০৬:২২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ব্যাংকে জমা রাখা জনগণের টাকা ফেরত দিতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ: অর্থ উপদেষ্টা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৩:৩৩:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫
  • / ১০৩৬৮ বার দেখা হয়েছে

ব্যাংকে সাধারণ জনগণের গচ্ছিত অর্থ ফেরত দেয়ার ব্যাপারে সরকার দৃঢ় অঙ্গীকারবদ্ধ বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ ও বিজ্ঞান-প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

আজ শনিবার (৫ জুলাই) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

উপদেষ্টা বলেন, ‘খারাপ ব্যাংকগুলোকে সরকার বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে পুনর্বাসন করছে। ইসলামী ব্যাংক একটি বড় উদাহরণ। এরইমধ্যে ‘ব্যাংক রেজুলেশন অ্যাক্ট’ নামে একটি নতুন আইন হয়েছে। এই আইনের মূল উদ্দেশ্য হলো যারা ব্যাংকে টাকা জমা রেখেছেন, তাদের অর্থ ফেরত নিশ্চিত করা। কারও টাকা মার যাবে না— এ বিষয়ে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে অনেকেই সাধারণ মানুষের টাকা নিয়ে পালিয়েছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। পৃথিবীতে এমন নজির নেই। তবে সরকার এই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে একাধিক সংস্কারমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এতে সময় লাগবে, তবে সুফল আসবে।’

সঞ্চয়পত্র প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, ‘বর্তমানে সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার খুব একটা খারাপ নয়। তবে এই হার বাড়িয়ে দিলে সবাই ব্যাংকের পরিবর্তে সঞ্চয়পত্রেই বিনিয়োগ করবে, যা অর্থনীতিতে ভারসাম্যের অভাব তৈরি করতে পারে। তাই সরকার সবদিক বিবেচনায় নিয়ে ভারসাম্য রক্ষা করে চলছে।’

বিনিয়োগ বৃদ্ধির প্রসঙ্গ টেনে উপদেষ্টা বলেন, ‘চলতি বাজেটে অনেক পণ্যের ওপর ইনপুট ট্যাক্স কমিয়ে আনা হয়েছে। এর মাধ্যমে ইউরোপ-আমেরিকার ট্রেড অ্যাপলিকেশনের সঙ্গে তাল মেলানো হয়েছে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য সহজ ও স্বচ্ছ ব্যবসা পরিবেশ নিশ্চিত করতে ‘ডুয়িং বিজনেস’ সহজীকরণে কাজ করছে সরকার।’

আরও পড়ুন: সরকারি কোষাগারে সরাসরি ‘এ চালানে’ শুল্ক-কর দেওয়ার সুবিধা

তিনি বলেন, ‘একটি ব্যবসা শুরু করতে যাতে একাধিক সংস্থায় ঘুরতে না হয়, সে লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদফতর, ট্রাফিক পুলিশ ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের মধ্যে সমন্বয়ের চেষ্টা চলছে। বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগের জন্য একটি সম্ভাবনাময় গন্তব্য।’

এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম, নবীনগরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এরআগে, নবীনগর ডাকবাংলো চত্বরে গার্ড অব অনার প্রদানের মাধ্যমে উপদেষ্টাকে স্বাগত জানান স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

ব্যাংকে জমা রাখা জনগণের টাকা ফেরত দিতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ: অর্থ উপদেষ্টা

আপডেট: ০৩:৩৩:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫

ব্যাংকে সাধারণ জনগণের গচ্ছিত অর্থ ফেরত দেয়ার ব্যাপারে সরকার দৃঢ় অঙ্গীকারবদ্ধ বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ ও বিজ্ঞান-প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

আজ শনিবার (৫ জুলাই) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

উপদেষ্টা বলেন, ‘খারাপ ব্যাংকগুলোকে সরকার বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে পুনর্বাসন করছে। ইসলামী ব্যাংক একটি বড় উদাহরণ। এরইমধ্যে ‘ব্যাংক রেজুলেশন অ্যাক্ট’ নামে একটি নতুন আইন হয়েছে। এই আইনের মূল উদ্দেশ্য হলো যারা ব্যাংকে টাকা জমা রেখেছেন, তাদের অর্থ ফেরত নিশ্চিত করা। কারও টাকা মার যাবে না— এ বিষয়ে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে অনেকেই সাধারণ মানুষের টাকা নিয়ে পালিয়েছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। পৃথিবীতে এমন নজির নেই। তবে সরকার এই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে একাধিক সংস্কারমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এতে সময় লাগবে, তবে সুফল আসবে।’

সঞ্চয়পত্র প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, ‘বর্তমানে সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার খুব একটা খারাপ নয়। তবে এই হার বাড়িয়ে দিলে সবাই ব্যাংকের পরিবর্তে সঞ্চয়পত্রেই বিনিয়োগ করবে, যা অর্থনীতিতে ভারসাম্যের অভাব তৈরি করতে পারে। তাই সরকার সবদিক বিবেচনায় নিয়ে ভারসাম্য রক্ষা করে চলছে।’

বিনিয়োগ বৃদ্ধির প্রসঙ্গ টেনে উপদেষ্টা বলেন, ‘চলতি বাজেটে অনেক পণ্যের ওপর ইনপুট ট্যাক্স কমিয়ে আনা হয়েছে। এর মাধ্যমে ইউরোপ-আমেরিকার ট্রেড অ্যাপলিকেশনের সঙ্গে তাল মেলানো হয়েছে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য সহজ ও স্বচ্ছ ব্যবসা পরিবেশ নিশ্চিত করতে ‘ডুয়িং বিজনেস’ সহজীকরণে কাজ করছে সরকার।’

আরও পড়ুন: সরকারি কোষাগারে সরাসরি ‘এ চালানে’ শুল্ক-কর দেওয়ার সুবিধা

তিনি বলেন, ‘একটি ব্যবসা শুরু করতে যাতে একাধিক সংস্থায় ঘুরতে না হয়, সে লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদফতর, ট্রাফিক পুলিশ ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের মধ্যে সমন্বয়ের চেষ্টা চলছে। বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগের জন্য একটি সম্ভাবনাময় গন্তব্য।’

এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম, নবীনগরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এরআগে, নবীনগর ডাকবাংলো চত্বরে গার্ড অব অনার প্রদানের মাধ্যমে উপদেষ্টাকে স্বাগত জানান স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

ঢাকা/এসএইচ