০১:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪

কুষ্টিয়ায় করোনায় ১৯ জনের মৃত্যুর রেকর্ড

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১০:৫৯:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ জুলাই ২০২১
  • / ১০২৮৬ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: কুষ্টিয়ায় করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। লকডাউনেও থেমে নেই মৃত্যুর মিছিল। শনিবার (০৩ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে রোববার (০৪ জুলাই) সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সর্বোচ্চ ১৯ জনের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে ১৩ জন করোনায় এবং ছয়জন উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন।

এদিকে ৬০৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৯৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। রোববার (৪ জুলাই) সকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. তাপস কুমার সরকার।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় করোনা শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৬৯ শতাংশ। নতুন করে শনাক্ত হওয়া ১৯৩ জনের মধ্যে কুষ্টিয়া সদরের ৩৬ জন, দৌলতপুরের ৪৫ জন, কুমারখালীর ৩১ জন, ভেড়ামারার ২৭ জন, মিরপুরের ২৩ জন এবং খোকসার ৩১ জন রয়েছেন। 

এখন পর্যন্ত জেলায় ৬৪ হাজার ৫৪৭ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়া গেছে ৬১ হাজার ৯৯৪ জনের। বাকিরা নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদনের অপেক্ষায় রয়েছেন। জেলায় এ পর্যন্ত ৮ হাজার ৪৭৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৭৬২ জন।

বর্তমানে কুষ্টিয়ায় সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ৪৯৩ জন। তাদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ২৬৫ জন এবং হোম আইসোলেশনে আছেন ২ হাজার ২২৮ জন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এদিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে কুষ্টিয়ায় চলমান লকডাউন আগামী ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত চলবে। কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম এ সংক্রান্ত একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন। এতে বলা হয়, কুষ্টিয়ায় চলমান লকডাউন আগামী ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত চলবে। এ সময় ওষুধ, নিত্য প্রয়োজনীয় মুদি দোকান, কাঁচাবাজার ছাড়া বাকি সবধরনের দোকান, শপিংমল বন্ধ থাকবে। 

কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মো. খাইরুল আলম বলেন, কঠোরভাবে লকডাউন বাস্তবায়ন করতে পুলিশ মাঠে তৎপর রয়েছে। জেলার বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশের চেকপোস্টে তল্লাশি করা হচ্ছে। সবার কাছ থেকে লকডাউন কার্যকর করতে সহযোগিতা পাচ্ছি।

কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে বর্তমানে সর্বোচ্চ শনাক্ত ও মৃত্যুর রেকর্ড হচ্ছে। সব উপজেলায় হু হু করে বাড়ছে মৃত্যু ও শনাক্তের সংখ্যা। লকডাউনের মধ্যেও কেউ কেউ স্বাস্থ্যবিধি না মেনে রাস্তাঘাটে চলাচল করছে। এতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে। ফলে লকডাউনের সুফল মিলবে না। জনসাধারণের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চলার প্রবণতার কারণে সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা থেকে যায়। করোনার সংক্রমণ যে হারে বাড়ছে, তাতে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া বেশ কঠিন হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এ বিষয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। মানুষকে সচেতন করতে মাঠে নেমে কাজ করা হচ্ছে। আমি নিজেও বিভিন্ন স্থানে ঘুরে মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির চেষ্টা করেছি। এ ছাড়া বিধিনিষেধ প্রতিপালনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। তারা লকডাউন কার্যকর করতে পদক্ষেপ নিয়েছেন। বিধিনিষেধ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন:

শেয়ার করুন

x

কুষ্টিয়ায় করোনায় ১৯ জনের মৃত্যুর রেকর্ড

আপডেট: ১০:৫৯:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ জুলাই ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: কুষ্টিয়ায় করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। লকডাউনেও থেমে নেই মৃত্যুর মিছিল। শনিবার (০৩ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে রোববার (০৪ জুলাই) সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সর্বোচ্চ ১৯ জনের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে ১৩ জন করোনায় এবং ছয়জন উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন।

এদিকে ৬০৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৯৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। রোববার (৪ জুলাই) সকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. তাপস কুমার সরকার।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় করোনা শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৬৯ শতাংশ। নতুন করে শনাক্ত হওয়া ১৯৩ জনের মধ্যে কুষ্টিয়া সদরের ৩৬ জন, দৌলতপুরের ৪৫ জন, কুমারখালীর ৩১ জন, ভেড়ামারার ২৭ জন, মিরপুরের ২৩ জন এবং খোকসার ৩১ জন রয়েছেন। 

এখন পর্যন্ত জেলায় ৬৪ হাজার ৫৪৭ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়া গেছে ৬১ হাজার ৯৯৪ জনের। বাকিরা নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদনের অপেক্ষায় রয়েছেন। জেলায় এ পর্যন্ত ৮ হাজার ৪৭৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৭৬২ জন।

বর্তমানে কুষ্টিয়ায় সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ৪৯৩ জন। তাদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ২৬৫ জন এবং হোম আইসোলেশনে আছেন ২ হাজার ২২৮ জন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এদিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে কুষ্টিয়ায় চলমান লকডাউন আগামী ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত চলবে। কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম এ সংক্রান্ত একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন। এতে বলা হয়, কুষ্টিয়ায় চলমান লকডাউন আগামী ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত চলবে। এ সময় ওষুধ, নিত্য প্রয়োজনীয় মুদি দোকান, কাঁচাবাজার ছাড়া বাকি সবধরনের দোকান, শপিংমল বন্ধ থাকবে। 

কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মো. খাইরুল আলম বলেন, কঠোরভাবে লকডাউন বাস্তবায়ন করতে পুলিশ মাঠে তৎপর রয়েছে। জেলার বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশের চেকপোস্টে তল্লাশি করা হচ্ছে। সবার কাছ থেকে লকডাউন কার্যকর করতে সহযোগিতা পাচ্ছি।

কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে বর্তমানে সর্বোচ্চ শনাক্ত ও মৃত্যুর রেকর্ড হচ্ছে। সব উপজেলায় হু হু করে বাড়ছে মৃত্যু ও শনাক্তের সংখ্যা। লকডাউনের মধ্যেও কেউ কেউ স্বাস্থ্যবিধি না মেনে রাস্তাঘাটে চলাচল করছে। এতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে। ফলে লকডাউনের সুফল মিলবে না। জনসাধারণের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চলার প্রবণতার কারণে সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা থেকে যায়। করোনার সংক্রমণ যে হারে বাড়ছে, তাতে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া বেশ কঠিন হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এ বিষয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। মানুষকে সচেতন করতে মাঠে নেমে কাজ করা হচ্ছে। আমি নিজেও বিভিন্ন স্থানে ঘুরে মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির চেষ্টা করেছি। এ ছাড়া বিধিনিষেধ প্রতিপালনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। তারা লকডাউন কার্যকর করতে পদক্ষেপ নিয়েছেন। বিধিনিষেধ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন: