০৬:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪

আইনি জটিলতায় আমদানি শুল্ক অনাদায়ি থাকে: অর্থমন্ত্রী

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৭:০৪:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৪১১৯ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, আইনি জটিলতায় আমদানি শুল্ক অনাদায়ি হয়ে থাকে। বর্তমানে অনাদায়ি শুল্কের পরিমাণ ৭৬০ কোটি ৩০ লাখ।

আজ সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সদস্য হাবিবুর রহমানের প্রশ্নের লিখিত উত্তরে অর্থমন্ত্রী এ তথ্য জানান।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

মুস্তফা কামাল বলেন, বিভিন্ন ধরনের আইনি জটিলতার কারণে ক্ষেত্র বিশেষে আমদানি শুল্ক অনাদায়ি হয়ে থাকে। পণ্য চালান খালাসের পর নিয়মিত নিবারণী তৎপরতার অংশ হিসেবে খালাসোত্তর নিরীক্ষা (পোস্ট ক্লিয়ারেন্স অডিট) কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয় এবং এর মাধ্যমে অনেক ক্ষেত্রে অনাদায়ি শুল্কের উদ্ভব হয়। শুল্কায়ন সম্পন্ন হলেও সাময়িক অর্থ সংকটের কারণে অনেক সময় পণ্যের চালান না নেওয়ায় আমদানি শুল্ক অনাদায়ি থেকে যায়। সরকারি প্রতিষ্ঠানের আমদানির ক্ষেত্রে অধিকাংশ সময়ে বিলম্বে শুল্ক পরিশোধের ভিত্তিতে পণ্যের চালান নেওয়া হয়ে থাকে এবং পরবর্তী সময়ে পণ্য চালান সংশ্লিষ্ট শুল্ক কর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিশোধ না করলে সেক্ষেত্রে এই চালানের আমদানি শুল্ক অনাদায়ি থেকে যায়।

অর্থমন্ত্রী বলেন, স্থানীয় ও রাজস্ব অডিট অধিদপ্তরের নিরীক্ষা এবং সংশ্লিষ্ট কাস্টম হাউস বা স্টেশনের তৎপরবর্তী বিচারাদেশের মাধ্যমে ফাঁকি দেওয়া শুল্ক আদায়ের কার্যক্রম নেওয়া হয় বিধায় আমদানি পর্যায়ে বকেয়া হয়ে যায়। অনেক সময় আমদানি শুল্ক সংক্রান্ত বিষয়ে আপত্তির (ডিসপিউট) কারণে আদালতে মামলা চলমান থাকায় আমদানি শুল্ক অনাদায়ি থাকে।

আরও পড়ুন: শিগগিরই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসবে: অর্থমন্ত্রী

আদায়ের বিষয়ে নেওয়া পদক্ষেপ ও সফলতার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, দ্য কাস্টমস অ্যাক্ট, ১৯৬৯ এ উল্লিখিত বকেয়া আদায় সংশ্লিষ্ট বিধিবিধান যথাযথভাবে অনুসরণপূর্বক অনাদায়ি শুল্ক আদায়ের কার্যক্রম নেওয়া হয়। দ্য কাস্টমস অ্যাক্ট, ১৯৬৯ এ উল্লিখিত বকেয়া আদায় সংশ্লিষ্ট বিধিবিধান যথাযথভাবে অনুসরণ করে অনাদায়ি শুল্ক আদায়ের জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম নেওয়ার ফলে এখন পর্যন্ত ৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা আদায় হয়েছে এবং অবশিষ্ট রাজস্ব আদায়ের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

ঢাকা/এসএম

শেয়ার করুন

x

আইনি জটিলতায় আমদানি শুল্ক অনাদায়ি থাকে: অর্থমন্ত্রী

আপডেট: ০৭:০৪:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, আইনি জটিলতায় আমদানি শুল্ক অনাদায়ি হয়ে থাকে। বর্তমানে অনাদায়ি শুল্কের পরিমাণ ৭৬০ কোটি ৩০ লাখ।

আজ সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সদস্য হাবিবুর রহমানের প্রশ্নের লিখিত উত্তরে অর্থমন্ত্রী এ তথ্য জানান।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

মুস্তফা কামাল বলেন, বিভিন্ন ধরনের আইনি জটিলতার কারণে ক্ষেত্র বিশেষে আমদানি শুল্ক অনাদায়ি হয়ে থাকে। পণ্য চালান খালাসের পর নিয়মিত নিবারণী তৎপরতার অংশ হিসেবে খালাসোত্তর নিরীক্ষা (পোস্ট ক্লিয়ারেন্স অডিট) কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয় এবং এর মাধ্যমে অনেক ক্ষেত্রে অনাদায়ি শুল্কের উদ্ভব হয়। শুল্কায়ন সম্পন্ন হলেও সাময়িক অর্থ সংকটের কারণে অনেক সময় পণ্যের চালান না নেওয়ায় আমদানি শুল্ক অনাদায়ি থেকে যায়। সরকারি প্রতিষ্ঠানের আমদানির ক্ষেত্রে অধিকাংশ সময়ে বিলম্বে শুল্ক পরিশোধের ভিত্তিতে পণ্যের চালান নেওয়া হয়ে থাকে এবং পরবর্তী সময়ে পণ্য চালান সংশ্লিষ্ট শুল্ক কর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিশোধ না করলে সেক্ষেত্রে এই চালানের আমদানি শুল্ক অনাদায়ি থেকে যায়।

অর্থমন্ত্রী বলেন, স্থানীয় ও রাজস্ব অডিট অধিদপ্তরের নিরীক্ষা এবং সংশ্লিষ্ট কাস্টম হাউস বা স্টেশনের তৎপরবর্তী বিচারাদেশের মাধ্যমে ফাঁকি দেওয়া শুল্ক আদায়ের কার্যক্রম নেওয়া হয় বিধায় আমদানি পর্যায়ে বকেয়া হয়ে যায়। অনেক সময় আমদানি শুল্ক সংক্রান্ত বিষয়ে আপত্তির (ডিসপিউট) কারণে আদালতে মামলা চলমান থাকায় আমদানি শুল্ক অনাদায়ি থাকে।

আরও পড়ুন: শিগগিরই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসবে: অর্থমন্ত্রী

আদায়ের বিষয়ে নেওয়া পদক্ষেপ ও সফলতার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, দ্য কাস্টমস অ্যাক্ট, ১৯৬৯ এ উল্লিখিত বকেয়া আদায় সংশ্লিষ্ট বিধিবিধান যথাযথভাবে অনুসরণপূর্বক অনাদায়ি শুল্ক আদায়ের কার্যক্রম নেওয়া হয়। দ্য কাস্টমস অ্যাক্ট, ১৯৬৯ এ উল্লিখিত বকেয়া আদায় সংশ্লিষ্ট বিধিবিধান যথাযথভাবে অনুসরণ করে অনাদায়ি শুল্ক আদায়ের জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম নেওয়ার ফলে এখন পর্যন্ত ৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা আদায় হয়েছে এবং অবশিষ্ট রাজস্ব আদায়ের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

ঢাকা/এসএম