০৭:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪

আবারো ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি হামলা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৮:২৫:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মে ২০২১
  • / ৪১৪৪ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল ডেস্কঃ গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর জেরুজালেমের ওল্ড সিটিতে অবস্থিত ইসলামের তৃতীয় পবিত্র স্থান আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে ফিলিস্তিনিদের ওপর চড়াও হয়েছে ইসরায়েলি পুলিশ। ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস, স্টান গ্রেনেড, ধোঁয়া বোমা ও সরাসরি গুলি চালানোর ঘটনাও ঘটেছে। ফিলিস্তিনিরা পরে পাল্টা প্রতিরোধ করতে শুরু করলে সেখানে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা আল-জাজিরাকে জানিয়েছেন, শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে অনেক ফিলিস্তিনি হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে হওয়া যুদ্ধবিরতি উদযাপনে মসজিদ প্রাঙ্গণে সমবেত হলে সেখানে সংঘর্ষ বাধে। আগের মতো বলপ্রয়োগের মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের ছত্রভঙ্গ করতে শুরু করে ইসরায়েলি পুলিশ।

পূর্ব জেরুজালেম থেকে আল-জাজিরার প্রতিনিধি ইমরান খান জানিয়েছেন, ‘ফিলিস্তিনিরা তখন গান গাচ্ছিল ও স্লোগান দিচ্ছিল। তার পাশে থাকা ইসরায়েলি পুলিশ মসজিদ প্রাঙ্গণে আসে এবং সবাইকে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার চেষ্টা করে; তারা সবসময় এটা করে আসছে। পুলিশ ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে এ সময় স্টান গ্রেনেড, ধোঁয়া বোমা ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে শুরু করলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।’

‘তারা (ইসরায়েলি পুলিশ) তখন ফিলিস্তিনিদের ছত্রভঙ্গ করতে তাদের ওপর গুলিও ছোড়ে’ বলে জানিয়েছেন আল-জাজিরার প্রতিনিধি।

ইসরায়েলি পুলিশ বলছে, পুলিশকে লক্ষ্য করে কয়েকশ তরুণ পাথর ও মলোটভ ককটেল ছুঁড়তে শুরু করলে দাঙ্গা বাধে। জেরুজালেমের পুলিশ কমান্ডার ‘দাঙ্গাকারীদের ঠেকাতে’ পুলিশ কর্মকর্তাদের আল-আকসার ভেতরে ঢোকার নির্দেশ দেন বলে দাবি করেছে পুলিশ।

আল-আকসা মসজিদে ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা ও তার পর হামাসের পাল্টা জবাবের পর থেকে গত ১০ মে ইসরায়েল গাজায় বোমা হামলা শুরু করে। শতাধিক নারী ও শিশুসহ ২৩০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার পর বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। যুদ্ধবিরতি কার্যকরের দিনেই নতুন করে এমন সংঘর্ষ শুরু হওয়ায় উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

 ঢাকা/এনইউ

শেয়ার করুন

x
English Version

আবারো ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি হামলা

আপডেট: ০৮:২৫:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মে ২০২১

বিজনেস জার্নাল ডেস্কঃ গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর জেরুজালেমের ওল্ড সিটিতে অবস্থিত ইসলামের তৃতীয় পবিত্র স্থান আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে ফিলিস্তিনিদের ওপর চড়াও হয়েছে ইসরায়েলি পুলিশ। ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস, স্টান গ্রেনেড, ধোঁয়া বোমা ও সরাসরি গুলি চালানোর ঘটনাও ঘটেছে। ফিলিস্তিনিরা পরে পাল্টা প্রতিরোধ করতে শুরু করলে সেখানে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা আল-জাজিরাকে জানিয়েছেন, শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে অনেক ফিলিস্তিনি হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে হওয়া যুদ্ধবিরতি উদযাপনে মসজিদ প্রাঙ্গণে সমবেত হলে সেখানে সংঘর্ষ বাধে। আগের মতো বলপ্রয়োগের মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের ছত্রভঙ্গ করতে শুরু করে ইসরায়েলি পুলিশ।

পূর্ব জেরুজালেম থেকে আল-জাজিরার প্রতিনিধি ইমরান খান জানিয়েছেন, ‘ফিলিস্তিনিরা তখন গান গাচ্ছিল ও স্লোগান দিচ্ছিল। তার পাশে থাকা ইসরায়েলি পুলিশ মসজিদ প্রাঙ্গণে আসে এবং সবাইকে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার চেষ্টা করে; তারা সবসময় এটা করে আসছে। পুলিশ ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে এ সময় স্টান গ্রেনেড, ধোঁয়া বোমা ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে শুরু করলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।’

‘তারা (ইসরায়েলি পুলিশ) তখন ফিলিস্তিনিদের ছত্রভঙ্গ করতে তাদের ওপর গুলিও ছোড়ে’ বলে জানিয়েছেন আল-জাজিরার প্রতিনিধি।

ইসরায়েলি পুলিশ বলছে, পুলিশকে লক্ষ্য করে কয়েকশ তরুণ পাথর ও মলোটভ ককটেল ছুঁড়তে শুরু করলে দাঙ্গা বাধে। জেরুজালেমের পুলিশ কমান্ডার ‘দাঙ্গাকারীদের ঠেকাতে’ পুলিশ কর্মকর্তাদের আল-আকসার ভেতরে ঢোকার নির্দেশ দেন বলে দাবি করেছে পুলিশ।

আল-আকসা মসজিদে ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা ও তার পর হামাসের পাল্টা জবাবের পর থেকে গত ১০ মে ইসরায়েল গাজায় বোমা হামলা শুরু করে। শতাধিক নারী ও শিশুসহ ২৩০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার পর বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। যুদ্ধবিরতি কার্যকরের দিনেই নতুন করে এমন সংঘর্ষ শুরু হওয়ায় উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

 ঢাকা/এনইউ