০১:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪

আইএমএফের শর্তে রিজার্ভ নামবে ২৩ বিলিয়ন ডলারে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৫:০১:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ জুন ২০২৩
  • / ৪২৩১ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণাকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, আইএমএফ সদস্য অন্যান্য দেশগুলো বিপিএম৬-এর ফর্মুলা কার্যকর করেছে। আমরাও সেটা কার্যকর করবো। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব হিসাবও থাকবে। বিপিএম৬-এর ফর্মুলা পালন করলে দেশের রিজার্ভ দাঁড়াবে ২৩ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ডলার।

রোববার (১৮ জুন) বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথমার্ধের (জুলাই-ডিসেম্বর) ‘মনিটারি পলিসি স্টেটমেন্ট (এমপিএস)’ প্রকাশ করেছেন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। এসময় তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

গভর্নর বলেন, আমরা রিজার্ভ থেকে যেসব বিনিয়োগ করেছি সেগুলো ঝুঁকিমুক্ত। আমাদের সব ঋণের গ্যারান্টার রয়েছে। সব টাকা বাংলাদেশ ব্যাংক ফেরত পাবে। শ্রীলংকার লোনও আমরা ফেরত পেতে পারি তাদের স্থানীয় মুদ্রায় সমন্বয়ের মাধ্যমে।

বাংলাদেশ ব্যাংক এতদিনে মোট রিজার্ভের হিসাব প্রকাশ করে আসছিল। তা নিয়ে ইন্টারন্যাশনাল মনিটরি ফান্ড (আইএমএফ) প্রশ্ন তোলে। কারণ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবের মধ্যে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগকে অন্তর্ভুক্ত দেখানো হতো।

আরও পড়ুন: সুদহার বাড়িয়ে মুদ্রানীতি ঘোষণা

তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ৪ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ঋণের অন্যতম শর্ত ছিল, নিট রিজার্ভের হিসাব প্রকাশ করা। এক্ষেত্রে মানতে হবে ব্যালান্স অব পেমেন্ট ৬ বা বিপিএম৬-এর ফর্মুলা। আর বিপিএম৬ পুরোপুরি মানতে গেলে নিট রিজার্ভ নেমে যাবে ২৩ বিলিয়নের ঘরে। কারণ দেশের প্রকাশ করা রিজার্ভ থেকে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ ও রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) ছাড়াও এক বছরের বৈদেশিক ঋণের কিস্তি পরিশোধের সমপরিমাণ অর্থ বাদ দিলে পাওয়া যাবে নিট রিজার্ভ।

বর্তমানে রিজার্ভ থেকে ৬ বিলিয়ন ডলার রয়েছে ইডিএফ ও বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ। এগুলোসহ মোট রিজার্ভ এখন ২৯ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ডলার। বিনিয়োগকৃত ৬ বিলিয়ন ডলার বাদ দিলে নিট রিজার্ভ দাঁড়াবে ২৩ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ডলার।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x
English Version

আইএমএফের শর্তে রিজার্ভ নামবে ২৩ বিলিয়ন ডলারে

আপডেট: ০৫:০১:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ জুন ২০২৩

নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণাকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, আইএমএফ সদস্য অন্যান্য দেশগুলো বিপিএম৬-এর ফর্মুলা কার্যকর করেছে। আমরাও সেটা কার্যকর করবো। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব হিসাবও থাকবে। বিপিএম৬-এর ফর্মুলা পালন করলে দেশের রিজার্ভ দাঁড়াবে ২৩ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ডলার।

রোববার (১৮ জুন) বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথমার্ধের (জুলাই-ডিসেম্বর) ‘মনিটারি পলিসি স্টেটমেন্ট (এমপিএস)’ প্রকাশ করেছেন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। এসময় তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

গভর্নর বলেন, আমরা রিজার্ভ থেকে যেসব বিনিয়োগ করেছি সেগুলো ঝুঁকিমুক্ত। আমাদের সব ঋণের গ্যারান্টার রয়েছে। সব টাকা বাংলাদেশ ব্যাংক ফেরত পাবে। শ্রীলংকার লোনও আমরা ফেরত পেতে পারি তাদের স্থানীয় মুদ্রায় সমন্বয়ের মাধ্যমে।

বাংলাদেশ ব্যাংক এতদিনে মোট রিজার্ভের হিসাব প্রকাশ করে আসছিল। তা নিয়ে ইন্টারন্যাশনাল মনিটরি ফান্ড (আইএমএফ) প্রশ্ন তোলে। কারণ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবের মধ্যে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগকে অন্তর্ভুক্ত দেখানো হতো।

আরও পড়ুন: সুদহার বাড়িয়ে মুদ্রানীতি ঘোষণা

তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ৪ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ঋণের অন্যতম শর্ত ছিল, নিট রিজার্ভের হিসাব প্রকাশ করা। এক্ষেত্রে মানতে হবে ব্যালান্স অব পেমেন্ট ৬ বা বিপিএম৬-এর ফর্মুলা। আর বিপিএম৬ পুরোপুরি মানতে গেলে নিট রিজার্ভ নেমে যাবে ২৩ বিলিয়নের ঘরে। কারণ দেশের প্রকাশ করা রিজার্ভ থেকে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ ও রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) ছাড়াও এক বছরের বৈদেশিক ঋণের কিস্তি পরিশোধের সমপরিমাণ অর্থ বাদ দিলে পাওয়া যাবে নিট রিজার্ভ।

বর্তমানে রিজার্ভ থেকে ৬ বিলিয়ন ডলার রয়েছে ইডিএফ ও বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ। এগুলোসহ মোট রিজার্ভ এখন ২৯ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ডলার। বিনিয়োগকৃত ৬ বিলিয়ন ডলার বাদ দিলে নিট রিজার্ভ দাঁড়াবে ২৩ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ডলার।

ঢাকা/এসএ