১২:২৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫

আদানির সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি অব্যাহত রাখবে বাংলাদেশ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১০:৫১:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪
  • / ১০৪৫২ বার দেখা হয়েছে

ভারতীয় শিল্পগোষ্ঠী আদানি পাওয়ারের কাছ থেকে বিদ্যুৎ কেনা অব্যাহত রাখবে বাংলাদেশ। বিদ্যুতের দাম নিয়ে আপত্তি সত্ত্বেও দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগ এবং আইনি জটিলতার কারণে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে চুক্তি বাতিল করা হচ্ছে না। বিষয়টির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত দুটি সূত্রের বরাত দিয়ে শুক্রবার এক প্রতিবেদনে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়েই শেখ হাসিনা সরকারের করা চুক্তিগুলো জাতির স্বার্থ রক্ষা করেছে কিনা, তা যাচাই করতে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে। প্রধানত বিশেষ আইনের অধীনে শুরু করা এবং স্বচ্ছতার অভাব আছে– এমন প্রকল্পগুলো যাচাই-বাছাই করে দেখবে এই কমিটি।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১৭ সালে আদানি গ্রুপের সঙ্গে একটি চুক্তি হয়। ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় অবস্থিত ১৬০০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ২৫ বছরের জন্য বিদ্যুৎ কিনতে চুক্তিবদ্ধ হয় বাংলাদেশ। বিদ্যুৎ কেনার ক্ষেত্রে মূল্য-সংক্রান্ত উদ্বেগের কারণে এই চুক্তি যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ইসলামি ব্যাংকগুলোর আমানত এক মাসে কমেছে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) একজন কর্মকর্তা ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সর্বশেষ অডিটের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, আদানি পাওয়ারের কাছ থেকে এক ইউনিট বিদ্যুৎ কিনতে বাংলাদেশের প্রায় ১২ টাকা খরচ হয়। এটি ভারতের অন্যান্য বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের তুলনায় ২৭ শতাংশ বেশি এবং ভারতীয় রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর তুলনায় ৬৩ শতাংশ বেশি।

এ বিষয়ে আদানির একজন মুখপাত্র বলেছেন, চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে আদানি ও অন্যান্য ভারতীয় বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১ হাজার ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নিয়েছে। আদানির কাছে এমন কোনো ইঙ্গিত নেই যে, বাংলাদেশ এই চুক্তি পুনর্বিবেচনা করবে। তা ছাড়া বকেয়া বেড়ে যাওয়ার পরও আমরা বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে যাচ্ছি, যা উদ্বেগের বিষয়।

আদানি পাওয়ারের পাওনা ৮০ কোটি ডলার পরিশোধে কিছুটা হিমশিম খাচ্ছে বাংলাদেশ। এ ছাড়া সব মিলিয়ে ভারতীয় বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলো বাংলাদেশের কাছে ১০০ কোটি ডলার পায়। বাংলাদেশে ডলার সংকটের কারণে এই বকেয়া পরিশোধে জটিলতা তৈরি হচ্ছে।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

আদানির সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি অব্যাহত রাখবে বাংলাদেশ

আপডেট: ১০:৫১:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪

ভারতীয় শিল্পগোষ্ঠী আদানি পাওয়ারের কাছ থেকে বিদ্যুৎ কেনা অব্যাহত রাখবে বাংলাদেশ। বিদ্যুতের দাম নিয়ে আপত্তি সত্ত্বেও দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগ এবং আইনি জটিলতার কারণে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে চুক্তি বাতিল করা হচ্ছে না। বিষয়টির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত দুটি সূত্রের বরাত দিয়ে শুক্রবার এক প্রতিবেদনে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়েই শেখ হাসিনা সরকারের করা চুক্তিগুলো জাতির স্বার্থ রক্ষা করেছে কিনা, তা যাচাই করতে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে। প্রধানত বিশেষ আইনের অধীনে শুরু করা এবং স্বচ্ছতার অভাব আছে– এমন প্রকল্পগুলো যাচাই-বাছাই করে দেখবে এই কমিটি।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১৭ সালে আদানি গ্রুপের সঙ্গে একটি চুক্তি হয়। ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় অবস্থিত ১৬০০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ২৫ বছরের জন্য বিদ্যুৎ কিনতে চুক্তিবদ্ধ হয় বাংলাদেশ। বিদ্যুৎ কেনার ক্ষেত্রে মূল্য-সংক্রান্ত উদ্বেগের কারণে এই চুক্তি যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ইসলামি ব্যাংকগুলোর আমানত এক মাসে কমেছে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) একজন কর্মকর্তা ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সর্বশেষ অডিটের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, আদানি পাওয়ারের কাছ থেকে এক ইউনিট বিদ্যুৎ কিনতে বাংলাদেশের প্রায় ১২ টাকা খরচ হয়। এটি ভারতের অন্যান্য বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের তুলনায় ২৭ শতাংশ বেশি এবং ভারতীয় রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর তুলনায় ৬৩ শতাংশ বেশি।

এ বিষয়ে আদানির একজন মুখপাত্র বলেছেন, চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে আদানি ও অন্যান্য ভারতীয় বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১ হাজার ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নিয়েছে। আদানির কাছে এমন কোনো ইঙ্গিত নেই যে, বাংলাদেশ এই চুক্তি পুনর্বিবেচনা করবে। তা ছাড়া বকেয়া বেড়ে যাওয়ার পরও আমরা বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে যাচ্ছি, যা উদ্বেগের বিষয়।

আদানি পাওয়ারের পাওনা ৮০ কোটি ডলার পরিশোধে কিছুটা হিমশিম খাচ্ছে বাংলাদেশ। এ ছাড়া সব মিলিয়ে ভারতীয় বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলো বাংলাদেশের কাছে ১০০ কোটি ডলার পায়। বাংলাদেশে ডলার সংকটের কারণে এই বকেয়া পরিশোধে জটিলতা তৈরি হচ্ছে।

ঢাকা/এসএইচ