০২:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ জুন ২০২৪

‘কুইক রেন্টাল’ বিদ্যুৎকেন্দ্র আরও ৫ বছর চালাতে সংসদে বিল পাস

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:৪৮:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / ১০২৮৭ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: ‘কুইক রেন্টাল’ বিদ্যুৎকেন্দ্র আরও ৫ বছর চালাতে সংসদে বিল পাস হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুৎ ঘাটতি মেটাতে এজন্য বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) (সংশোধন) বিল-২০২১’ উত্থাপন করা হয়েছিল। তার একদিন পরই বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে তা পাস হয়।

বর্তমান সরকারের প্রথম মেয়াদের শুরুর দিকে প্রণীত ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালানোর বিশেষ আইনের মেয়াদ আরও পাঁচ বছর বাড়তেই বিলটি আনা হয়।

বিলটি সংশোধনের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছিলেন, ‘নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালা-২০০৮ অনুযায়ী নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎস হতে দেশের মোট উৎপাদিত বিদ্যুতের ১০ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করার লক্ষ্যে এখাতে দ্রুত অধিক সংখ্যক প্রকল্প গ্রহণ করা প্রয়োজন।’

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, ২০৩০ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের চলমান অবকাঠামোগত উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখা অপরিহার্য।’

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় যাওয়ার পর বিদ্যুৎ সঙ্কট দ্রুত সমাধানের লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি ভাড়া ও দ্রুত ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের অনুমোদন দেওয়া হয়। আর এটা করার জন্য ২০১০ সালে প্রণয়ন করা হয় ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন’।

শুরুতে দুই বছরের জন্য এই আইন করা হলেও পরে কয়েক দফায় সময় বাড়ানো হয়। আবারও পাঁচ বছর মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর এটি পাস হলো। ২০১০ সালে প্রণীত আইনটির মেয়াদ সর্বশেষ তিন বছর বাড়িয়ে মেয়াদ ২০২১ সাল পর্যন্ত করা হয়।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যাওয়ার পর বিদ্যুৎ ঘাটতি মোকাবিলায় অতি দ্রুত বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের তাৎক্ষণিক পরিকল্পনায় তিন বছর, পাঁচ বছর ও ১৬ বছর মেয়াদি ভাড়াভিত্তিক (রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল) বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন শুরু করে। এসব ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রকে বৈধতা দিতে নতুন আইনটি করা হয়।

বিলটি পাসের জন্য তোলার পর এর বিরোধিতা করেন জাতীয় পার্টি ও বিএনপির সংসদ সদস্যরা। তারা বলেন, জনগণের করের টাকা অন্যের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য এই আইন করা হচ্ছে। তারা বলেন, অসৎ উদ্দেশ্যে বিলটি তড়িঘড়ি করে পাস করা হয়েছে। কেউ কেউ বলেছেন আইনটি ‘জঘন্য কালো আইন।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন:

লোকসান থেকে মুনাফায় মাইডাস ফাইন্যান্স

সিএসই’র ২৩ ট্রেক অনুমোদন দিল বিএসইসি

সোনালী পেপারের ডিভিডেন্ড ঘোষণা

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধে আইনি নোটিশ

ইভ্যালির সিইও রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা গ্রেপ্তার

ট্যাগঃ

শেয়ার করুন

x

‘কুইক রেন্টাল’ বিদ্যুৎকেন্দ্র আরও ৫ বছর চালাতে সংসদে বিল পাস

আপডেট: ০৬:৪৮:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: ‘কুইক রেন্টাল’ বিদ্যুৎকেন্দ্র আরও ৫ বছর চালাতে সংসদে বিল পাস হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুৎ ঘাটতি মেটাতে এজন্য বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) (সংশোধন) বিল-২০২১’ উত্থাপন করা হয়েছিল। তার একদিন পরই বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে তা পাস হয়।

বর্তমান সরকারের প্রথম মেয়াদের শুরুর দিকে প্রণীত ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালানোর বিশেষ আইনের মেয়াদ আরও পাঁচ বছর বাড়তেই বিলটি আনা হয়।

বিলটি সংশোধনের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছিলেন, ‘নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালা-২০০৮ অনুযায়ী নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎস হতে দেশের মোট উৎপাদিত বিদ্যুতের ১০ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করার লক্ষ্যে এখাতে দ্রুত অধিক সংখ্যক প্রকল্প গ্রহণ করা প্রয়োজন।’

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, ২০৩০ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের চলমান অবকাঠামোগত উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখা অপরিহার্য।’

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় যাওয়ার পর বিদ্যুৎ সঙ্কট দ্রুত সমাধানের লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি ভাড়া ও দ্রুত ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের অনুমোদন দেওয়া হয়। আর এটা করার জন্য ২০১০ সালে প্রণয়ন করা হয় ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন’।

শুরুতে দুই বছরের জন্য এই আইন করা হলেও পরে কয়েক দফায় সময় বাড়ানো হয়। আবারও পাঁচ বছর মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর এটি পাস হলো। ২০১০ সালে প্রণীত আইনটির মেয়াদ সর্বশেষ তিন বছর বাড়িয়ে মেয়াদ ২০২১ সাল পর্যন্ত করা হয়।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যাওয়ার পর বিদ্যুৎ ঘাটতি মোকাবিলায় অতি দ্রুত বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের তাৎক্ষণিক পরিকল্পনায় তিন বছর, পাঁচ বছর ও ১৬ বছর মেয়াদি ভাড়াভিত্তিক (রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল) বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন শুরু করে। এসব ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রকে বৈধতা দিতে নতুন আইনটি করা হয়।

বিলটি পাসের জন্য তোলার পর এর বিরোধিতা করেন জাতীয় পার্টি ও বিএনপির সংসদ সদস্যরা। তারা বলেন, জনগণের করের টাকা অন্যের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য এই আইন করা হচ্ছে। তারা বলেন, অসৎ উদ্দেশ্যে বিলটি তড়িঘড়ি করে পাস করা হয়েছে। কেউ কেউ বলেছেন আইনটি ‘জঘন্য কালো আইন।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন:

লোকসান থেকে মুনাফায় মাইডাস ফাইন্যান্স

সিএসই’র ২৩ ট্রেক অনুমোদন দিল বিএসইসি

সোনালী পেপারের ডিভিডেন্ড ঘোষণা

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধে আইনি নোটিশ

ইভ্যালির সিইও রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা গ্রেপ্তার