০৫:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

‘এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ গড়তে সরকার বদ্ধপরিকর’

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:৩৮:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪১৬৬ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সমৃদ্ধ ও টেকসই অর্থনীতির ভিত গড়তে হলে দেশে শ্রমঘন ও স্বল্প পুঁজির এসএমই উদ্যোক্তা তৈরি করা প্রয়োজন। ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারসহ এসএমই উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার উপযুক্ত পরিবেশ গড়ে তুলতে সরকার বদ্ধপরিকর।

আজ বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) ‘দশম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা ২০২২’ উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তিনি বলেন, ‘দেশের তরুণ ও যুবসমাজকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করা ও তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধিকরণে এসএমই খাত ও জাতীয় এসএমই মেলা অগ্রণী ভূমিকা রাখছে। এভাবেই গড়ে উঠবে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত, সুখি-সমৃদ্ধ স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ।’

শেখ হাসিনা বলেন, এসএমই পণ্যের বাজারজাতকরণে এসএমই পণ্য মেলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এ মেলা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাদের তৈরি দেশীয় পণ্যের পরিচিতি ও চাহিদা বাড়াবে। এসএমই খাতে পুরুষের পাশাপাশি নারী উদ্যোক্তাদের ব্যাপক অংশগ্রহণ ও দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অত্যন্ত প্রশংসনীয় অবদান রাখছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের সুষ্ঠু বিকাশে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার বিভিন্ন ব্যবসাবান্ধব নীতি প্রণয়ন ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। আমরা শিল্পনীতি ২০১৬ ও এসএমই নীতিমালা ২০১৯ প্রণয়ন করেছি। এসডিজি-২০৩০, রূপকল্প-২০৪১, অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী, বিভিন্ন নীতিমালা ও কৌশলপত্রে এসএমই খাতকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এসব পদক্ষেপের ফলে নতুন শিল্প স্থাপন, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে এসএমই মেলা ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

আরও পড়ুন: অনলাইনে আয়কর রিটার্নে নতুন মাইলফলক অর্জন

তিনি বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে ক্লাস্টারভিত্তিক শিল্প বিকাশের ফলে অধিক জনবল শ্রমখাতে নিযুক্ত হচ্ছে। নারী উদ্যোক্তা ও কর্মী সংখ্যা বাড়ছে। দক্ষ জনশক্তি তৈরি করে তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধির জন্য দেশের এসএমই খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এসএমই খাতকে আরও শক্তিশালী করতে সরকারের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

সরকারপ্রধান বলেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশন (এসএমই ফাউন্ডেশন) দশমবারের মতো জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা আয়োজন করতে যাচ্ছে জেনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি মেলার আয়োজক, উদ্যোক্তাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি দশম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা ২০২২-এর সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x
English Version

‘এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ গড়তে সরকার বদ্ধপরিকর’

আপডেট: ১১:৩৮:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সমৃদ্ধ ও টেকসই অর্থনীতির ভিত গড়তে হলে দেশে শ্রমঘন ও স্বল্প পুঁজির এসএমই উদ্যোক্তা তৈরি করা প্রয়োজন। ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারসহ এসএমই উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার উপযুক্ত পরিবেশ গড়ে তুলতে সরকার বদ্ধপরিকর।

আজ বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) ‘দশম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা ২০২২’ উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তিনি বলেন, ‘দেশের তরুণ ও যুবসমাজকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করা ও তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধিকরণে এসএমই খাত ও জাতীয় এসএমই মেলা অগ্রণী ভূমিকা রাখছে। এভাবেই গড়ে উঠবে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত, সুখি-সমৃদ্ধ স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ।’

শেখ হাসিনা বলেন, এসএমই পণ্যের বাজারজাতকরণে এসএমই পণ্য মেলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এ মেলা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাদের তৈরি দেশীয় পণ্যের পরিচিতি ও চাহিদা বাড়াবে। এসএমই খাতে পুরুষের পাশাপাশি নারী উদ্যোক্তাদের ব্যাপক অংশগ্রহণ ও দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অত্যন্ত প্রশংসনীয় অবদান রাখছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের সুষ্ঠু বিকাশে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার বিভিন্ন ব্যবসাবান্ধব নীতি প্রণয়ন ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। আমরা শিল্পনীতি ২০১৬ ও এসএমই নীতিমালা ২০১৯ প্রণয়ন করেছি। এসডিজি-২০৩০, রূপকল্প-২০৪১, অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী, বিভিন্ন নীতিমালা ও কৌশলপত্রে এসএমই খাতকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এসব পদক্ষেপের ফলে নতুন শিল্প স্থাপন, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে এসএমই মেলা ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

আরও পড়ুন: অনলাইনে আয়কর রিটার্নে নতুন মাইলফলক অর্জন

তিনি বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে ক্লাস্টারভিত্তিক শিল্প বিকাশের ফলে অধিক জনবল শ্রমখাতে নিযুক্ত হচ্ছে। নারী উদ্যোক্তা ও কর্মী সংখ্যা বাড়ছে। দক্ষ জনশক্তি তৈরি করে তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধির জন্য দেশের এসএমই খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এসএমই খাতকে আরও শক্তিশালী করতে সরকারের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

সরকারপ্রধান বলেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশন (এসএমই ফাউন্ডেশন) দশমবারের মতো জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা আয়োজন করতে যাচ্ছে জেনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি মেলার আয়োজক, উদ্যোক্তাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি দশম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা ২০২২-এর সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।

ঢাকা/টিএ