১০:০৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

করোনার ভারতীয় ধরনে দেশে তৃতীয় ঢেউয়ের ঝুঁকি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৫:০৬:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মে ২০২১
  • / ৪১৬০ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদকঃ দেশে কোভিড সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের পেছনে দক্ষিণ আফ্রিকান ধরন ভূমিকা রেখেছে বলে উঠে এসেছে এক গবেষণায়। ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের এ নিবন্ধে দেখা যায়, গত মার্চে সংক্রমণের ৭৭ শতাংশই দক্ষিণ আফ্রিকান ধরন।

এদিকে, দেশে কোভিড শঙ্কার আরেক কারণ ভারতীয় ধরন। করোনায় নতুন এ ধরনটি দেশে তৃতীয় ঢেউয়ের ঝূকিঁ তৈরি করতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশ্বের নানা প্রান্তে কোভিড ১৯ সংক্রমণ বৃদ্ধিতে করোনার চারটি ধরনকে বলা হয়ে থাকে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন’। এগুলো হলো- ইউকে, দক্ষিণ আফ্রিকান, ব্রাজিলিয়ান এবং ক্যালিফোর্নিয়ান ধরন।

এর মধ্যে দেশে ইউকে এবং দক্ষিণ আফ্রিকান ধরন শনাক্তের তথ্য এসেছে বিভিন্ন জিনোম সিকোয়েন্সে। সম্প্রতি ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়, বাংলাদেশেও কোভিড ১৯ সংক্রমণ বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছ দক্ষিণ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট। চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের এ নিবন্ধে বলা হয়, দেশে আফ্রিকান ধরন পাওয়া যায় ফেব্রুয়ারিতে।
স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে মানুষের উদাসীনতাই দক্ষিণ আফ্রিকান ধরন বিস্তারে ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করেন চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের অনুজীববিজ্ঞানী ও নির্বাহী পরিচালক ড. সমীর কুমার সাহা।

তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে প্রথম এসেছে ইউকে ভ্যারিয়েন্ট। কিন্তু সাউথ অফ্রিকেন ভ্যরিয়েন্টটা একটু পরে এসেও খুব তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে পড়েছে। এই সাউথ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্টটার বিস্তার করতে পারত যদি আমরা আরেকটু সচেতন হতাম।’
এখনো পরিষ্কার কোনো চিত্র পাওয়া না গেলেও বাংলাদেশের জন্য উদ্বেগের নতুন কারণ হয়ে দাড়িয়েঁছে করোনার ভারতীয় ধরন। আর এটি দেশে কোভিডের তৃতীয় ঢেউ তৈরি করতে পারে বলে মনে করেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. রিদওয়ানুউর রহমান।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন ধরনের সংক্রমণ ঠেকাতে নিশ্চিত করতে হবে কঠোর কোয়ারেন্টিন।

ঢাকা/জেএইচ 

শেয়ার করুন

x
English Version

করোনার ভারতীয় ধরনে দেশে তৃতীয় ঢেউয়ের ঝুঁকি

আপডেট: ০৫:০৬:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মে ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদকঃ দেশে কোভিড সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের পেছনে দক্ষিণ আফ্রিকান ধরন ভূমিকা রেখেছে বলে উঠে এসেছে এক গবেষণায়। ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের এ নিবন্ধে দেখা যায়, গত মার্চে সংক্রমণের ৭৭ শতাংশই দক্ষিণ আফ্রিকান ধরন।

এদিকে, দেশে কোভিড শঙ্কার আরেক কারণ ভারতীয় ধরন। করোনায় নতুন এ ধরনটি দেশে তৃতীয় ঢেউয়ের ঝূকিঁ তৈরি করতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশ্বের নানা প্রান্তে কোভিড ১৯ সংক্রমণ বৃদ্ধিতে করোনার চারটি ধরনকে বলা হয়ে থাকে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন’। এগুলো হলো- ইউকে, দক্ষিণ আফ্রিকান, ব্রাজিলিয়ান এবং ক্যালিফোর্নিয়ান ধরন।

এর মধ্যে দেশে ইউকে এবং দক্ষিণ আফ্রিকান ধরন শনাক্তের তথ্য এসেছে বিভিন্ন জিনোম সিকোয়েন্সে। সম্প্রতি ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়, বাংলাদেশেও কোভিড ১৯ সংক্রমণ বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছ দক্ষিণ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট। চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের এ নিবন্ধে বলা হয়, দেশে আফ্রিকান ধরন পাওয়া যায় ফেব্রুয়ারিতে।
স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে মানুষের উদাসীনতাই দক্ষিণ আফ্রিকান ধরন বিস্তারে ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করেন চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের অনুজীববিজ্ঞানী ও নির্বাহী পরিচালক ড. সমীর কুমার সাহা।

তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে প্রথম এসেছে ইউকে ভ্যারিয়েন্ট। কিন্তু সাউথ অফ্রিকেন ভ্যরিয়েন্টটা একটু পরে এসেও খুব তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে পড়েছে। এই সাউথ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্টটার বিস্তার করতে পারত যদি আমরা আরেকটু সচেতন হতাম।’
এখনো পরিষ্কার কোনো চিত্র পাওয়া না গেলেও বাংলাদেশের জন্য উদ্বেগের নতুন কারণ হয়ে দাড়িয়েঁছে করোনার ভারতীয় ধরন। আর এটি দেশে কোভিডের তৃতীয় ঢেউ তৈরি করতে পারে বলে মনে করেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. রিদওয়ানুউর রহমান।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন ধরনের সংক্রমণ ঠেকাতে নিশ্চিত করতে হবে কঠোর কোয়ারেন্টিন।

ঢাকা/জেএইচ