১২:২১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪

করোনায় ভ্রমণ কর আদায়ে ভয়াবহ ধস

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:৫৫:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ অগাস্ট ২০২১
  • / ১০২৮০ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে জারি করা কঠোর বিধিনিষেধের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে দেশের পর্যটন শিল্পে। যে কারণে এ খাতে আশঙ্কাজনক হারে কর কমেছে প্রায় ৬৪ শতাংশ।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৭১৪ কোটি ৭ লাখ টাকা কম কর আদায় হয়েছে। বিদায়ী ২০২০-২১ অর্থবছরে (জুলাই-জুন) প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক হাজার ৫০ কোটি টাকা। এনবিআর থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

মূলত স্থল ও আকাশপথে ভ্রমণের সময় কর দিতে হয়। স্থলপথের যাত্রীদের জন্য ৫০০ টাকা এবং আকাশপথে সার্কভুক্ত দেশগুলোতে তা ৮০০ টাকা। অন্য দেশে যাতায়াতে ১ হাজার ৮০০ টাকা ভ্রমণ কর হিসেবে দিতে হয়। বিমানের টিকিটের সঙ্গে এই কর কেটে রাখা হয়। ৫ থেকে ১২ বছর বয়সী যাত্রীদের ক্ষেত্রে এই ভ্রমণ কর অর্ধেক। এ ছাড়া জলপথে যাত্রীপ্রতি ভ্রমণ কর ৮০০ টাকা। তবে পাঁচ বছরের কম বয়সী যাত্রী, ক্যানসারে আক্রান্ত রোগী, অন্ধ ব্যক্তি, বাংলাদেশি ও বিদেশি কূটনীতিক এবং তাঁদের পরিবার, বিমানের পাইলট ও ক্রুদের ভ্রমণ কর দিতে হয় না।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

স্থলপথে সব থেকে বেশি পর্যটক বাংলাদেশ থেকে ভারতে যায়। কিন্তু করোনাসময়ে পর্যটকের সংখ্যা শূন্যের কোটায় নেমে আসে। ইদানিংকালে চিকিৎসা এবং ব্যবসায়িক কাজে সীমিত আকারে ভিসা চালু হলেও এখন পর্যন্ত পর্যটনখাতে মন্দাভাব কাটেনি।

অন্যদিকে আকাশপথে গত অর্থবছরজুড়েই বাংলাদেশ থেকে খুব কম আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে। এ খাতের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় ৭৫ শতাংশ আন্তর্জাতিক যাত্রী কমেছে। করোনার কারণে অনেক দেশ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাও দিয়েছে।
মাঝে বেশ কয়েক মাস মধ্যপ্রাচ্যের বিমান সংস্থাগুলো শুধু বিদেশ থেকে যাত্রী আনত, যাওয়ার সময় খালি যেত। এসব কারণে আকাশপথেও ভ্রমণ কর তলানিতে ঠেকেছে।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন:

ট্যাগঃ

শেয়ার করুন

x

করোনায় ভ্রমণ কর আদায়ে ভয়াবহ ধস

আপডেট: ০৬:৫৫:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ অগাস্ট ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে জারি করা কঠোর বিধিনিষেধের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে দেশের পর্যটন শিল্পে। যে কারণে এ খাতে আশঙ্কাজনক হারে কর কমেছে প্রায় ৬৪ শতাংশ।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৭১৪ কোটি ৭ লাখ টাকা কম কর আদায় হয়েছে। বিদায়ী ২০২০-২১ অর্থবছরে (জুলাই-জুন) প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক হাজার ৫০ কোটি টাকা। এনবিআর থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

মূলত স্থল ও আকাশপথে ভ্রমণের সময় কর দিতে হয়। স্থলপথের যাত্রীদের জন্য ৫০০ টাকা এবং আকাশপথে সার্কভুক্ত দেশগুলোতে তা ৮০০ টাকা। অন্য দেশে যাতায়াতে ১ হাজার ৮০০ টাকা ভ্রমণ কর হিসেবে দিতে হয়। বিমানের টিকিটের সঙ্গে এই কর কেটে রাখা হয়। ৫ থেকে ১২ বছর বয়সী যাত্রীদের ক্ষেত্রে এই ভ্রমণ কর অর্ধেক। এ ছাড়া জলপথে যাত্রীপ্রতি ভ্রমণ কর ৮০০ টাকা। তবে পাঁচ বছরের কম বয়সী যাত্রী, ক্যানসারে আক্রান্ত রোগী, অন্ধ ব্যক্তি, বাংলাদেশি ও বিদেশি কূটনীতিক এবং তাঁদের পরিবার, বিমানের পাইলট ও ক্রুদের ভ্রমণ কর দিতে হয় না।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

স্থলপথে সব থেকে বেশি পর্যটক বাংলাদেশ থেকে ভারতে যায়। কিন্তু করোনাসময়ে পর্যটকের সংখ্যা শূন্যের কোটায় নেমে আসে। ইদানিংকালে চিকিৎসা এবং ব্যবসায়িক কাজে সীমিত আকারে ভিসা চালু হলেও এখন পর্যন্ত পর্যটনখাতে মন্দাভাব কাটেনি।

অন্যদিকে আকাশপথে গত অর্থবছরজুড়েই বাংলাদেশ থেকে খুব কম আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে। এ খাতের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় ৭৫ শতাংশ আন্তর্জাতিক যাত্রী কমেছে। করোনার কারণে অনেক দেশ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাও দিয়েছে।
মাঝে বেশ কয়েক মাস মধ্যপ্রাচ্যের বিমান সংস্থাগুলো শুধু বিদেশ থেকে যাত্রী আনত, যাওয়ার সময় খালি যেত। এসব কারণে আকাশপথেও ভ্রমণ কর তলানিতে ঠেকেছে।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন: