১২:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ মে ২০২৪

এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে লেনদেন কমেছে সাড়ে আট হাজার কোটি টাকা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৭:২৩:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৪১৪৯ বার দেখা হয়েছে

চলতি অর্থবছরের সেপ্টেম্বর মাসে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের জনপ্রিয়তায় গ্রাহক বাড়লেও লেনদেনে ভাটা পড়েছে। সেপ্টেম্বরে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে মাধ্যমে লেনদেন কমেছে সাড়ে আট হাজার কোটি টাকার বেশি।

সম্প্রতি প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর মাস শেষে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের গ্রাহকদের আমানতের পরিমাণ ছিল ৩৪ হাজার ৫৩৩ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। এর আগের মাসে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের আমানত ছিল ৩৪ হাজার ৭৭৭ কোটি ৬১ লাখ টাকা। এতে এক মাসের ব্যবধানে আমানত কমেছে ২৪৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা।

আমানতের সঙ্গে সেপ্টেম্বর মাসে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের লেনদেনেও ভাটা পড়েছে। এক মাসে গ্রাহকরা ৫৯ হাজার ৩১২ কোটি ৮৭ লাখ টাকা লেনদেন করেছে। আর আগস্ট মাসে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে গ্রাহকদের লেনদেনর পরিমাণ ছিল ৬৮ হাজার ১২৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা। এ হিসেবে এক মাসের ব্যবধানে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে লেনদেন কমেছে ৮ হাজার ৮১২ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।

জানা গেছে, আগস্টের তুলনায় সেপ্টেম্বর মাসে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের গ্রাহক সংখ্যা বেড়েছে। সেপ্টেম্বরে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে গ্রাহক সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই কোটি ৬ লাখ ৮৩ হাজার ৬২৮ জনে। এর মধ্যে নারী গ্রাহক এক কোটি ২ লাখ ৭১ হাজার ৩৮১ জন৷ আর পুরুষ গ্রাহকের সংখ্যা এক কোটি ৯৬ হাজার ৯২৪ জন। এছাড়াও এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে অন্যান্য হিসাব রয়েছে তিন লাখ ১৫ হাজার ৩২৩টি।

আরও পড়ুন: ৭২ হাজার মামলায় আটকে আছে পৌনে দুই লাখ কোটি টাকা

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ঋণ বিতরণ কমেছে। সেপ্টেম্বর মাসজুড়ে এর মাধ্যমে ৬৭১ কোটি ২০ লাখ টাকার ঋণ বিতরণ করা হয়েছে, যা আগের মাসের চেয়ে ১৭২ কোটি ৩৭ লাখ টাকা কম। আগস্টে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের গ্রাহকরা ৮৪৩ কোটি ৫৭ লাখ টাকার ঋণ পেয়েছিলেন।

এদিকে, এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে রেমিট্যান্স আহরণেও ভাটা পড়েছে। সেপ্টেম্বর মাসে ২১ হাজার ৪৪৮টি আউটলেটের মাধ্যমে দেশে প্রবাসী আয় এসেছে ১ হাজার ৬৬০ কোটি ৮১ লাখ টাকা, যা এর আগের মাসে ছিল ১ হাজার ৯৭৭ কোটি ১৮ লাখ টাকা।

এর আগে ২০১৪ সালে দেশে এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু হয়। গ্রাম থেকে শুরু করে শহর পর্যন্ত বর্তমানে বিভিন্ন ব্যাংকের আউটলেটে ছড়িয়ে আছেন সাড়ে ১৫ হাজারের বেশি এজেন্ট। প্রতিনিয়তই বাড়ছে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের গ্রাহক সংখ্যা।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x

এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে লেনদেন কমেছে সাড়ে আট হাজার কোটি টাকা

আপডেট: ০৭:২৩:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৩

চলতি অর্থবছরের সেপ্টেম্বর মাসে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের জনপ্রিয়তায় গ্রাহক বাড়লেও লেনদেনে ভাটা পড়েছে। সেপ্টেম্বরে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে মাধ্যমে লেনদেন কমেছে সাড়ে আট হাজার কোটি টাকার বেশি।

সম্প্রতি প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর মাস শেষে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের গ্রাহকদের আমানতের পরিমাণ ছিল ৩৪ হাজার ৫৩৩ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। এর আগের মাসে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের আমানত ছিল ৩৪ হাজার ৭৭৭ কোটি ৬১ লাখ টাকা। এতে এক মাসের ব্যবধানে আমানত কমেছে ২৪৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা।

আমানতের সঙ্গে সেপ্টেম্বর মাসে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের লেনদেনেও ভাটা পড়েছে। এক মাসে গ্রাহকরা ৫৯ হাজার ৩১২ কোটি ৮৭ লাখ টাকা লেনদেন করেছে। আর আগস্ট মাসে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে গ্রাহকদের লেনদেনর পরিমাণ ছিল ৬৮ হাজার ১২৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা। এ হিসেবে এক মাসের ব্যবধানে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে লেনদেন কমেছে ৮ হাজার ৮১২ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।

জানা গেছে, আগস্টের তুলনায় সেপ্টেম্বর মাসে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের গ্রাহক সংখ্যা বেড়েছে। সেপ্টেম্বরে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে গ্রাহক সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই কোটি ৬ লাখ ৮৩ হাজার ৬২৮ জনে। এর মধ্যে নারী গ্রাহক এক কোটি ২ লাখ ৭১ হাজার ৩৮১ জন৷ আর পুরুষ গ্রাহকের সংখ্যা এক কোটি ৯৬ হাজার ৯২৪ জন। এছাড়াও এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে অন্যান্য হিসাব রয়েছে তিন লাখ ১৫ হাজার ৩২৩টি।

আরও পড়ুন: ৭২ হাজার মামলায় আটকে আছে পৌনে দুই লাখ কোটি টাকা

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ঋণ বিতরণ কমেছে। সেপ্টেম্বর মাসজুড়ে এর মাধ্যমে ৬৭১ কোটি ২০ লাখ টাকার ঋণ বিতরণ করা হয়েছে, যা আগের মাসের চেয়ে ১৭২ কোটি ৩৭ লাখ টাকা কম। আগস্টে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের গ্রাহকরা ৮৪৩ কোটি ৫৭ লাখ টাকার ঋণ পেয়েছিলেন।

এদিকে, এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে রেমিট্যান্স আহরণেও ভাটা পড়েছে। সেপ্টেম্বর মাসে ২১ হাজার ৪৪৮টি আউটলেটের মাধ্যমে দেশে প্রবাসী আয় এসেছে ১ হাজার ৬৬০ কোটি ৮১ লাখ টাকা, যা এর আগের মাসে ছিল ১ হাজার ৯৭৭ কোটি ১৮ লাখ টাকা।

এর আগে ২০১৪ সালে দেশে এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু হয়। গ্রাম থেকে শুরু করে শহর পর্যন্ত বর্তমানে বিভিন্ন ব্যাংকের আউটলেটে ছড়িয়ে আছেন সাড়ে ১৫ হাজারের বেশি এজেন্ট। প্রতিনিয়তই বাড়ছে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের গ্রাহক সংখ্যা।

ঢাকা/এসএ