০২:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ জুন ২০২৪

ই-কমার্সের নৈরাজ্যের দায় ই-ক্যাব নেতাদেরও

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:৪৯:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ অগাস্ট ২০২১
  • / ১০২৫১ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: দুই বছর ধরে ই-কমার্স খাতে নৈরাজ্য বিরাজ করছে। সাম্প্রতিক সময়ে ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জ, ধামাকা, আলিশা মার্টসহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠান গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণা করার সংবাদ গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়। গ্রাহকরা এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে রাজপথে পর্যন্ত নেমেছেন। ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মর্তুজার বাড়িতে এসেও গ্রাহকরা তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন।

এরই মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধারকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়েছে। বিপুল সম্ভাবনাময় এ খাতের নৈরাজ্যের দায় এসব প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বদানকারী প্রতিষ্ঠান ই-ক্যাব দায় এড়াতে পারে না বলে মনে করে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।

মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি করা হয়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, বর্তমানে ই-কমার্স খাতে বার্ষিক লেনদেন হচ্ছে প্রায় ৩.৫ বিলিয়ন ডলার। এফ-কমার্সে ২০২০ সালে লেনদেন হয়েছে প্রায় ৩২০ কোটি ডলার। বাংলাদেশে বিপুল সম্ভাবনাময় এ খাতে যারা নেতৃত্বে আছেন তারা শুধু মন্ত্রণালয়ে তদবিরে ব্যস্ত। আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছি, ই-কমার্স এরই মধ্যে সরকারের কাছ তেকে প্রায় ৯০০ কোটি টাকা সহায়তা নিয়েছে। এছাড়া এ সংগঠনের সদস্য হতে বিপুল পরিমাণ অর্থ চাঁদা দিতে হয়। তাছাড়া নিবন্ধন করা প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম দেখেই তারা সদস্য মনোনীত করেন। কিন্তু এমএলএম কোম্পানিগুলোকে তারা কীভাবে সদস্য হিসেবে নিলেন- প্রশ্ন সংগঠনটির।

তারা মনে করেন, অনৈতিক লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম বন্ধ ও গ্রেফতারের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করে গ্রাহকদের ন্যায্য দাবি পরিশোধের ব্যবস্থা করা ছাড়া কর্তাব্যক্তিরা দায় এড়াতে পারেন না।

বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে ই-কমার্সে নেতৃত্বদানকারী প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিদের কর্মকাণ্ড ও দায়দায়িত্ব কতটুকু তা জবাবদিহিতার আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। গ্রাহকদের প্রাপ্য দাবি প্রয়োজনে নেতৃত্বদানকারী প্রতিষ্ঠানের তহবিল থেকে পরিশোধ করা হোক। যেসব ভুক্তভোগী রাজপথে আন্দোলন করছেন আমরা তাদের প্রতি সংহতি জানাচ্ছি। আগামীতে যখন বড় বড় বিনিয়োগকারী এ খাতে আগ্রহী হবেন তখন এ ধরনের নৈরাজ্য কোনোভাবেই কাম্য নয়। এ ব্যাপারে সরকারের সর্বোচ্চ মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেন নেতারা।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন:

ট্যাগঃ

শেয়ার করুন

x

ই-কমার্সের নৈরাজ্যের দায় ই-ক্যাব নেতাদেরও

আপডেট: ০৬:৪৯:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ অগাস্ট ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: দুই বছর ধরে ই-কমার্স খাতে নৈরাজ্য বিরাজ করছে। সাম্প্রতিক সময়ে ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জ, ধামাকা, আলিশা মার্টসহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠান গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণা করার সংবাদ গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়। গ্রাহকরা এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে রাজপথে পর্যন্ত নেমেছেন। ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মর্তুজার বাড়িতে এসেও গ্রাহকরা তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন।

এরই মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধারকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়েছে। বিপুল সম্ভাবনাময় এ খাতের নৈরাজ্যের দায় এসব প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বদানকারী প্রতিষ্ঠান ই-ক্যাব দায় এড়াতে পারে না বলে মনে করে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।

মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি করা হয়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, বর্তমানে ই-কমার্স খাতে বার্ষিক লেনদেন হচ্ছে প্রায় ৩.৫ বিলিয়ন ডলার। এফ-কমার্সে ২০২০ সালে লেনদেন হয়েছে প্রায় ৩২০ কোটি ডলার। বাংলাদেশে বিপুল সম্ভাবনাময় এ খাতে যারা নেতৃত্বে আছেন তারা শুধু মন্ত্রণালয়ে তদবিরে ব্যস্ত। আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছি, ই-কমার্স এরই মধ্যে সরকারের কাছ তেকে প্রায় ৯০০ কোটি টাকা সহায়তা নিয়েছে। এছাড়া এ সংগঠনের সদস্য হতে বিপুল পরিমাণ অর্থ চাঁদা দিতে হয়। তাছাড়া নিবন্ধন করা প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম দেখেই তারা সদস্য মনোনীত করেন। কিন্তু এমএলএম কোম্পানিগুলোকে তারা কীভাবে সদস্য হিসেবে নিলেন- প্রশ্ন সংগঠনটির।

তারা মনে করেন, অনৈতিক লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম বন্ধ ও গ্রেফতারের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করে গ্রাহকদের ন্যায্য দাবি পরিশোধের ব্যবস্থা করা ছাড়া কর্তাব্যক্তিরা দায় এড়াতে পারেন না।

বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে ই-কমার্সে নেতৃত্বদানকারী প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিদের কর্মকাণ্ড ও দায়দায়িত্ব কতটুকু তা জবাবদিহিতার আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। গ্রাহকদের প্রাপ্য দাবি প্রয়োজনে নেতৃত্বদানকারী প্রতিষ্ঠানের তহবিল থেকে পরিশোধ করা হোক। যেসব ভুক্তভোগী রাজপথে আন্দোলন করছেন আমরা তাদের প্রতি সংহতি জানাচ্ছি। আগামীতে যখন বড় বড় বিনিয়োগকারী এ খাতে আগ্রহী হবেন তখন এ ধরনের নৈরাজ্য কোনোভাবেই কাম্য নয়। এ ব্যাপারে সরকারের সর্বোচ্চ মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেন নেতারা।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন: