পারে। সে জন্য বাজারে ভালো আর্থিক প্রতিবেদন নিশ্চিত করতে হবে। তাই বাজারের প্রতি মানুষের আস্থা ফিরে আনতে সংস্কার ও সুশাসন জরুরি।

আরও পড়ুন: পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছেন বিদেশী বিনিয়োগকারীরা

তবে বাজার সংশ্লিষ্টদের অনেকে বলছেন, প্রতিনিয়তই দেশের অর্থনীতির আকার বাড়ছে। মানুষের গড় আয়ু, ইনকাম এবং প্রবৃদ্ধি বাড়ছে। ঠিক বিপরীত চিত্র দেশের পুঁজিবাজারে। অর্থনীতিতে পুঁজিবাজারের অবদান বাড়ার পরিবর্তে কমছে। তারা বলেন, দেশের উন্নয়নের জন্য উদ্যোক্তারা ব্যাংক ও পুঁজিবাজার থেকে পুঁজি সংগ্রহ করে। ব্যাংক থেকে সাধারণত স্বল্প মেয়াদী ঋণ নেয় উদ্যোক্তারা। কারণ সুদ দিতে হয়। আর বিনা সুদে দীর্ঘমেয়াদে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করে। ভারত, পাকিস্তান, চীনের মত দেশগুলোতে আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন দিচ্ছে কিন্তু বাংলাদেশের কমিশন দিচ্ছে না।

এতে করে একদিকে কোম্পানিগুলোর অর্থের অভাবে তাদের চাহিদা অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছে না। অন্যদিকে পুঁজিবাজারে ভালো ভালো কোম্পানিও আসছে না। তাতে বিনিয়োগকারীরা দুর্বল কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে পুঁজি হারাচ্ছেন। প্রতিনিয়তই নি:স্ব হচ্ছেন। তাই পুঁজিবাজারের স্বার্থে ভালো কোম্পানির আইপিও দ্রুত অনুমোদনের দাবি তাদের।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএসইসির একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নতুন কমিশনের চেয়ারম্যান ও কমিশনাররা দায়িত্ব নেয়ার পর আগের কোনো ভুলের পুনরাবৃত্তি না করতে এ অবস্থান নিয়েছে বিএসইসি। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, অতীতে আইপিওতে আসা কোম্পানিগুলোর মধ্যে বেশকিছু কোম্পানির পারফরম্যান্স হতাশাজনক। কোম্পানিগুলো বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে নেয়া অর্থ লগ্নি করেও ব্যবসায় উন্নতি করতে পারেনি। উল্টো কোম্পানির খারাপ পারফরম্যান্সের কারণে বিনিয়োগকারীদের লোকসান গুনতে হয়েছে।

বিজনেস জার্নাল/ঢাকা

শেয়ার করুন

x
English Version

ফিরে দেখা- ২০২২

আইপিও ইস্যুতে ধীরে চলো নীতিতে বিএসইসি: কমেছে অর্থ সংগ্রহের পরিমাণ

আপডেট: ০৫:১৬:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২২

২০২২ সালের শুরুটা দেশের পুঁজিবাজারের পটপরিবর্তনের পালাবদল মনে করা হলেও তা নিভিয়ে যেতে সময় লাগেনি। বছরের প্রথম মাস শেষ হওয়ার আগেই উল্টোরথে মোড় নেয় পুঁজিবাজার। যা থেমে থেমে চলতে থাকে বছরজুড়ে। পরিণতিতে ঘনীভূত হয় তারল্য সঙ্কট। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও)।

চাহিদা বাড়লে যোগান বাড়াতে হয় এবং চাহিদা কমলে যোগানও কমে- এটাই স্বাভাবিক নিয়ম। বছরজুড়ে থেমে থেমে দরপতন হওয়ায় পুঁজিবাজারের অধিকাংশ বিনিয়োগকারীই আইপিও’র বিপক্ষে অবস্থান নেয়। এছাড়াও তারল্য সঙ্কট থাকায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনও (বিএসইসি) আইপিওর ক্ষেত্রে ধীরে চলো নীতি অবলম্বন করে। পরিণতিতে ২০২২ সালে এর আগের বছরের তুলনায় আইপিওর মাধ্যমে তালিকাভুক্ত কোম্পানির সংখ্যার ব্যবধান ৯টি। আর টাকার পরিমাণে কমেছে প্রায় ৫৫৭ কোটি ১৮ লাখ টাকা।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

জানা গেছে, সদ্য সমাপ্ত বছরে পুঁজিবাজারে ছয়টি কোম্পানি আইপিওর মাধ্যমে মূলধন সংগ্রহ করেছে। এছাড়া, একটি মিউচুয়াল ফান্ড ও দুটি ব্যাংক বন্ড ছেড়ে পুঁজিবাজার থেকে মূলধন সংগ্রহ করে। বিদায়ী বছরে পুঁজিবাজার থেকে মোট ১ হাজার ১০১ কোটি ২৬ লাখ ১০ হাজার ৬০ টাকা মূলধন সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে দুটি কোম্পানি প্রিমিয়াম বাবদ ৮৭ কোটি ৫১ লাখ ৯৮ হাজার ১৩০ টাকা মূলধন উত্তোলন করে৷

এর আগে ২০২১ সালে ১৪টি কোম্পানি ও একটি সুকুক বন্ডসহ মোট ১৫টি প্রতিষ্ঠান পুঁজিবাজার থেকে ১ হাজার ৬৫৮ কোটি ৪৪ লাখ টাকা মূলধন সংগ্রহ করে৷

