বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে ২৫ শতাংশ শেয়ার ছেড়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে অর্থ উত্তোলন করবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। এ লক্ষ্যে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব

ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুর রহমান মজুমদার এ বিষয়ে বলেন, ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশনের নিয়ম অনুসারে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে হবে। তার জন্য আমরা কাজ করছি। আইপিওতে আসতে কী কী অগ্রগতি হয়েছে তা জানাতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে আলোচনা করব।

তিনি বলেন, তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য সেলফ লিস্টিং আইনের খসড়াও কমিশনে জমা দেওয়া হয়েছে।

২০১০ সালের ধসের পর সরকার ঘোষিত তদন্ত কমিটিতে সুপারিশ করা হয়। স্টক এক্সচেঞ্জকে মালিকানা থেকে ব্যবস্থাপনা আলাদা করতে হবে। পুঁজিবাজারকে ডিমিউচ্যুয়ালাইজড করতে হবে। তার আলোকে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ ডিমিউচ্যুয়ালাইজড হয়েছে।

সেই নিয়ম অনুসারে ২০২১ সালের ১৩ ডিসেম্বর বিএসইসি উভয় স্টক এক্সচেঞ্জকে ৩৫ শতাংশ শেয়ার ছাড়ার নির্দেশ দেয়। এ লক্ষ্যে পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা চলতি বছরের ১০ জানুয়ারির মধ্যে জমা দিতে সময় বেঁধে দেয়া হয়। পরে ফেব্রুয়ারিতে ডিএসই এ সংক্রান্ত পরিকল্পনা কমিশনে জমা দেয়। এরপর নিজ প্রতিষ্ঠানে তালিকাভুক্তির বিষয়ে সেলফ-লিস্টিং রেগুলেশন, ২০২২ প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নেয় বিএসইসি।

এ লক্ষ্যে চলতি বছরের মার্চে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সদস্যরা হলেন, বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান ও রেজাউল করিম, পরিচালক আবুল কালাম, অতিরিক্ত পরিচালক কাওসার আলী এবং যুগ্ম পরিচালক জহিরুল হক।

কমিটির জমা দেওয়া প্রতিবেদন অনুযায়ী উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে মতামতের ভিত্তিতে সেলফ-লিস্টিং রেগুলেশন প্রণয়নের কাজ চলছে।

২০১০ সালে পুঁজিবাজার ধসের পর স্টক এক্সচেঞ্জ ব্যবসা পরিচালনা থেকে ব্রোকারদের প্রভাব কমাতে ২০১৩ সালে ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন আইন করে বিএসইসি। ওই আইন ২০১৩ সালে দেশের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ মুনাফাকেন্দ্রিক লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তর হয়।

সেসময় ডিএসইর পুরো সম্পদের ভিত্তিতে (১ হাজার ৮০৩ কোটি ৭৭ লাখ ৬৫ হাজার টাকা) ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রায় ১৮০ কোটি ৩৮ লাখ শেয়ার সৃষ্টি করা হয়।

এর মধ্যে ৪০ শতাংশ শেয়ার পেয়েছে ব্রোকারেজ হাউসগুলো। বাকি ৬০ শতাংশের মধ্যে ২০১৮ সালে ডিএসই ২৫ শতাংশ শেয়ার কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসেবে চীনের শেনজেন ও সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জের কাছে বিক্রি করেছে।

৩৫ শতাংশ শেয়ার প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তি শ্রেণির বিনিয়োগকারীদের কাছে বিক্রির জন্য প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) প্রস্তাব রাখা হয়েছে। ৩৫ শতাংশ হিসেবে ডিএসইতে মোট ৬৩ কোটি ১৩ লাখ শেয়ার সংরক্ষিত আছে।

আরও পড়ুন: গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের আইপিও আবেদন শুরু ১৬ অক্টোবর

ঢাকা/টিএ