চলতি বছরে মূলধন সংগ্রহ করা কোম্পানিগুলো হলো— জেএমআই হসপিটাল রিক্যুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং, মেঘনা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি, চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইসলামী কমার্সিয়াল ইন্স্যুরেন্স ও নাভানা ফার্মসিউটিক্যালস।

বন্ডগুলোর মধ্যে আছে—পূবালী ব্যাংক পারপেচুয়াল বন্ড ও সিটি ব্যাংক পারপেচুয়াল বন্ড। মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে আছে আইসিবি এএমসিএল সিএমএসএফ গোল্ডেন জুবিলি মিউচুয়াল ফান্ড।

পুঁজিবাজার থেকে আইপিও’র মাধ্যমে জেএমআই হসপিটাল রিক্যুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং প্রিমিয়ামসহ ৭৪ কোটি ৯৯ লাখ ৯৯ হাজার টাকা, মেঘনা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি ১৬ কোটি টাকা, চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স ১৫ কোটি টাকা, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ৪২৫ কোটি টাকা, ইসলামী কমার্সিয়াল ইন্স্যুরেন্স ২০ কোটি ২৬ লাখ ১১ হাজার ৬০ টাকা ও নাভানা ফার্মসিউটিক্যালস প্রিমিয়ামসহ ৭৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে।

বন্ডগুলোর মধ্যে পূবালী ব্যাংক পারপেচুয়াল বন্ড ৫০ কোটি টাকা ও সিটি ব্যাংক পারপেচুয়াল বন্ড ৪০০ কোটি টাকা পুঁজিবাজার থেকে সংগ্রহ করে। মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে আইসিবি এএমসিএল সিএমএসএফ গোল্ডেন জুবিলি মিউচুয়াল ফান্ড ২৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর নেওয়া উদ্যোগ বাজারে গতি আনলেও মৌলিক কাঠামো পরিবর্তন না হওয়ায় বিনিয়োগকারীরা এখনও বাজারের প্রতি আগ্রহী হচ্ছে না। বাজার চাঙ্গা করতে আর্থিক সার্পোট দরকার ছিল, সেটিও হয়নি। আইপিওর গুণগত মান এবং সংস্কারের উদ্যোগ এখনও ঠিক হয়নি। বাজারে সুশাসন এখনও আসেনি। তারা মনে করছেন, বাজার ভালো করতে হলে ভালো মানের আইপিও দরকার। কিন্তু ভালো মানের আইপিও নেই। ভালো আর্থিক প্রতিবেদনই ভালো আইপিওর নিশ্চয়তা দিতে পারে। সে জন্য বাজারে ভালো আর্থিক প্রতিবেদন নিশ্চিত করতে হবে। তাই বাজারের প্রতি মানুষের আস্থা ফিরে আনতে সংস্কার ও সুশাসন জরুরি।

আরও পড়ুন: পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছেন বিদেশী বিনিয়োগকারীরা

তবে বাজার সংশ্লিষ্টদের অনেকে বলছেন, প্রতিনিয়তই দেশের অর্থনীতির আকার বাড়ছে। মানুষের গড় আয়ু, ইনকাম এবং প্রবৃদ্ধি বাড়ছে। ঠিক বিপরীত চিত্র দেশের পুঁজিবাজারে। অর্থনীতিতে পুঁজিবাজারের অবদান বাড়ার পরিবর্তে কমছে। তারা বলেন, দেশের উন্নয়নের জন্য উদ্যোক্তারা ব্যাংক ও পুঁজিবাজার থেকে পুঁজি সংগ্রহ করে। ব্যাংক থেকে সাধারণত স্বল্প মেয়াদী ঋণ নেয় উদ্যোক্তারা। কারণ সুদ দিতে হয়। আর বিনা সুদে দীর্ঘমেয়াদে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করে। ভারত, পাকিস্তান, চীনের মত দেশগুলোতে আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন দিচ্ছে কিন্তু বাংলাদেশের কমিশন দিচ্ছে না।

এতে করে একদিকে কোম্পানিগুলোর অর্থের অভাবে তাদের চাহিদা অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছে না। অন্যদিকে পুঁজিবাজারে ভালো ভালো কোম্পানিও আসছে না। তাতে বিনিয়োগকারীরা দুর্বল কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে পুঁজি হারাচ্ছেন। প্রতিনিয়তই নি:স্ব হচ্ছেন। তাই পুঁজিবাজারের স্বার্থে ভালো কোম্পানির আইপিও দ্রুত অনুমোদনের দাবি তাদের।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএসইসির একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নতুন কমিশনের চেয়ারম্যান ও কমিশনাররা দায়িত্ব নেয়ার পর আগের কোনো ভুলের পুনরাবৃত্তি না করতে এ অবস্থান নিয়েছে বিএসইসি। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, অতীতে আইপিওতে আসা কোম্পানিগুলোর মধ্যে বেশকিছু কোম্পানির পারফরম্যান্স হতাশাজনক। কোম্পানিগুলো বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে নেয়া অর্থ লগ্নি করেও ব্যবসায় উন্নতি করতে পারেনি। উল্টো কোম্পানির খারাপ পারফরম্যান্সের কারণে বিনিয়োগকারীদের লোকসান গুনতে হয়েছে।

বিজনেস জার্নাল/ঢাকা